Surah Al-Hashr - আল হাশর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ, Audio, Arabic Ayat & English Meaning

59
Al-Hashr
আল হাশর
Meaning: The Gathering - Released in Medina Total Ayats: 24 (5127 to 5150) Total Ruku: 3 - Sijda: Para: 28 - According to Najil: 101
# Ayat & Ortho Uccharon & English Meaning
1 سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ ছাব্বাহা লিল্লা-হি মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি ওয়া হুয়াওয়াল ‘আঝীঝুল হাকীম।
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে। তিনি পরাক্রমশালী মহাজ্ঞানী। Whatever is in the heavens and on earth, let it declare the Praises and Glory of Allah: for He is the Exalted in Might, the Wise.
2 هُوَ ٱلَّذِىٓ أَخْرَجَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ مِن دِيَٰرِهِمْ لِأَوَّلِ ٱلْحَشْرِ مَا ظَنَنتُمْ أَن يَخْرُجُوا۟ وَظَنُّوٓا۟ أَنَّهُم مَّانِعَتُهُمْ حُصُونُهُم مِّنَ ٱللَّهِ فَأَتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوا۟ وَقَذَفَ فِى قُلُوبِهِمُ ٱلرُّعْبَ يُخْرِبُونَ بُيُوتَهُم بِأَيْدِيهِمْ وَأَيْدِى ٱلْمُؤْمِنِينَ فَٱعْتَبِرُوا۟ يَٰٓأُو۟لِى ٱلْأَبْصَٰرِ হুয়াল্লাযীআখরাজাল্লাযীনা কাফারূ মিন আহলিল কিতা-বি মিন দিয়া-রিহিম লিআওওয়ালিল হাশরি মা-জানানতম আইঁ ইয়াখরুজুওয়া জান্নুআন্নাহুম মানি‘আতুহুম হুসূনুহুম মিনাল্লা-হি ফাআতা-হুমুল্লা-হু মিন হাইছুলাম ইয়াহতাছিবূ ওয়া কাযাফা ফী কুলূবিহিমুররু‘বা ইউখরিবূনা বুয়ূতাহুম বিআইদীহিম ওয়া আইদিল মু’মিনীনা ফা‘তাবিরূ ইয়াউলিল আবসা-র।
তিনিই কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে প্রথমবার একত্রিত করে তাদের বাড়ী-ঘর থেকে বহিস্কার করেছেন। তোমরা ধারণাও করতে পারনি যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর কবল থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর এমনদিক থেকে আসল, যার কল্পনাও তারা করেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ত্রাস সঞ্চার করে দিলেন। তারা তাদের বাড়ী-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতে ধ্বংস করছিল। অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। It is He Who got out the Unbelievers among the People of the Book from their homes at the first gathering (of the forces). Little did ye think that they would get out: And they thought that their fortresses would defend them from Allah! But the (Wrath of) Allah came to them from quarters from which they little expected (it), and cast terror into their hearts, so that they destroyed their dwellings by their own hands and the hands of the Believers, take warning, then, O ye with eyes (to see)!
3 وَلَوْلَآ أَن كَتَبَ ٱللَّهُ عَلَيْهِمُ ٱلْجَلَآءَ لَعَذَّبَهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا وَلَهُمْ فِى ٱلْءَاخِرَةِ عَذَابُ ٱلنَّارِ ওয়া লাওলাআন কাতাবাল্লা-হু ‘আলাইহিমুল জালাআলাআযযাবাহুম ফিদ্দুনইয়া- ওয়া লাহুম আ-খিরাতি আযা-বুন্না-র।
আল্লাহ যদি তাদের জন্যে নির্বাসন অবধারিত না করতেন, তবে তাদেরকে দুনিয়াতে শাস্তি দিতেন। আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আযাব। And had it not been that Allah had decreed banishment for them, He would certainly have punished them in this world: And in the Hereafter they shall (certainly) have the Punishment of the Fire.
4 ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ شَآقُّوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَمَن يُشَآقِّ ٱللَّهَ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ যা-লিকা বিআন্নাহুম শাক্কুল্লা-হা ওয়া রাছূলাহু ওয়ামাই ইউশাক্কিল্লা-হা ফাইন্নাল্লাহা শাদীনুল ‘ইকা-ব।
এটা এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে, তার জানা উচিত যে, আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। That is because they resisted Allah and His Messenger: and if any one resists Allah, verily Allah is severe in Punishment.
5 مَا قَطَعْتُم مِّن لِّينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَآئِمَةً عَلَىٰٓ أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ ٱللَّهِ وَلِيُخْزِىَ ٱلْفَٰسِقِينَ মা-কাতা‘তুম মিল লিনাতিন আও তারাকতুমূহা- কাইমাতান ‘আলা উসূলিহাফাবিইযনিল্লা-হি ওয়া লিইউখঝিয়াল ফা-ছিকীন।
তোমরা যে কিছু কিছু খর্জুর বৃক্ষ কেটে দিয়েছ এবং কতক না কেটে ছেড়ে দিয়েছ, তা তো আল্লাহরই আদেশ এবং যাতে তিনি অবাধ্যদেরকে লাঞ্ছিত করেন। Whether ye cut down (O ye Muslim!) The tender palm-trees, or ye left them standing on their roots, it was by leave of Allah, and in order that He might cover with shame the rebellious transgresses.
6 وَمَآ أَفَآءَ ٱللَّهُ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ مِنْهُمْ فَمَآ أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُۥ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ওয়ামাআআল্লা-হু ‘আলা-রাছূলিহী মিনহুম ফামাআওজাফ তুম আলাইহি মিন খাইলিওঁ ওয়ালা-রিকা-বিওঁ ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা ইউছালিলতুরুছুলাহু আলা-মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লাহু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল্লাহ বনু-বনুযায়রের কাছ থেকে তাঁর রসূলকে যে ধন-সম্পদ দিয়েছেন, তজ্জন্যে তোমরা ঘোড়ায় কিংবা উটে চড়ে যুদ্ধ করনি, কিন্তু আল্লাহ যার উপর ইচ্ছা, তাঁর রসূলগণকে প্রাধান্য দান করেন। আল্লাহ সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। What Allah has bestowed on His Messenger (and taken away) from them - for this ye made no expedition with either cavalry or camelry: but Allah gives power to His messengers over any He pleases: and Allah has power over all things.
7 مَّآ أَفَآءَ ٱللَّهُ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ مِنْ أَهْلِ ٱلْقُرَىٰ فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِ كَىْ لَا يَكُونَ دُولَةًۢ بَيْنَ ٱلْأَغْنِيَآءِ مِنكُمْ وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمْ عَنْهُ فَٱنتَهُوا۟ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ মাআফাআল্লা-হু ‘আলা-রাছূলিহী মিন আহলিল কুরা-ফালিল্লা-হি ওয়া লিররাছূলি ওয়া লিযিল কুরবা-ওয়াল ইয়াতা-মা-ওয়াল মাছা-কীনি ওয়াবনিছছাবীলি কাইলা -ইয়াকূনা দূ লাতাম বাইনাল আগনিইয়াই মিনকুম ওয়ামাআ-তা-কুমুররাছূলুফাখুযূহু ওয়ামা-নাহা-কুম ‘আনহু ফানতাহূ ওয়াত্তাকুল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।
আল্লাহ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রসূলকে যা দিয়েছেন, তা আল্লাহর, রসূলের, তাঁর আত্নীয়-স্বজনের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্তদের এবং মুসাফিরদের জন্যে, যাতে ধনৈশ্বর্য্য কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যেই পুঞ্জীভূত না হয়। রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। What Allah has bestowed on His Messenger (and taken away) from the people of the townships,- belongs to Allah,- to His Messenger and to kindred and orphans, the needy and the wayfarer; In order that it may not (merely) make a circuit between the wealthy among you. So take what the Messenger assigns to you, and deny yourselves that which he withholds from you. And fear Allah; for Allah is strict in Punishment.
8 لِلْفُقَرَآءِ ٱلْمُهَٰجِرِينَ ٱلَّذِينَ أُخْرِجُوا۟ مِن دِيَٰرِهِمْ وَأَمْوَٰلِهِمْ يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضْوَٰنًا وَيَنصُرُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلصَّٰدِقُونَ লিল ফুকারাইল মুহা-জিরীনাল্লাযীনা উখরিজূমিন দিয়া-রিহিম ওয়া আমওয়া-লিহিম ইয়াবতাগূনা ফাদলাম মিনাল্লা-হি ওয়া রিদওয়া-নাওঁ ওয়া ইয়ানসুরূনাল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূ উলাইকা হুমুসসা-দিকূন।
এই ধন-সম্পদ দেশত্যাগী নিঃস্বদের জন্যে, যারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টিলাভের অন্বেষণে এবং আল্লাহ তাঁর রসূলের সাহায্যার্থে নিজেদের বাস্তুভিটা ও ধন-সম্পদ থেকে বহিস্কৃত হয়েছে। তারাই সত্যবাদী। (Some part is due) to the indigent Muhajirs, those who were expelled from their homes and their property, while seeking Grace from Allah and (His) Good Pleasure, and aiding Allah and His Messenger: such are indeed the sincere ones:-
9 وَٱلَّذِينَ تَبَوَّءُو ٱلدَّارَ وَٱلْإِيمَٰنَ مِن قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ وَلَا يَجِدُونَ فِى صُدُورِهِمْ حَاجَةً مِّمَّآ أُوتُوا۟ وَيُؤْثِرُونَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِۦ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ ওয়াল্লাযীনা তাবাওওয়াউদ্দা-রা ওয়াল ঈমা-না মিন কাবলিহিম ইউহিববূনা মান হা-জারা ইলাইহিম ওয়ালা-ইয়াজিদূ না ফী সুদূ রিহিম হা-জাতাম মিম্মাউতূওয়া ইউ’ছিরূনা ‘আলা আনফুছিহিম ওয়ালাও কা-না বিহিম খাসা-সাতুও ওয়া মাইঁ ইঊকা শুহহা নাফছিহী ফাউলাইকা হুমুল মুফলিহূন।
যারা মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে মদীনায় বসবাস করেছিল এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, তারা মুহাজিরদের ভালবাসে, মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে, তজ্জন্যে তারা অন্তরে ঈর্ষাপোষণ করে না এবং নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদেরকে অগ্রাধিকার দান করে। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম। But those who before them, had homes (in Medina) and had adopted the Faith,- show their affection to such as came to them for refuge, and entertain no desire in their hearts for things given to the (latter), but give them preference over themselves, even though poverty was their (own lot). And those saved from the covetousness of their own souls,- they are the ones that achieve prosperity.
10 وَٱلَّذِينَ جَآءُو مِنۢ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلْإِيمَٰنِ وَلَا تَجْعَلْ فِى قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ ওয়াল্লাযীনা জাঊ মিম বা‘দিহিম ইয়াকূ লূনা রাব্বানাগফিরলানা-ওয়া লিইখওয়া-নিনাল্লাযীনা ছাবকূনা-বিল ঈমা-নি ওয়ালা-তাজ‘আল ফী কুলূবিনা-গিল্লাল লিল্লাযীনা আ-মানূ রাব্বানাইন্নাকা রাঊফুর রাহ ীম।
আর এই সম্পদ তাদের জন্যে, যারা তাদের পরে আগমন করেছে। তারা বলেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে আগ্রহী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়। And those who came after them say: "Our Lord! Forgive us, and our brethren who came before us into the Faith, and leave not, in our hearts, rancour (or sense of injury) against those who have believed. Our Lord! Thou art indeed Full of Kindness, Most Merciful."
11 أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ نَافَقُوا۟ يَقُولُونَ لِإِخْوَٰنِهِمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ لَئِنْ أُخْرِجْتُمْ لَنَخْرُجَنَّ مَعَكُمْ وَلَا نُطِيعُ فِيكُمْ أَحَدًا أَبَدًا وَإِن قُوتِلْتُمْ لَنَنصُرَنَّكُمْ وَٱللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَٰذِبُونَ আলাম তারা ইলাল্লাযীনা না-ফাকূইয়াকূলূনা লিইখওয়া-নিহিমুল্লাযীনা কাফারূ মিন আহলিল কিতা-বি লাইন উখরিজতুম লানাখরুজান্না মা‘আকুম ওয়ালা-নুতী‘উ ফীকুম আহাদান আবাদওঁ ওয়া ইন কুতিলতুম লানানসুরান্নাকুম ওয়াল্লা-হু ইয়াশহাদুইন্নাহুম লাকা-যিবুন।
আপনি কি মুনাফিকদেরকে দেখেন নি? তারা তাদের কিতাবধারী কাফের ভাইদেরকে বলেঃ তোমরা যদি বহিস্কৃত হও, তবে আমরা অবশ্যই তোমাদের সাথে দেশ থেকে বের হয়ে যাব এবং তোমাদের ব্যাপারে আমরা কখনও কারও কথা মানব না। আর যদি তোমরা আক্রান্ত হও, তবে আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে সাহায্য করব। আল্লাহ তা’আলা সাক্ষ্য দেন যে, ওরা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী। Hast thou not observed the Hypocrites say to their misbelieving brethren among the People of the Book? - "If ye are expelled, we too will go out with you, and we will never hearken to any one in your affair; and if ye are attacked (in fight) we will help you". But Allah is witness that they are indeed liars.
12 لَئِنْ أُخْرِجُوا۟ لَا يَخْرُجُونَ مَعَهُمْ وَلَئِن قُوتِلُوا۟ لَا يَنصُرُونَهُمْ وَلَئِن نَّصَرُوهُمْ لَيُوَلُّنَّ ٱلْأَدْبَٰرَ ثُمَّ لَا يُنصَرُونَ লাইন উখরিজূলা ইয়াখরুজূনা মা‘আহুম ওয়া লাইন কূতিলূলা-ইয়ানসুরূনাহুম ওয়ালাইন নাসারূহুম লাইঊওয়াল্লুন্নাল আদবা-রা ছু ম্মা লা-ইউনসারূন।
যদি তারা বহিস্কৃত হয়, তবে মুনাফিকরা তাদের সাথে দেশত্যাগ করবে না আর যদি তারা আক্রান্ত হয়, তবে তারা তাদেরকে সাহায্য করবে না। যদি তাদেরকে সাহায্য করে, তবে অবশ্যই পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পলায়ন করবে। এরপর কাফেররা কোন সাহায্য পাবে না। If they are expelled, never will they go out with them; and if they are attacked (in fight), they will never help them; and if they do help them, they will turn their backs; so they will receive no help.
13 لَأَنتُمْ أَشَدُّ رَهْبَةً فِى صُدُورِهِم مِّنَ ٱللَّهِ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُونَ লাআনতুম আশাদ্দুরাহবাতান ফী সুদূ রিহিম মিনাল্লা-হি যা-লিকা বিআন্নাহুম কাওমুল লাইয়াফকাহুন।
নিশ্চয় তোমরা তাদের অন্তরে আল্লাহ তা’আলা অপেক্ষা অধিকতর ভয়াবহ। এটা এ কারণে যে, তারা এক নির্বোধ সম্প্রদায়। Of a truth ye are stronger (than they) because of the terror in their hearts, (sent) by Allah. This is because they are men devoid of understanding.
14 لَا يُقَٰتِلُونَكُمْ جَمِيعًا إِلَّا فِى قُرًى مُّحَصَّنَةٍ أَوْ مِن وَرَآءِ جُدُرٍۭ بَأْسُهُم بَيْنَهُمْ شَدِيدٌ تَحْسَبُهُمْ جَمِيعًا وَقُلُوبُهُمْ شَتَّىٰ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْقِلُونَ লা-ইউকা-তিলূনাকুম জামী‘আন ইল্লা ফী কুরামমুহাসসনাতিন আও মিওঁ ওয়ারাই জুদুরিন বা’ছুহুম বাইনাহুম শাদীদুন তাহছাবুহুম জামি‘আওঁ ওয়া কুলূবুহুম শাত্তা- যালিকা বিআন্নাহুম কাওমুল লা-ইয়া‘কিলূন।
তারা সংঘবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে না। তারা যুদ্ধ করবে কেবল সুরক্ষিত জনপদে অথবা দুর্গ প্রাচীরের আড়াল থেকে। তাদের পারস্পরিক যুদ্ধই প্রচন্ড হয়ে থাকে। আপনি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করবেন; কিন্তু তাদের অন্তর শতধাবিচ্ছিন্ন। এটা এ কারণে যে, তারা এক কান্ডজ্ঞানহীণ সম্প্রদায়। They will not fight you (even) together, except in fortified townships, or from behind walls. Strong is their fighting (spirit) amongst themselves: thou wouldst think they were united, but their hearts are divided: that is because they are a people devoid of wisdom.
15 كَمَثَلِ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ قَرِيبًا ذَاقُوا۟ وَبَالَ أَمْرِهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ কামাছালিল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কারীবান যা-কূওয়া বা-লা আমরিহিম ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
তারা সেই লোকদের মত, যারা তাদের নিকট অতীতে নিজেদের কর্মের শাস্তিভোগ করেছে। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। Like those who lately preceded them, they have tasted the evil result of their conduct; and (in the Hereafter there is) for them a grievous Penalty;-
16 كَمَثَلِ ٱلشَّيْطَٰنِ إِذْ قَالَ لِلْإِنسَٰنِ ٱكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّى بَرِىٓءٌ مِّنكَ إِنِّىٓ أَخَافُ ٱللَّهَ رَبَّ ٱلْعَٰلَمِينَ কামাছালিশশাইতা-নি ইযকা-লা লিল ইনছা-নিকফুর ফালাম্মা-কাফারা কালা ইন্নী বারীউম মিনকা ইন্নীআখা-ফুল্লা-হা রাব্বাল ‘আ-লামীন।
তারা শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলেঃ তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করি। (Their allies deceived them), like the Evil One, when he says to man, "Deny Allah": but when (man) denies Allah, (the Evil One) says, "I am free of thee: I do fear Allah, the Lord of the Worlds!"
17 فَكَانَ عَٰقِبَتَهُمَآ أَنَّهُمَا فِى ٱلنَّارِ خَٰلِدَيْنِ فِيهَا وَذَٰلِكَ جَزَٰٓؤُا۟ ٱلظَّٰلِمِينَ ফাকা-না ‘আ-কিবাতাহুমাআন্নাহুমা-ফিন্না-রি খা-লিদাইনি ফীহা- ওয়া যা-লিকা জাঝাউজ্জা-লিমীন।
অতঃপর উভয়ের পরিণতি হবে এই যে, তারা জাহান্নামে যাবে এবং চিরকাল তথায় বসবাস করবে। এটাই জালেমদের শাস্তি। The end of both will be that they will go into the Fire, dwelling therein for ever. Such is the reward of the wrong-doers.
18 يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَلْتَنظُرْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ لِغَدٍ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرٌۢ بِمَا تَعْمَلُونَ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুত্তাকুল্লা-হা ওয়ালতানজুর নাফছুম মা-কাদ্দামাত লিগাদিও ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা খাবীরুম বিমা-তা‘মালূন।
মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামী কালের জন্যে সে কি প্রেরণ করে, তা চিন্তা করা। আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করতে থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা’আলা সে সম্পর্কে খবর রাখেন। O ye who believe! Fear Allah, and let every soul look to what (provision) He has sent forth for the morrow. Yea, fear Allah: for Allah is well-acquainted with (all) that ye do.
19 وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ نَسُوا۟ ٱللَّهَ فَأَنسَىٰهُمْ أَنفُسَهُمْ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَٰسِقُونَ ওয়ালা-তাকূনূকাল্লাযীনা নাছুল্লা-হা ফাআনছা-হুম আনফুছাহুম উলাইকা হুমুল ফাছিকূন।
তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা আল্লাহ তা’আলাকে ভুলে গেছে। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে আত্ন বিস্মৃত করে দিয়েছেন। তারাই অবাধ্য। And be ye not like those who forgot Allah; and He made them forget their own souls! Such are the rebellious transgressors!
20 لَا يَسْتَوِىٓ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِ وَأَصْحَٰبُ ٱلْجَنَّةِ أَصْحَٰبُ ٱلْجَنَّةِ هُمُ ٱلْفَآئِزُونَ লা-ইয়াছতাবীআসহা-বুন্না-রি ওয়া আসহা-বুল জান্নাতি আসহা-বুল জান্নাতি হুমুল ফাইঝুন।
জাহান্নামের অধিবাসী এবং জান্নাতের অধিবাসী সমান হতে পারে না। যারা জান্নাতের অধিবাসী, তারাই সফলকাম। Not equal are the Companions of the Fire and the Companions of the Garden: it is the Companions of the Garden, that will achieve Felicity.
21 لَوْ أَنزَلْنَا هَٰذَا ٱلْقُرْءَانَ عَلَىٰ جَبَلٍ لَّرَأَيْتَهُۥ خَٰشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ ٱللَّهِ وَتِلْكَ ٱلْأَمْثَٰلُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ লাও আনঝালনা-হা-যাল কুরআ-না ‘আলা-জাবালিল লারাআইতাহু খা-শি‘আম মুতাসাদ্দি‘ আম মিন খাশয়াতিল্লা-হি ওয়া তিলকাল আমছা-লুনাদরিবুহা-লিন্নাছি লা‘আল্লাহম ইয়াতাফাক্কারূন।
যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। Had We sent down this Qur'an on a mountain, verily, thou wouldst have seen it humble itself and cleave asunder for fear of Allah. Such are the similitudes which We propound to men, that they may reflect.
22 هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِى لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ عَٰلِمُ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ هُوَ ٱلرَّحْمَٰنُ ٱلرَّحِيمُ হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম।
তিনিই আল্লাহ তা’আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। Allah is He, than Whom there is no other god;- Who knows (all things) both secret and open; He, Most Gracious, Most Merciful.
23 هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِى لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْمَلِكُ ٱلْقُدُّوسُ ٱلسَّلَٰمُ ٱلْمُؤْمِنُ ٱلْمُهَيْمِنُ ٱلْعَزِيزُ ٱلْجَبَّارُ ٱلْمُتَكَبِّرُ سُبْحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন।
তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্নশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা’ আলা তা থেকে পবিত্র। Allah is He, than Whom there is no other god;- the Sovereign, the Holy One, the Source of Peace (and Perfection), the Guardian of Faith, the Preserver of Safety, the Exalted in Might, the Irresistible, the Supreme: Glory to Allah! (High is He) above the partners they attribute to Him.
24 هُوَ ٱللَّهُ ٱلْخَٰلِقُ ٱلْبَارِئُ ٱلْمُصَوِّرُ لَهُ ٱلْأَسْمَآءُ ٱلْحُسْنَىٰ يُسَبِّحُ لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।
তিনিই আল্লাহ তা’আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়। He is Allah, the Creator, the Evolver, the Bestower of Forms (or Colours). To Him belong the Most Beautiful Names: whatever is in the heavens and on earth, doth declare His Praises and Glory: and He is the Exalted in Might, the Wise.