Surah Al-Furqan - আল-ফুরকান বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ, Audio, Arabic Ayat & English Meaning

25
Al-Furqan
আল-ফুরকান
Meaning: The Criterion - Released in Mecca Total Ayats: 77 (2856 to 2932) Total Ruku: 6 - Sijda: 60 Ayat Para: 18 - According to Najil: 42
# Ayat & Ortho Uccharon & English Meaning
31 وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِىٍّ عَدُوًّا مِّنَ ٱلْمُجْرِمِينَ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ هَادِيًا وَنَصِيرًا ওয়া কাযা-লিকা জা‘আলনা-লিকুল্লি নাবিইয়িন ‘আদুওওয়াম মিনাল মুজরিমীনা ওয়া কাফা-বিরাব্বিকা হা-দিয়াওঁ ওয়া নাসীরা-।
এমনিভাবে প্রত্যেক নবীর জন্যে আমি অপরাধীদের মধ্য থেকে শত্রু করেছি। আপনার জন্যে আপনার পালনকর্তা পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট। Thus have We made for every prophet an enemy among the sinners: but enough is thy Lord to guide and to help.
32 وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْلَا نُزِّلَ عَلَيْهِ ٱلْقُرْءَانُ جُمْلَةً وَٰحِدَةً كَذَٰلِكَ لِنُثَبِّتَ بِهِۦ فُؤَادَكَ وَرَتَّلْنَٰهُ تَرْتِيلًا ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূলাওলা-নুঝঝিলা ‘আলাইহিল কুরআ-নুজুম লাতাওঁ ওয়াহিদাতান কাযা-লিকা লিনুছাব্বিতা বিহী ফুআ-দাকা ওয়া রাত্তালনা-হু তারতীলা-।
সত্য প্রত্যাখানকারীরা বলে, তাঁর প্রতি সমগ্র কোরআন একদফায় অবতীর্ণ হল না কেন? আমি এমনিভাবে অবতীর্ণ করেছি এবং ক্রমে ক্রমে আবৃত্তি করেছি আপনার অন্তকরণকে মজবুত করার জন্যে। Those who reject Faith say: "Why is not the Qur'an revealed to him all at once? Thus (is it revealed), that We may strengthen thy heart thereby, and We have rehearsed it to thee in slow, well-arranged stages, gradually.
33 وَلَا يَأْتُونَكَ بِمَثَلٍ إِلَّا جِئْنَٰكَ بِٱلْحَقِّ وَأَحْسَنَ تَفْسِيرًا ওয়ালা ইয়া’তূনাকা বিমাছালিন ইল্লা-জি’না-কা বিল হাক্কিওয়া আহছানা তাফছীরা-।
তারা আপনার কাছে কোন সমস্যা উপস্থাপিত করলেই আমি আপনাকে তার সঠিক জওয়াব ও সুন্দর ব্যাখ্যা দান করি। And no question do they bring to thee but We reveal to thee the truth and the best explanation (thereof).
34 ٱلَّذِينَ يُحْشَرُونَ عَلَىٰ وُجُوهِهِمْ إِلَىٰ جَهَنَّمَ أُو۟لَٰٓئِكَ شَرٌّ مَّكَانًا وَأَضَلُّ سَبِيلًا আল্লাযীনা ইউহশারূনা ‘আলা-উজূহিহিম ইলা-জাহান্নামা উলাইকা শাররুম মাকানাওঁ ওয়া আদাল্লুছাবীলা-।
যাদেরকে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্রিত করা হবে, তাদেরই স্থান হবে নিকৃষ্ট এবং তারাই পথভ্রষ্ট। Those who will be gathered to Hell (prone) on their faces,- they will be in an evil plight, and, as to Path, most astray.
35 وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا مُوسَى ٱلْكِتَٰبَ وَجَعَلْنَا مَعَهُۥٓ أَخَاهُ هَٰرُونَ وَزِيرًا ওয়ালাকাদ আ-তাইনা- মূছাল কিতা-বা ওয়া জা‘আলনা- মা‘আহূআখা-হুহা-রূনা ওয়াঝীরা-।
আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তাঁর সাথে তাঁর ভ্রাতা হারুনকে সাহায্যকারী করেছি। (Before this,) We sent Moses The Book, and appointed his brother Aaron with him as minister;
36 فَقُلْنَا ٱذْهَبَآ إِلَى ٱلْقَوْمِ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا فَدَمَّرْنَٰهُمْ تَدْمِيرًا ফাকুলনাযহাবাইলাল কাওমিল্লাযীনা কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা- ফাদাম্মারনা-হুম তাদমীরা-।
অতঃপর আমি বলেছি, তোমরা সেই সম্প্রদায়ের কাছে যাও, যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা অভিহিত করেছে। অতঃপর আমি তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছি। And We command: "Go ye both, to the people who have rejected our Signs:" And those (people) We destroyed with utter destruction.
37 وَقَوْمَ نُوحٍ لَّمَّا كَذَّبُوا۟ ٱلرُّسُلَ أَغْرَقْنَٰهُمْ وَجَعَلْنَٰهُمْ لِلنَّاسِ ءَايَةً وَأَعْتَدْنَا لِلظَّٰلِمِينَ عَذَابًا أَلِيمًا ওয়া কাওমা নূহিল লাম্মা-কাযযাবুর রুছুলা আগরাকনা-হুম ওয়া জা‘আলনা-হুম লিন্না-ছি আ-য়াতাওঁ ওয়া আ‘তাদনা-লিজ্জা-লিমীনা ‘আযা-বান আলীমা-
নূহের সম্প্রদায় যখন রসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপ করল, তখন আমি তাদেরকে নিমজ্জত করলাম এবং তাদেরকে মানবমন্ডলীর জন্যে নিদর্শন করে দিলাম। জালেমদের জন্যে আমি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। And the people of Noah,- when they rejected the messengers, We drowned them, and We made them as a Sign for mankind; and We have prepared for (all) wrong-doers a grievous Penalty;-
38 وَعَادًا وَثَمُودَا۟ وَأَصْحَٰبَ ٱلرَّسِّ وَقُرُونًۢا بَيْنَ ذَٰلِكَ كَثِيرًا ওয়া-‘আদাওঁ ওয়া ছামূদা ওয়া আসহা-বার রাছছি ওয়া কুরূনাম বাইনা যা-লিকা কাছীরা-
আমি ধ্বংস করেছি আদ, সামুদ, কপবাসী এবং তাদের মধ্যবর্তী অনেক সম্প্রদায়কে। As also 'Ad and Thamud, and the Companions of the Rass, and many a generation between them.
39 وَكُلًّا ضَرَبْنَا لَهُ ٱلْأَمْثَٰلَ وَكُلًّا تَبَّرْنَا تَتْبِيرًا ওয়া কুল্লান দারাবনা-লাহুল আমছা-লা ওয়া কুল্লান তাব্বারনা-তাতবীরা-।
আমি প্রত্যেকের জন্যেই দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি এবং প্রত্যেককেই সম্পুর্ণরূপে ধ্বংস করেছি To each one We set forth Parables and examples; and each one We broke to utter annihilation (for their sins).
40 وَلَقَدْ أَتَوْا۟ عَلَى ٱلْقَرْيَةِ ٱلَّتِىٓ أُمْطِرَتْ مَطَرَ ٱلسَّوْءِ أَفَلَمْ يَكُونُوا۟ يَرَوْنَهَا بَلْ كَانُوا۟ لَا يَرْجُونَ نُشُورًا ওয়া লাকাদ আতাও ‘আলাল কারয়াতিল্লাতীউমতিরাত মাতারাছছাওই আফালাম ইয়াকূনূইয়ারাওনাহা- বাল কা-নূলা-ইয়ারজূনা নুশূরা-।
তারা তো সেই জনপদের উপর দিয়েই যাতায়াত করে, যার ওপর বর্ষিত হয়েছে মন্দ বৃষ্টি। তবে কি তারা তা প্রত্যক্ষ করে না? বরং তারা পুনরুজ্জীবনের আশঙ্কা করে না। And the (Unbelievers) must indeed have passed by the town on which was rained a shower of evil: did they not then see it (with their own eyes)? But they fear not the Resurrection.
41 وَإِذَا رَأَوْكَ إِن يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَٰذَا ٱلَّذِى بَعَثَ ٱللَّهُ رَسُولًا ওয়া ইযা-রাআওকা ইয়ঁইয়াত্তাখিযূনাকা ইল্লা-হুঝুওয়ান আহা-যাল্লাযী বা‘আছাল্লাহু রাছূলা-।
তারা যখন আপনাকে দেখে, তখন আপনাকে কেবল বিদ্রুপের পাত্ররূপে গ্রহণ করে, বলে, এ-ই কি সে যাকে আল্লাহ ‘রসূল’ করে প্রেরণ করেছেন? When they see thee, they treat thee no otherwise than in mockery: "Is this the one whom Allah has sent as a messenger?"
42 إِن كَادَ لَيُضِلُّنَا عَنْ ءَالِهَتِنَا لَوْلَآ أَن صَبَرْنَا عَلَيْهَا وَسَوْفَ يَعْلَمُونَ حِينَ يَرَوْنَ ٱلْعَذَابَ مَنْ أَضَلُّ سَبِيلًا ইন কা-দা লাইউদিল্লুনা-‘আন আ-লিহাতিনা- লাওলাআন সাবারনা-‘আলাইহা- ওয়া ছাওফা ইয়া‘লামূনা হীনা ইয়ারাওনাল ‘আযা-বা মান আদাল্লুছাবীলা-।
সে তো আমাদেরকে আমাদের উপাস্যগণের কাছ থেকে সরিয়েই দিত, যদি আমরা তাদেরকে আঁকড়ে ধরে না থাকতাম। তারা যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন জানতে পারবে কে অধিক পথভ্রষ্ট। "He indeed would well-nigh have misled us from our gods, had it not been that we were constant to them!" - Soon will they know, when they see the Penalty, who it is that is most misled in Path!
43 أَرَءَيْتَ مَنِ ٱتَّخَذَ إِلَٰهَهُۥ هَوَىٰهُ أَفَأَنتَ تَكُونُ عَلَيْهِ وَكِيلًا আরাআইতা মানিততাখাযা ইলা-হাহূহাওয়া-হু আফাআনতা তাকূনু‘আলাইহি ওয়াকীলা-।
আপনি কি তাকে দেখেন না, যে তারা প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন? Seest thou such a one as taketh for his god his own passion (or impulse)? Couldst thou be a disposer of affairs for him?
44 أَمْ تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُونَ أَوْ يَعْقِلُونَ إِنْ هُمْ إِلَّا كَٱلْأَنْعَٰمِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيلًا আম তাহছাবুআন্না আকছারাহুম ইয়াছমা‘ঊনা আও ইয়া‘কিলূনা ইন হুম ইল্লা-কাল আন‘আ-মি বাল হুম আদাল্লুছাবীলা-।
আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত Or thinkest thou that most of them listen or understand? They are only like cattle;- nay, they are worse astray in Path.
45 أَلَمْ تَرَ إِلَىٰ رَبِّكَ كَيْفَ مَدَّ ٱلظِّلَّ وَلَوْ شَآءَ لَجَعَلَهُۥ سَاكِنًا ثُمَّ جَعَلْنَا ٱلشَّمْسَ عَلَيْهِ دَلِيلًا আলাম তারা ইলা-রাব্বিকা কাইফা মাদ্দাজজিল্লা ওয়ালাও শাআ লাজা‘আলাহূছাকিনান ছু ম্মা জা‘আলনাশশামছা ‘আলাইহি দালীলা-।
তুমি কি তোমার পালনকর্তাকে দেখ না, তিনি কিভাবে ছায়াকে বিলম্বিত করেন? তিনি ইচ্ছা করলে একে স্থির রাখতে পারতেন। এরপর আমি সূর্যকে করেছি এর নির্দেশক। Hast thou not turned thy vision to thy Lord?- How He doth prolong the shadow! If He willed, He could make it stationary! then do We make the sun its guide;
46 ثُمَّ قَبَضْنَٰهُ إِلَيْنَا قَبْضًا يَسِيرًا ছু ম্মা কাবাদনা-হু ইলাইনা-কাবদাইঁ ইয়াছীরা-।
অতঃপর আমি একে নিজের দিকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে আনি। Then We draw it in towards Ourselves,- a contraction by easy stages.
47 وَهُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيْلَ لِبَاسًا وَٱلنَّوْمَ سُبَاتًا وَجَعَلَ ٱلنَّهَارَ نُشُورًا ওয়া হুওয়াল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল্লাইলা লিবা-ছাওঁ ওয়ান নাওমা ছুবা-তাওঁ ওয়া জা‘আলান্নাহা-রা নুশূরা-।
তিনিই তো তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছেন আবরণ, নিদ্রাকে বিশ্রাম এবং দিনকে করেছেন বাইরে গমনের জন্যে। And He it is Who makes the Night as a Robe for you, and Sleep as Repose, and makes the Day (as it were) a Resurrection.
48 وَهُوَ ٱلَّذِىٓ أَرْسَلَ ٱلرِّيَٰحَ بُشْرًۢا بَيْنَ يَدَىْ رَحْمَتِهِۦ وَأَنزَلْنَا مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً طَهُورًا ওয়া হুওয়াল্লাযীআরছালাররিয়া-হা বুশরাম বাইনা ইয়াদাই রাহমাতিহী ওয়া আনঝালনা-মিনাছছামাই মাআন তাহূরা-।
তিনিই স্বীয় রহমতের প্রাক্কালে বাতাসকে সুসংবাদবাহীরূপে প্রেরণ করেন। এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্যে পানি বর্ষণ করি। And He it is Who sends the winds as heralds of glad tidings, going before His mercy, and We send down pure water from the sky,-
49 لِّنُحْۦِىَ بِهِۦ بَلْدَةً مَّيْتًا وَنُسْقِيَهُۥ مِمَّا خَلَقْنَآ أَنْعَٰمًا وَأَنَاسِىَّ كَثِيرًا লিনুহইইয়া বিহী বালদাতাম মাইতাওঁ ওয়া নুছকিয়াহূমিম্মা- খালাকনাআন‘আ-মাওঁ ওয়াআনা-ছিইইয়া কাছীরা-।
তদ্দ্বারা মৃত ভূভাগকে সঞ্জীবিত করার জন্যে এবং আমার সৃষ্ট জীবজন্তু ও অনেক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্যে। That with it We may give life to a dead land, and slake the thirst of things We have created,- cattle and men in great numbers.
50 وَلَقَدْ صَرَّفْنَٰهُ بَيْنَهُمْ لِيَذَّكَّرُوا۟ فَأَبَىٰٓ أَكْثَرُ ٱلنَّاسِ إِلَّا كُفُورًا ওয়া লাকাদ সাররাফনা-হু বাইনাহুম লিয়াযযাক্কারূ ফাআবা আকছারুন্না-ছি ইল্লাকুফূরা-।
এবং আমি তা তাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিতরণ করি, যাতে তারা স্মরণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া কিছুই করে না। And We have distributed the (water) amongst them, in order that they may celebrate (our) praises, but most men are averse (to aught) but (rank) ingratitude.
51 وَلَوْ شِئْنَا لَبَعَثْنَا فِى كُلِّ قَرْيَةٍ نَّذِيرًا ওয়ালাও শি’না-লাবা‘আছনা-ফী কুল্লি কারইয়াতিন নাযীরা-।
আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেক জনপদে একজন ভয় প্রদর্শনকারী প্রেরণ করতে পারতাম। Had it been Our Will, We could have sent a warner to every centre of population.
52 فَلَا تُطِعِ ٱلْكَٰفِرِينَ وَجَٰهِدْهُم بِهِۦ جِهَادًا كَبِيرًا ফালা-তুতি‘ইল কা-ফিরীনা ওয়া জা-হিদহুম বিহী জিহা-দান কাবীরা-।
অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন। Therefore listen not to the Unbelievers, but strive against them with the utmost strenuousness, with the (Qur'an).
53 وَهُوَ ٱلَّذِى مَرَجَ ٱلْبَحْرَيْنِ هَٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَهَٰذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَحِجْرًا مَّحْجُورًا ওয়া হুওয়াল্লাযী মারাজাল বাহরাইনি হা-যা-‘আযবুন ফুরা-তুওঁ ওয়া হা-যা-মিলহুন উজা-জুওঁ ওয়া জা‘আলা বাইনাহুমা-বারঝাখাওঁ ওয়া হিজরাম মাহজূরা-।
তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, এটি মিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও এটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল। It is He Who has let free the two bodies of flowing water: One palatable and sweet, and the other salt and bitter; yet has He made a barrier between them, a partition that is forbidden to be passed.
54 وَهُوَ ٱلَّذِى خَلَقَ مِنَ ٱلْمَآءِ بَشَرًا فَجَعَلَهُۥ نَسَبًا وَصِهْرًا وَكَانَ رَبُّكَ قَدِيرًا ওয়া হুওয়াল্লাযী খালাকা মিনাল মাই বাশরান ফাজা‘আলাহূনাছাবাওঁ ওয়া সিহরাও ওয়া কা-না রাব্বুকা কাদীরা-।
তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম। It is He Who has created man from water: then has He established relationships of lineage and marriage: for thy Lord has power (over all things).
55 وَيَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُهُمْ وَلَا يَضُرُّهُمْ وَكَانَ ٱلْكَافِرُ عَلَىٰ رَبِّهِۦ ظَهِيرًا ওয়া ইয়া‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি মা-লা-ইয়ানফা‘উহুম ওয়ালা-ইয়াদুররুহুম ওয়া কা-নাল কা-ফিরু ‘আলা-রাব্বিহী জাহীরা-।
তারা এবাদত করে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর, যা তাদের উপকার করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না। কাফের তো তার পালনকর্তার প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শনকারী। Yet do they worship, besides Allah, things that can neither profit them nor harm them: and the Misbeliever is a helper (of Evil), against his own Lord!
56 وَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ إِلَّا مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا ওয়ামাআরছালনা-কা ইল্লা-মুবাশশিরাওঁ ওয়া নাযীরা-।
আমি আপনাকে সুসংবাদ ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করেছি। But thee We only sent to give glad tidings and admonition.
57 قُلْ مَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِلَّا مَن شَآءَ أَن يَتَّخِذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ سَبِيلًا কুলমাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইল্লা-মান শাআ আইঁ ইয়াত্তাখিযাইলারাব্বিহী ছাবীলা-।
বলুন, আমি তোমাদের কাছে এর কোন বিনিময় চাই না, কিন্তু যে ইচ্ছা করে, সে তার পালনকর্তার পথ অবলম্বন করুক। Say: "No reward do I ask of you for it but this: that each one who will may take a (straight) Path to his Lord."
58 وَتَوَكَّلْ عَلَى ٱلْحَىِّ ٱلَّذِى لَا يَمُوتُ وَسَبِّحْ بِحَمْدِهِۦ وَكَفَىٰ بِهِۦ بِذُنُوبِ عِبَادِهِۦ خَبِيرًا ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল হাইয়িল্লাযী লা-ইয়ামূতুওয়া ছাব্বিহবিহামদিহী ওয়া কাফাবিহী বিযুনূবি ‘ইবা-দিহী খাবীরা ।
আপনি সেই চিরঞ্জীবের উপর ভরসা করুন, যার মৃত্যু নেই এবং তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করুন। তিনি বান্দার গোনাহ সম্পর্কে যথেষ্ট খবরদার। And put thy trust in Him Who lives and dies not; and celebrate his praise; and enough is He to be acquainted with the faults of His servants;-
59 ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِى سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِ ٱلرَّحْمَٰنُ فَسْـَٔلْ بِهِۦ خَبِيرًا আল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়ালা আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমা-ফী ছিত্তাতি আইয়া-মিন ছু ম্মাছতাওয়া-‘আলাল ‘আরশি আররাহমা-নূফাছআল বিহী খাবীরা-
তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস কর। He Who created the heavens and the earth and all that is between, in six days, and is firmly established on the Throne (of Authority): Allah Most Gracious: ask thou, then, about Him of any acquainted (with such things).
60 وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ٱسْجُدُوا۟ لِلرَّحْمَٰنِ قَالُوا۟ وَمَا ٱلرَّحْمَٰنُ أَنَسْجُدُ لِمَا تَأْمُرُنَا وَزَادَهُمْ نُفُورًا ۩ ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুছজু দূ লিররাহমা-নি কা-লূ ওয়ামার রাহমা-নু আনাছজুদু লিমা-তা’মুরুনা-ওয়া ঝা-দাহুম নুফূরা। (সিজদা-৮)
তাদেরকে যখন বলা হয়, দয়াময়কে সেজদা কর, তখন তারা বলে, দয়াময় আবার কে? তুমি কাউকে সেজদা করার আদেশ করলেই কি আমরা সেজদা করব? এতে তাদের পলায়নপরতাই বৃদ্ধি পায়। (সিজদা-৮) When it is said to them, "Prostrate to (Allah) Most Gracious!", they say, "And what is (Allah) Most Gracious? Shall we prostrate to that which thou commandest us?" And it increases their flight (from the Truth).

1 2 3