Surah Al-A'raf - আল আ'রাফ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ, Audio, Arabic Ayat & English Meaning

7
Al-A'raf
আল আ'রাফ
Meaning: The Heights - Released in Mecca Total Ayats: 206 (955 to 1160) Total Ruku: 24 - Sijda: 206 Ayat Para: 8 - According to Najil: 39
# Ayat & Ortho Uccharon & English Meaning
161 وَإِذْ قِيلَ لَهُمُ ٱسْكُنُوا۟ هَٰذِهِ ٱلْقَرْيَةَ وَكُلُوا۟ مِنْهَا حَيْثُ شِئْتُمْ وَقُولُوا۟ حِطَّةٌ وَٱدْخُلُوا۟ ٱلْبَابَ سُجَّدًا نَّغْفِرْ لَكُمْ خَطِيٓـَٰٔتِكُمْ سَنَزِيدُ ٱلْمُحْسِنِينَ ওয়া ইযকীলা লাহুমুছ কুনূহা-যিহিল কারইয়াতা ওয়া কুলূমিনহা-হাইছুশি’তুম ওয়া কূলূহিত্তাতুওঁ ওয়াদখুলুল বা-বা ছুজ্জাদান নাগফিরলাকুম খাতিূআ-তিকুম ছানাঝীদুল মুহছিনীন।
আর যখন তাদের প্রতি নির্দেশ হল যে, তোমরা এ নগরীতে বসবাস কর এবং খাও তা থেকে যেখান থেকে ইচ্ছা এবং বল, আমাদের ক্ষমা করুন। আর দরজা দিয়ে প্রবেশ কর প্রণত অবস্থায়। তবে আমি ক্ষমা করে দেব তোমাদের পাপসমুহ। অবশ্য আমি সৎকর্মীদিগকে অতিরিক্ত দান করব। And remember it was said to them: "Dwell in this town and eat therein as ye wish, but say the word of humility and enter the gate in a posture of humility: We shall forgive you your faults; We shall increase (the portion of) those who do good."
162 فَبَدَّلَ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنْهُمْ قَوْلًا غَيْرَ ٱلَّذِى قِيلَ لَهُمْ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِجْزًا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ بِمَا كَانُوا۟ يَظْلِمُونَ ফাবাদ্দালাল্লাযীনা জালামূমিনহুম কাওলান গাইরাল্লাযীকীলা লাহুম ফাআরছালনা‘আলাইহিম রিজঝাম মিনাছছামাই বিমা-কা-নূইয়াজলিমূন।
অনন্তর জালেমরা এতে অন্য শব্দ বদলে দিল তার পরিবর্তে, যা তাদেরকে বলা হয়েছিল। সুতরাং আমি তাদের উপর আযাব পাঠিয়েছি আসমান থেকে তাদের অপকর্মের কারণে। But the transgressors among them changed the word from that which had been given them so we sent on them a plague from heaven. For that they repeatedly transgressed.
163 وَسْـَٔلْهُمْ عَنِ ٱلْقَرْيَةِ ٱلَّتِى كَانَتْ حَاضِرَةَ ٱلْبَحْرِ إِذْ يَعْدُونَ فِى ٱلسَّبْتِ إِذْ تَأْتِيهِمْ حِيتَانُهُمْ يَوْمَ سَبْتِهِمْ شُرَّعًا وَيَوْمَ لَا يَسْبِتُونَ لَا تَأْتِيهِمْ كَذَٰلِكَ نَبْلُوهُم بِمَا كَانُوا۟ يَفْسُقُونَ ওয়াছআলহুম ‘আনিল কারইয়াতিল্লাতী কা-নাত হা-দিরাতাল বাহর । ইযইয়া‘দূ না ফিছছাবতি ইয তা’তীহিম হীতা-নুহুম ইয়াওমা ছাবতিহিম শুররা‘আওঁ ওয়া ইয়াওমা লাইয়াছবিতূনা লা-তা’তীহিম কাযা-লিকা নাবলূহুম বিমা-কা-নূইয়াফছুকূন।
আর তাদের কাছে সে জনপদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর যা ছিল নদীর তীরে অবস্থিত। যখন শনিবার দিনের নির্দেশের ব্যাপারে সীমাতিক্রম করতে লাগল, যখন আসতে লাগল মাছগুলো তাদের কাছে শনিবার দিন পানির উপর, আর যেদিন শনিবার হত না, আসত না। এভাবে আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি। কারণ, তারা ছিল নাফরমান। Ask them concerning the town standing close by the sea. Behold! they transgressed in the matter of the Sabbath. For on the day of their Sabbath their fish did come to them, openly holding up their heads, but on the day they had no Sabbath, they came not: thus did We make a trial of them, for they were given to transgression.
164 وَإِذْ قَالَتْ أُمَّةٌ مِّنْهُمْ لِمَ تَعِظُونَ قَوْمًا ٱللَّهُ مُهْلِكُهُمْ أَوْ مُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا قَالُوا۟ مَعْذِرَةً إِلَىٰ رَبِّكُمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ ওয়া ইযকা-লাত উম্মাতুম মিনহুম লিমা তা‘ইজূনা কাওমানিল্লা-হু মুহলিকুহুম আও মু‘আযযিবুহুম ‘আযা-বান শাদীদান কা-লূমা‘যিরাতান ইলা-রাব্বিকুম ওয়া লা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূন।
আর যখন তাদের মধ্যে থেকে এক সম্প্রদায় বলল, কেন সে লোকদের সদুপদেশ দিচ্ছেন, যাদেরকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিতে চান কিংবা আযাব দিতে চান কঠিন আযাব? সে বললঃ তোমাদের পালনকর্তার সামনে দোষ ফুরাবার জন্য এবং এজন্য যেন তারা ভীত হয়। When some of them said: "Why do ye preach to a people whom Allah will destroy or visit with a terrible punishment?"- said the preachers:" To discharge our duty to your Lord, and perchance they may fear Him."
165 فَلَمَّا نَسُوا۟ مَا ذُكِّرُوا۟ بِهِۦٓ أَنجَيْنَا ٱلَّذِينَ يَنْهَوْنَ عَنِ ٱلسُّوٓءِ وَأَخَذْنَا ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ بِعَذَابٍۭ بَـِٔيسٍۭ بِمَا كَانُوا۟ يَفْسُقُونَ ফালাম্মা- নাছূ মা-যুক্কিরূ বিহীআনজাইনাল্লাযীনা ইয়ানহাওনা ‘আনিছছূইওয়া আখাযনাল্লাযীনা জালামূবি‘আযা-বিম বাঈছিম বিমা-কা-নূইয়াফছুকূন।
অতঃপর যখন তারা সেসব বিষয় ভুলে গেল, যা তাদেরকে বোঝানো হয়েছিল, তখন আমি সেসব লোককে মুক্তি দান করলাম যারা মন্দ কাজ থেকে বারণ করত। আর পাকড়াও করলাম, গোনাহগারদেরকে নিকৃষ্ট আযাবের মাধ্যমে তাদের না-ফরমানীর দরুন। When they disregarded the warnings that had been given them, We rescued those who forbade Evil; but We visited the wrong-doers with a grievous punishment because they were given to transgression.
166 فَلَمَّا عَتَوْا۟ عَن مَّا نُهُوا۟ عَنْهُ قُلْنَا لَهُمْ كُونُوا۟ قِرَدَةً خَٰسِـِٔينَ ফালাম্মা-‘আতাও ‘আম্মা-নুহূ‘আনহু কুলনা-লাহুম কূনূকিরাদাতান খা-ছিঈন।
তারপর যখন তারা এগিয়ে যেতে লাগল সে কর্মে যা থেকে তাদের বারণ করা হয়েছিল, তখন আমি নির্দেশ দিলাম যে, তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও। When in their insolence they transgressed (all) prohibitions, We said to them: "Be ye apes, despised and rejected."
167 وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكَ لَيَبْعَثَنَّ عَلَيْهِمْ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِ مَن يَسُومُهُمْ سُوٓءَ ٱلْعَذَابِ إِنَّ رَبَّكَ لَسَرِيعُ ٱلْعِقَابِ وَإِنَّهُۥ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ ওয়া ইযতাআযযানা রাব্বুকা লাইয়াব‘আছান্না ‘আলাইহিম ইলা-ইয়াওমিল কিয়া-মাতি মাইঁ ইয়াছূমূহুম ছূআল ‘আযা-বি ইন্না রাব্বাকা লাছারী‘উল ইকা-বি ওয়া ইন্নাহূ লাগাফূরুর রাহীম।
আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন তোমার পালনকর্তা সংবাদ দিয়েছেন যে, অবশ্যই কেয়ামত দিবস পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দান করতে থাকবে। নিঃসন্দেহে তোমার পালনকর্তা শীঘ্র শাস্তি দানকারী এবং তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। Behold! thy Lord did declare that He would send against them, to the Day of Judgment, those who would afflict them with grievous penalty. Thy Lord is quick in retribution, but He is also Oft-forgiving, Most Merciful.
168 وَقَطَّعْنَٰهُمْ فِى ٱلْأَرْضِ أُمَمًا مِّنْهُمُ ٱلصَّٰلِحُونَ وَمِنْهُمْ دُونَ ذَٰلِكَ وَبَلَوْنَٰهُم بِٱلْحَسَنَٰتِ وَٱلسَّيِّـَٔاتِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ ওয়া কাত্তা‘না-হুম ফিল আরদিউমামান মিনহুমুসসা-লিহূনা ওয়া মিনহুম দূ না যালিকা ওয়া বালাওনা-হুম বিলহাছানা-তি ওয়াছছাইয়িআ-তি লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
আর আমি তাদেরকে বিভক্ত করে দিয়েছি দেশময় বিভিন্ন শ্রেনীতে, তাদের মধ্যে কিছু রয়েছে ভাল আর কিছু রয়েছে অন্য রকম! তাছাড়া আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি ভাল ও মন্দের মাধ্যমে যাতে তারা ফিরে আসে। We broke them up into sections on this earth. There are among them some that are the righteous, and some that are the opposite. We have tried them with both prosperity and adversity: In order that they might turn (to us).
169 فَخَلَفَ مِنۢ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ وَرِثُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ يَأْخُذُونَ عَرَضَ هَٰذَا ٱلْأَدْنَىٰ وَيَقُولُونَ سَيُغْفَرُ لَنَا وَإِن يَأْتِهِمْ عَرَضٌ مِّثْلُهُۥ يَأْخُذُوهُ أَلَمْ يُؤْخَذْ عَلَيْهِم مِّيثَٰقُ ٱلْكِتَٰبِ أَن لَّا يَقُولُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ إِلَّا ٱلْحَقَّ وَدَرَسُوا۟ مَا فِيهِ وَٱلدَّارُ ٱلْءَاخِرَةُ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ يَتَّقُونَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ ফাখালাফা মিমবা‘দিহিম খালফুওঁ ওয়ারিছুলকিতা-বা ইয়া’খুযূনা ‘আরাদাহা-যাল আদনা-ওয়া ইয়াকূলূনা ছাইউগফারুলানা ওয়া ইয়ঁইয়া’তিহিম ‘আরাদুম মিছলুহূ ইয়া’খুযূহু; আলাম ই’খায‘আলাইহিম মীছা-কুল কিতা-বি আল্লাইয়াকূলূ‘আলাল্লা-হি ইল্লাল হাক্কা ওয়া দারাছূমা-ফীহি ওয়াদ্দা-রুল আ-খিরাতুখাইরুল লিল্লাযীনা ইয়াত্তাকূনা আফালা-তা‘কিলূন।
তারপর তাদের পেছনে এসেছে কিছু অপদার্থ, যারা উত্তরাধিকারী হয়েছে কিতাবের; তারা নিকৃষ্ট পার্থিব উপকরণ আহরণ করছে এবং বলছে, আমাদের ক্ষমা করে দেয়া হবে। বস্তুতঃ এমনি ধরনের উপকরণ যদি আবারো তাদের সামনে উপস্থিত হয়, তবে তাও তুলে নেবে। তাদের কাছথেকে কিতাবে কি অঙ্গীকার নেয়া হয়নি যে, আল্লাহর প্রতি সত্য ছাড়া কিছু বলবে না? অথচ তারা সে সবই পাঠ করেছে, যা তাতে লেখা রয়েছে। বস্তুতঃ আখেরাতের আলয় ভীতদের জন্য উত্তম-তোমরা কি তা বোঝ না ? After them succeeded an (evil) generation: They inherited the Book, but they chose (for themselves) the vanities of this world, saying (for excuse): "(Everything) will be forgiven us." (Even so), if similar vanities came their way, they would (again) seize them. Was not the covenant of the Book taken from them, that they would not ascribe to Allah anything but the truth? and they study what is in the Book. But best for the righteous is the home in the Hereafter. Will ye not understand?
170 وَٱلَّذِينَ يُمَسِّكُونَ بِٱلْكِتَٰبِ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ إِنَّا لَا نُضِيعُ أَجْرَ ٱلْمُصْلِحِينَ ওয়াল্লাযীনা ইউমাছছিকূনা বিলকিতা-বি ওয়া আকা-মুসসালা-তা ইন্না-লা-নুদী‘উ আজরাল মুসলিহীন।
আর যেসব লোক সুদৃঢ়ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে নিশ্চয়ই আমি বিনষ্ট করব না সৎকর্মীদের সওয়াব। As to those who hold fast by the Book and establish regular prayer,- never shall We suffer the reward of the righteous to perish.
171 وَإِذْ نَتَقْنَا ٱلْجَبَلَ فَوْقَهُمْ كَأَنَّهُۥ ظُلَّةٌ وَظَنُّوٓا۟ أَنَّهُۥ وَاقِعٌۢ بِهِمْ خُذُوا۟ مَآ ءَاتَيْنَٰكُم بِقُوَّةٍ وَٱذْكُرُوا۟ مَا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ওয়া ইযনাতাকনাল জাবালা ফাওকাহুম কাআন্নাহূজু ল্লাতুওঁ ওয়া জান্নূ আন্নাহূওয়াকি‘উম বিহিম খুযূমাআ-তাইনা-কুম বিকুওওয়াতিওঁ ওয়াযকুরূমা-ফিহি লা‘আল্লাকুম তাত্তাকূন।
আর যখন আমি তুলে ধরলাম পাহাড়কে তাদের উপরে সামিয়ানার মত এবং তারা ভয় করতে লাগল যে, সেটি তাদের উপর পড়বে, তখন আমি বললাম, ধর, যা আমি তোমাদের দিয়েছি, দৃঢ়ভাবে এবং স্মরণ রেখো যা তাতে রয়েছে, যেন তোমরা বাঁচতে পার। When We shook the Mount over them, as if it had been a canopy, and they thought it was going to fall on them (We said): "Hold firmly to what We have given you, and bring (ever) to remembrance what is therein; perchance ye may fear Allah."
172 وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنۢ بَنِىٓ ءَادَمَ مِن ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا۟ بَلَىٰ شَهِدْنَآ أَن تَقُولُوا۟ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَٰذَا غَٰفِلِينَ ওয়া ইয আখাযা রাব্বুকা মিম বানীআ-দামা মিন জুহূরিহিম যুররিইইয়াতাহুম ওয়া আশহাদাহুম ‘আলাআনফুছিহিম আলাছতুবিরাব্বিকুম কা-লূবালা-শাহিদনা আন তাকূলূইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইন্না-কুন্না-‘আন হা-যা-গা-ফিলীন।
আর যখন তোমার পালনকর্তা বনী আদমের পৃষ্টদেশ থেকে বের করলেন তাদের সন্তানদেরকে এবং নিজের উপর তাদেরকে প্রতিজ্ঞা করালেন, আমি কি তোমাদের পালনকর্তা নই ? তারা বলল, অবশ্যই, আমরা অঙ্গীকার করছি। আবার না কেয়ামতের দিন বলতে শুরু কর যে, এ বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। When thy Lord drew forth from the Children of Adam - from their loins - their descendants, and made them testify concerning themselves, (saying): "Am I not your Lord (who cherishes and sustains you)?"- They said: "Yea! We do testify!" (This), lest ye should say on the Day of Judgment: "Of this we were never mindful":
173 أَوْ تَقُولُوٓا۟ إِنَّمَآ أَشْرَكَ ءَابَآؤُنَا مِن قَبْلُ وَكُنَّا ذُرِّيَّةً مِّنۢ بَعْدِهِمْ أَفَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ ٱلْمُبْطِلُونَ আও তাকূলূইন্নামা-আশরাকা আ-বাউনা মিন কাবলুওয়া কুন্না যুররিইয়াতাম মিম বা‘দিহিম আফাতুহলিকুনা-বিমা-ফা‘আলাল মুবতিলূন।
অথবা বলতে শুরু কর যে, অংশীদারিত্বের প্রথা তো আমাদের বাপ-দাদারা উদ্ভাবন করেছিল আমাদের পূর্বেই। আর আমরা হলাম তাদের পশ্চাৎবর্তী সন্তান-সন্ততি। তাহলে কি সে কর্মের জন্য আমাদেরকে ধ্বংস করবেন, যা পথভ্রষ্টরা করেছে? Or lest ye should say: "Our fathers before us may have taken false gods, but we are (their) descendants after them: wilt Thou then destroy us because of the deeds of men who were futile?"
174 وَكَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ وَلَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ ওয়া কাযা-লিকা নুফাসসিলুল আ-য়া-তি ওয়া লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
বস্তুতঃ এভাবে আমি বিষয়সমূহ সবিস্তারে বর্ণনা করি, যাতে তারা ফিরে আসে। Thus do We explain the signs in detail; and perchance they may turn (unto Us).
175 وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ٱلَّذِىٓ ءَاتَيْنَٰهُ ءَايَٰتِنَا فَٱنسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ ٱلشَّيْطَٰنُ فَكَانَ مِنَ ٱلْغَاوِينَ ওয়াতলু ‘আলাইহিম নাবাআল্লাযী আ-তাইনা-হুআ-য়া-তিনা-ফানছালাখা মিনহাফাআতবা‘আহুশশাইতা-নুফাকা-না মিনাল গা-বীন।
আর আপনি তাদেরকে শুনিয়ে দিন, সে লোকের অবস্থা, যাকে আমি নিজের নিদর্শনসমূহ দান করেছিলাম, অথচ সে তা পরিহার করে বেরিয়ে গেছে। আর তার পেছনে লেগেছে শয়তান, ফলে সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়েছে। Relate to them the story of the man to whom We sent Our signs, but he passed them by: so Satan followed him up, and he went astray.
176 وَلَوْ شِئْنَا لَرَفَعْنَٰهُ بِهَا وَلَٰكِنَّهُۥٓ أَخْلَدَ إِلَى ٱلْأَرْضِ وَٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ فَمَثَلُهُۥ كَمَثَلِ ٱلْكَلْبِ إِن تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ تَتْرُكْهُ يَلْهَث ذَّٰلِكَ مَثَلُ ٱلْقَوْمِ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا فَٱقْصُصِ ٱلْقَصَصَ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ ওয়া লাও শি’না-লারাফা‘না-হু বিহা-ওয়ালা-কিন্নাহূআখলাদা ইলাল আরদিওয়াত্তাবা‘আ হাওয়া-হু ফামাছালুহূকামাছালিল কালবি ইন তাহমিল ‘আলাইহি ইয়ালহাছআও তাতরুকহু ইয়ালহাছ যা-লিকা মাছালুল কাওমিল্লাযীনা কাযযাবূবিাআ-য়া-তিনা- ফাকসুসিল কাসাসা লা‘আল্লাহুম ইয়াতাফাক্কারূন।
অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে। If it had been Our will, We should have elevated him with Our signs; but he inclined to the earth, and followed his own vain desires. His similitude is that of a dog: if you attack him, he lolls out his tongue, or if you leave him alone, he (still) lolls out his tongue. That is the similitude of those who reject Our signs; So relate the story; perchance they may reflect.
177 سَآءَ مَثَلًا ٱلْقَوْمُ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا وَأَنفُسَهُمْ كَانُوا۟ يَظْلِمُونَ ছাআ মাছালানিল কাওমুল্লাযীনা কাযযাবূবিআ-ইয়া-তিনা- ওয়া আনফুছাহুম কা-নূ ইয়াজলিমূন।
তাদের উদাহরণ অতি নিকৃষ্ট, যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার আয়াত সমূহকে এবং তারা নিজেদেরই ক্ষতি সাধন করেছে। Evil as an example are people who reject Our signs and wrong their own souls.
178 مَن يَهْدِ ٱللَّهُ فَهُوَ ٱلْمُهْتَدِى وَمَن يُضْلِلْ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ মাইঁ ইয়াহদিল্লা-হু ফাহুওয়াল মুহতাদী ওয়া মাইঁ ইউদলিল ফাউলাইকা হুমুল খা-ছিরূন।
যাকে আল্লাহ পথ দেখাবেন, সেই পথপ্রাপ্ত হবে। আর যাকে তিনি পথ ভ্রষ্ট করবেন, সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। Whom Allah doth guide,- he is on the right path: whom He rejects from His guidance,- such are the persons who perish.
179 وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ ٱلْجِنِّ وَٱلْإِنسِ لَهُمْ قُلُوبٌ لَّا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ ءَاذَانٌ لَّا يَسْمَعُونَ بِهَآ أُو۟لَٰٓئِكَ كَٱلْأَنْعَٰمِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْغَٰفِلُونَ ওয়া লাকাদ যারা’না-লিজাহান্নামা কাছীরাম মিনাল জিন্নি ওয়ালইনছি লাহুম কুলূবুল্লাইয়াফকাহূনা বিহা- ওয়া লাহুম আ‘ইউনুল্লা-ইউবসিরূনা বিহা- ওয়া লাহুম আ-যানুল্লা-ইয়াছমা‘উনা বিহা- উলাইকা কালআন‘আ-মি বাল হুম আদাল্লু উলাইকা হুমুল গা-ফিলূন।
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ। Many are the Jinns and men we have made for Hell: They have hearts wherewith they understand not, eyes wherewith they see not, and ears wherewith they hear not. They are like cattle,- nay more misguided: for they are heedless (of warning).
180 وَلِلَّهِ ٱلْأَسْمَآءُ ٱلْحُسْنَىٰ فَٱدْعُوهُ بِهَا وَذَرُوا۟ ٱلَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِىٓ أَسْمَٰٓئِهِۦ سَيُجْزَوْنَ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ওয়ালিল্লা-হিল আছমাউল হুছনা- ফাদ‘ঊহু বিহা-;ওয়াযারুল্লাযীনা ইউলহিদূনা ফীআছমাইহী; ছাইউজঝাওনা মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে। The most beautiful names belong to Allah: so call on him by them; but shun such men as use profanity in his names: for what they do, they will soon be requited.
181 وَمِمَّنْ خَلَقْنَآ أُمَّةٌ يَهْدُونَ بِٱلْحَقِّ وَبِهِۦ يَعْدِلُونَ ওয়া মিম্মান খালাকনা-উম্মাতুইঁ ইয়াহদূনা বিলহাক্কিওয়াবিহী ইয়া‘দিলূন।
আর যাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি, তাদের মধ্যে এমন এক দল রয়েছে যারা সত্য পথ দেখায় এবং সে অনুযায়ী ন্যায়চিার করে। Of those We have created are people who direct (others) with truth. And dispense justice therewith.
182 وَٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا سَنَسْتَدْرِجُهُم مِّنْ حَيْثُ لَا يَعْلَمُونَ ওয়াল্লাযীনা কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা-ছানাছতাদরিজুহুম মিন হাইছুলা-ইয়া‘লামূন।
বস্তুতঃ যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার আয়াতসমূহকে, আমি তাদেরকে ক্রমান্বয়ে পাকড়াও করব এমন জায়গা থেকে, যার সম্পর্কে তাদের ধারণাও হবে না। Those who reject Our signs, We shall gradually visit with punishment, in ways they perceive not;
183 وَأُمْلِى لَهُمْ إِنَّ كَيْدِى مَتِينٌ ওয়া উমলী লাহুম ইন্না কাইদী মাতীন।
বস্তুতঃ আমি তাদেরকে ঢিল দিয়ে থাকি। নিঃসন্দেহে আমার কৌশল সুনিপুণ। Respite will I grant unto them: for My scheme is strong (and unfailing).
184 أَوَلَمْ يَتَفَكَّرُوا۟ مَا بِصَاحِبِهِم مِّن جِنَّةٍ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ আওয়ালাম ইয়াতাফাক্কারূ মা-বিসা-হিবিহিম মিন জিন্নাতিন ইন হুওয়া ইল্লা-নাযীরুম মুবীন।
তারা কি লক্ষ্য করেনি যে, তাদের সঙ্গী লোকটির মস্তিষ্কে কোন বিকৃতি নেই? তিনি তো ভীতি প্রদর্শনকারী প্রকৃষ্টভাবে। Do they not reflect? Their companion is not seized with madness: he is but a perspicuous warner.
185 أَوَلَمْ يَنظُرُوا۟ فِى مَلَكُوتِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا خَلَقَ ٱللَّهُ مِن شَىْءٍ وَأَنْ عَسَىٰٓ أَن يَكُونَ قَدِ ٱقْتَرَبَ أَجَلُهُمْ فَبِأَىِّ حَدِيثٍۭ بَعْدَهُۥ يُؤْمِنُونَ আওয়া লাম ইয়ানজুরূ ফী মালাকূতিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-খালাকাল্লা-হু মিন শাইয়িওঁ ওয়া আন ‘আছাআইঁ ইয়াকূনা কাদিকতারাবা আজালুহুম, ফাবিআইয়ি হাদীছিম বা‘দাহূইউ‘মিনূন।
তারা কি প্রত্যক্ষ করেনি আকাশ ও পৃথিবীর রাজ্য সম্পর্কে এবং যা কিছু সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তা’আলা বস্তু সামগ্রী থেকে এবং এ ব্যাপারে যে, তাদের সাথে কৃত ওয়াদার সময় নিকটবর্তী হয়ে এসেছে? বস্তুতঃ এরপর কিসের উপর ঈমান আনবে? Do they see nothing in the government of the heavens and the earth and all that Allah hath created? (Do they not see) that it may well be that their terms is nigh drawing to an end? In what message after this will they then believe?
186 مَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَلَا هَادِىَ لَهُۥ وَيَذَرُهُمْ فِى طُغْيَٰنِهِمْ يَعْمَهُونَ মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফালা-হা-দিইয়ালাহূ ওয়া ইয়াযারুহুম ফী তুগইয়া-নিহিম ইয়া‘মাহূন।
আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন। তার কোন পথপ্রদর্শক নেই। আর আল্লাহ তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে মত্ত অবস্তায় ছেড়ে দিয়ে রাখেন। To such as Allah rejects from His guidance, there can be no guide: He will leave them in their trespasses, wandering in distraction.
187 يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَىٰهَا قُلْ إِنَّمَا عِلْمُهَا عِندَ رَبِّى لَا يُجَلِّيهَا لِوَقْتِهَآ إِلَّا هُوَ ثَقُلَتْ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ لَا تَأْتِيكُمْ إِلَّا بَغْتَةً يَسْـَٔلُونَكَ كَأَنَّكَ حَفِىٌّ عَنْهَا قُلْ إِنَّمَا عِلْمُهَا عِندَ ٱللَّهِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ ইয়াছআলূনাকা ‘আনিছ ছা-‘আতি আইঁ ইয়া-না মুরছা-হা- কুল ইন্নামা-‘ইলমুহা-‘ইনদা রাববী লা-ইউজাললীহা-লিওয়াকতিহা-ইল্লা-হূ । ছাকুলাত ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি লা-তা’তীকুম ইল্লা-বাগতাতান ইয়াছআলূনাকা কাআন্নাকা হাফিইয়ুন ‘আনহা-; কুল ইন্নামা-‘ইলমুহা-‘ইনদাল্লা-হি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্নাছি লা-ইয়া‘লামূন।
আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কেয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে? বলে দিন এর খবর তো আমার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। তিনিই তা অনাবৃত করে দেখাবেন নির্ধারিত সময়ে। আসমান ও যমীনের জন্য সেটি অতি কঠিন বিষয়। যখন তা তোমাদের উপর আসবে অজান্তেই এসে যাবে। আপনাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে, যেন আপনি তার অনুসন্ধানে লেগে আছেন। বলে দিন, এর সংবাদ বিশেষ করে আল্লাহর নিকটই রয়েছে। কিন্তু তা অধিকাংশ লোকই উপলব্ধি করে না। They ask thee about the (final) Hour - when will be its appointed time? Say: "The knowledge thereof is with my Lord (alone): None but He can reveal as to when it will occur. Heavy were its burden through the heavens and the earth. Only, all of a sudden will it come to you." They ask thee as if thou Wert eager in search thereof: Say: "The knowledge thereof is with Allah (alone), but most men know not."
188 قُل لَّآ أَمْلِكُ لِنَفْسِى نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُ وَلَوْ كُنتُ أَعْلَمُ ٱلْغَيْبَ لَٱسْتَكْثَرْتُ مِنَ ٱلْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِىَ ٱلسُّوٓءُ إِنْ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ কুল লাআমলিকুলিনাফছী নাফ‘আওঁ ওয়ালা-দাররান ইল্লা-মা-শাআল্লা-হু ওয়া লাও কুনতুআ‘লামূল গাইবা লাছতাকছারতুমিনাল খাইরি ওয়ামা-মাছছানিয়াছ ছূউ ইন আনা ইল্লা-নাযীরুওঁ ওয়া বাশীরুল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য। Say: "I have no power over any good or harm to myself except as Allah willeth. If I had knowledge of the unseen, I should have multiplied all good, and no evil should have touched me: I am but a warner, and a bringer of glad tidings to those who have faith."
189 هُوَ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَٰحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا فَلَمَّا تَغَشَّىٰهَا حَمَلَتْ حَمْلًا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِۦ فَلَمَّآ أَثْقَلَت دَّعَوَا ٱللَّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ ءَاتَيْتَنَا صَٰلِحًا لَّنَكُونَنَّ مِنَ ٱلشَّٰكِرِينَ হুওয়াল্লাযীখালাকাকুম মিন নাফছিওঁ ওয়া-হিদাতিওঁ ওয়া জা‘আলা মিনহা-ঝাওজাহালিইয়াছকুনা ইলাইহা- ফালাম্মা-তাগাশশা-হা-হামালাত হামলান খাফীফান ফামাররাত বিহী, ফালাম্মাআছকালাদ্দা‘আওয়াল্লা-হা রাব্বাহুমা-লাইন আ-তাইতানা-সা-লিহাল লানাকূনান্না মিনাশশা-কিরীন।
তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে; আর তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া, যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে। অতঃপর পুরুষ যখন নারীকে আবৃত করল, তখন, সে গর্ভবতী হল। অতি হালকা গর্ভ। সে তাই নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল। তারপর যখন বোঝা হয়ে গেল, তখন উভয়েই আল্লাহকে ডাকল যিনি তাদের পালনকর্তা যে, তুমি যদি আমাদিগকে সুস্থ ও ভাল দান কর তবে আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করব। It is He Who created you from a single person, and made his mate of like nature, in order that he might dwell with her (in love). When they are united, she bears a light burden and carries it about (unnoticed). When she grows heavy, they both pray to Allah their Lord, (saying): "If Thou givest us a goodly child, we vow we shall (ever) be grateful."
190 فَلَمَّآ ءَاتَىٰهُمَا صَٰلِحًا جَعَلَا لَهُۥ شُرَكَآءَ فِيمَآ ءَاتَىٰهُمَا فَتَعَٰلَى ٱللَّهُ عَمَّا يُشْرِكُونَ ফালাম্মাআ-তা-হুমা-সা-লিহান জা‘আলা-লাহূ, শুরাকাআ ফীমাআ-তা-হুমা- ফাতা‘আ-লাল্লা-হু ‘আম্মা-ইউশরিকূন।
অতঃপর তাদেরকে যখন সুস্থ ও ভাল দান করা হল, তখন দানকৃত বিষয়ে তার অংশীদার তৈরী করতে লাগল। বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের শরীক সাব্যস্ত করা থেকে বহু উর্ধে। But when He giveth them a goodly child, they ascribe to others a share in the gift they have received: but Allah is exalted high above the partners they ascribe to Him.
191 أَيُشْرِكُونَ مَا لَا يَخْلُقُ شَيْـًٔا وَهُمْ يُخْلَقُونَ আ ইউশরিকূনা মা-লা-ইয়াখলুকুশাইআওঁ ওয়াহুম ইউখলাকূন।
তারা কি এমন কাউকে শরীক সাব্যস্ত করে, যে একটি বস্তুও সৃষ্টি করেনি, বরং তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। Do they indeed ascribe to Him as partners things that can create nothing, but are themselves created?
192 وَلَا يَسْتَطِيعُونَ لَهُمْ نَصْرًا وَلَآ أَنفُسَهُمْ يَنصُرُونَ ওয়ালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা লাহুম নাসরাওঁ ওয়ালাআনফুছাহুম ইয়ানসুরূন।
আর তারা, না তাদের সাহায্য করতে পারে, না নিজের সাহায্য করতে পারে। No aid can they give them, nor can they aid themselves!
193 وَإِن تَدْعُوهُمْ إِلَى ٱلْهُدَىٰ لَا يَتَّبِعُوكُمْ سَوَآءٌ عَلَيْكُمْ أَدَعَوْتُمُوهُمْ أَمْ أَنتُمْ صَٰمِتُونَ ওয়া ইন তাদ‘উহুম ইলাল হুদা-লা-ইয়াত্তাবি‘উকুম ছাওয়াউন ‘আলাইকুম আদা‘আওতুমূহুম আম আনতুম সা-মিতূন।
আর তোমরা যদি তাদেরকে আহবান কর সুপথের দিকে, তবে তারা তোমাদের আহবান অনুযায়ী চলবে না। তাদেরকে আহবান জানানো কিংবা নীরব থাকা উভয়টিই তোমাদের জন্য সমান। If ye call them to guidance, they will not obey: For you it is the same whether ye call them or ye hold your peace!
194 إِنَّ ٱلَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ عِبَادٌ أَمْثَالُكُمْ فَٱدْعُوهُمْ فَلْيَسْتَجِيبُوا۟ لَكُمْ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ ইন্নাল্লাযীনা তাদ‘ঊনা মিন দূনিল্লা-হি ‘ইবা-দুনআমছা-লুকুম ফাদ‘ঊহুম ফালইয়াছতাজীবূ লাকুম ইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা সবাই তোমাদের মতই বান্দা। অতএব, তোমরা যাদেরকে ডাক, তখন তাদের পক্ষেও তো তোমাদের সে ডাক কবুল করা উচিত যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক? Verily those whom ye call upon besides Allah are servants like unto you: Call upon them, and let them listen to your prayer, if ye are (indeed) truthful!
195 أَلَهُمْ أَرْجُلٌ يَمْشُونَ بِهَآ أَمْ لَهُمْ أَيْدٍ يَبْطِشُونَ بِهَآ أَمْ لَهُمْ أَعْيُنٌ يُبْصِرُونَ بِهَآ أَمْ لَهُمْ ءَاذَانٌ يَسْمَعُونَ بِهَا قُلِ ٱدْعُوا۟ شُرَكَآءَكُمْ ثُمَّ كِيدُونِ فَلَا تُنظِرُونِ আলাহুম আরজুলুইঁ ইয়ামশূনা বিহা- আম লাহুম আইদিইঁ ইয়াবতিশূনা বিহা- আম লাহুম আ‘ইউনুইঁ ইয়ুবসিরূনা বিহা- আম লাহুম আ-যা-নুইঁ ইয়াছমা‘ঊনা বিহা- কুলিদ‘ঊ শুরাকাআকুম ছুম্মা কীদূ নি ফালা-তুনজিরূন।
তাদের কি পা আছে, যদ্বারা তারা চলাফেরা করে, কিংবা তাদের কি হাত আছে, যদ্বারা তারা ধরে। অথবা তাদের কি চোখ আছে যদ্বারা তারা দেখতে পায় কিংবা তাদের কি কান আছে যদ্বারা শুনতে পায়? বলে দাও, তোমরা ডাক তোমাদের অংশীদারদিগকে, অতঃপর আমার অমঙ্গল কর এবং আমাকে অবকাশ দিও না। Have they feet to walk with? Or hands to lay hold with? Or eyes to see with? Or ears to hear with? Say: "Call your 'god-partners', scheme (your worst) against me, and give me no respite!
196 إِنَّ وَلِۦِّىَ ٱللَّهُ ٱلَّذِى نَزَّلَ ٱلْكِتَٰبَ وَهُوَ يَتَوَلَّى ٱلصَّٰلِحِينَ ইন্না ওয়ালিইয়িইয়াল্লা-হুল্লাযী নাঝঝালাল কিতা-বা ওয়া হুওয়া ইয়াতাওয়াল্লাসসা-লিহীন।
আমার সহায় তো হলেন আল্লাহ, যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। বস্তুত; তিনিই সাহায্য করেন সৎকর্মশীল বান্দাদের। "For my Protector is Allah, Who revealed the Book (from time to time), and He will choose and befriend the righteous.
197 وَٱلَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِۦ لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَكُمْ وَلَآ أَنفُسَهُمْ يَنصُرُونَ ওয়াল্লাযীনা তাদ‘ঊনা মিন দূনিহী লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাকুমওয়ালা-আনফুছাহুম ইয়ানসুরূন।
আর তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাক তারা না তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে, না নিজেদের আত্নরক্ষা করতে পারবে। "But those ye call upon besides Him, are unable to help you, and indeed to help themselves."
198 وَإِن تَدْعُوهُمْ إِلَى ٱلْهُدَىٰ لَا يَسْمَعُوا۟ وَتَرَىٰهُمْ يَنظُرُونَ إِلَيْكَ وَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ ওয়া ইন তাদ‘ঊহুম ইলাল হুদা-লা-ইয়াছমা‘ঊ ওয়া তারা-হুম ইয়ানজুরুনা ইলাইকা ওয়া হুম লা-ইউবসিরূন।
আর তুমি যদি তাদেরকে সুপথে আহবান কর, তবে তারা তা কিছুই শুনবে না। আর তুমি তো তাদের দেখছই, তোমার দিকে তাকিয়ে আছে, অথচ তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। If thou callest them to guidance, they hear not. Thou wilt see them looking at thee, but they see not.
199 خُذِ ٱلْعَفْوَ وَأْمُرْ بِٱلْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ ٱلْجَٰهِلِينَ খুযিল ‘আফওয়া ওয়া‘মুর বিল ‘উরফি ওয়া আ‘রিদ‘আনিল জা-হিলীন।
আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক। Hold to forgiveness; command what is right; But turn away from the ignorant.
200 وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ ٱلشَّيْطَٰنِ نَزْغٌ فَٱسْتَعِذْ بِٱللَّهِ إِنَّهُۥ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ওয়া ইম্মা-ইয়ানঝাগান্নাকা মিনাশশাইতা-নি নাঝগুন ফাছতা‘ইযবিল্লা-হি ইন্নাহূছামী‘উন ‘আলীম।
আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। If a suggestion from Satan assail thy (mind), seek refuge with Allah; for He heareth and knoweth (all things).
201 إِنَّ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ إِذَا مَسَّهُمْ طَٰٓئِفٌ مِّنَ ٱلشَّيْطَٰنِ تَذَكَّرُوا۟ فَإِذَا هُم مُّبْصِرُونَ ইন্নাল্লাযীনাত তাকাও ইযা-মাছছাহুম তাইফুম মিনাশশাইতা-নি তাযাক্কারূফাইযা-হুম মুবসিরূন।
যাদের মনে ভয় রয়েছে, তাদের উপর শয়তানের আগমন ঘটার সাথে সাথেই তারা সতর্ক হয়ে যায় এবং তখনই তাদের বিবেচনাশক্তি জাগ্রত হয়ে উঠে। Those who fear Allah, when a thought of evil from Satan assaults them, bring Allah to remembrance, when lo! they see (aright)!
202 وَإِخْوَٰنُهُمْ يَمُدُّونَهُمْ فِى ٱلْغَىِّ ثُمَّ لَا يُقْصِرُونَ ওয়া ইখওয়া-নুহুম ইয়ামুদ্দূনাহুম ফিল গাইয়ি ছুম্মা লা-ইউকসিরূন।
পক্ষান্তরে যারা শয়তানের ভাই, তাদেরকে সে ক্রমাগত পথভ্রষ্ট তার দিকে নিয়ে যায় অতঃপর তাতে কোন কমতি করে না। But their brethren (the evil ones) plunge them deeper into error, and never relax (their efforts).
203 وَإِذَا لَمْ تَأْتِهِم بِـَٔايَةٍ قَالُوا۟ لَوْلَا ٱجْتَبَيْتَهَا قُلْ إِنَّمَآ أَتَّبِعُ مَا يُوحَىٰٓ إِلَىَّ مِن رَّبِّى هَٰذَا بَصَآئِرُ مِن رَّبِّكُمْ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ ওয়া ইযা-লাম তা’তিহিম বিআ-য়াতিন কা-লূলাওলাজ তাবাইতাহা- কুল ইন্নামা আত্তাবি‘উ মা-ইউহা ইলাইইয়া মিররাববী হা-যা-বাসাইরু মিররাব্বিকুম ওয়া হুদাওঁ ওয়া রাহমাতুল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আর যখন আপনি তাদের নিকট কোন নিদর্শন নিয়ে না যান, তখন তারা বলে, আপনি নিজের পক্ষ থেকে কেন অমুকটি নিয়ে আসলেন না, তখন আপনি বলে দিন, আমি তো সে মতেই চলি যে হুকুম আমার নিকট আসে আমার পরওয়ারদেগারের কাছ থেকে। এটা ভাববার বিষয় তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং হেদায়েত ও রহমত সেসব লোকের জন্য যারা ঈমান এনেছে। If thou bring them not a revelation, they say: "Why hast thou not got it together?" Say: "I but follow what is revealed to me from my Lord: this is (nothing but) lights from your Lord, and Guidance, and mercy, for any who have faith."
204 وَإِذَا قُرِئَ ٱلْقُرْءَانُ فَٱسْتَمِعُوا۟ لَهُۥ وَأَنصِتُوا۟ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ ওয়া ইযা-কুরিয়াল কুরআ-নুফাছতামি‘ঊ লাহূওয়া আনসিতূলা‘আল্লাকুম তুরহামূন।
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। When the Qur'an is read, listen to it with attention, and hold your peace: that ye may receive Mercy.
205 وَٱذْكُر رَّبَّكَ فِى نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيفَةً وَدُونَ ٱلْجَهْرِ مِنَ ٱلْقَوْلِ بِٱلْغُدُوِّ وَٱلْءَاصَالِ وَلَا تَكُن مِّنَ ٱلْغَٰفِلِينَ ওয়াযকুর রাব্বাকা ফী নাফছিকা তাদাররু‘আওঁ ওয়া খীফাতওঁ ওয়া দূনাল জাহরি মিনাল কাওলি বিলগুদুওবিওয়াল আ-সা-লি ওয়ালা-তাকুম মিনাল গা-ফিলীন।
আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না। And do thou (O reader!) Bring thy Lord to remembrance in thy (very) soul, with humility and in reverence, without loudness in words, in the mornings and evenings; and be not thou of those who are unheedful.
206 إِنَّ ٱلَّذِينَ عِندَ رَبِّكَ لَا يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِهِۦ وَيُسَبِّحُونَهُۥ وَلَهُۥ يَسْجُدُونَ ۩ ইন্নাল্লাযীনা ‘ইন্দা রাব্বিকালা-ইয়াছতাকবিরূনা‘আন ‘ইবা-দাতিহীওয়াইউছাব্বিহূনাহূওয়া লাহূইয়াছজুদূন। (সিজদা-১)
নিশ্চয়ই যারা তোমার পরওয়ারদেগারের সান্নিধ্যে রয়েছেন, তারা তাঁর বন্দেগীর ব্যাপারে অহঙ্কার করেন না এবং স্মরণ করেন তাঁর পবিত্র সত্তাকে; আর তাঁকেই সেজদা করেন। (সিজদা-১) Those who are near to thy Lord, disdain not to do Him worship: They celebrate His praises, and prostrate before Him.

1 2 3 4 5