Al-Qasas
আল কাসাস
Meaning: The Narration - Released in Mecca
Total Ayats: 88 (3253 to 3340)
Total Ruku: 8 - Sijda:
Para: 20 - According to Najil: 49
# | Ayat & Ortho | Uccharon & English Meaning |
---|---|---|
1 | طسٓمٓ | তা-ছিম মীম। |
ত্বা-সীন-মীম। | Ta. Sin. Mim. | |
2 | تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱلْكِتَٰبِ ٱلْمُبِينِ | তিলকা আ-য়া-তুল কিতা-বিল মুবীন। |
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত। | These are Verses of the Book that makes (things) clear. | |
3 | نَتْلُوا۟ عَلَيْكَ مِن نَّبَإِ مُوسَىٰ وَفِرْعَوْنَ بِٱلْحَقِّ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ | নাতলূ‘আলাইকা মিন নাবাই মূছা-ওয়াফির‘আওনা বিলহাক্কিলিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন। |
আমি আপনার কাছে মূসা ও ফেরাউনের বৃত্তান্ত সত্য সহকারে বর্ণনা করছি ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে। | We rehearse to thee some of the story of Moses and Pharaoh in Truth, for people who believe. | |
4 | إِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِى ٱلْأَرْضِ وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا يَسْتَضْعِفُ طَآئِفَةً مِّنْهُمْ يُذَبِّحُ أَبْنَآءَهُمْ وَيَسْتَحْىِۦ نِسَآءَهُمْ إِنَّهُۥ كَانَ مِنَ ٱلْمُفْسِدِينَ | ইন্না ফির‘আওনা ‘আলা-ফিল আরদিওয়াজা‘আলা আহলাহা-শিইয়া‘আইঁ ইয়াছতাদ‘ইফু তাইফাতাম মিনহুম ইউযাব্বিহুআবনাআহুম ওয়াইয়াছতাহয়ী নিছাআহুম ইন্নাহূ কা-না মিনাল মুফছিদীন। |
ফেরাউন তার দেশে উদ্ধত হয়েছিল এবং সে দেশবাসীকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে তাদের একটি দলকে দূর্বল করে দিয়েছিল। সে তাদের পুত্র-সন্তানদেরকে হত্যা করত এবং নারীদেরকে জীবিত রাখত। নিশ্চয় সে ছিল অনর্থ সৃষ্টিকারী। | Truly Pharaoh elated himself in the land and broke up its people into sections, depressing a small group among them: their sons he slew, but he kept alive their females: for he was indeed a maker of mischief. | |
5 | وَنُرِيدُ أَن نَّمُنَّ عَلَى ٱلَّذِينَ ٱسْتُضْعِفُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ ٱلْوَٰرِثِينَ | ওয়ানুরীদুআন্নামুন্না ‘আলাল্লাযীনাছতুদ‘ইফূফিল আরদি ওয়া নাজ‘আলাহুম আয়িম্মাতাওঁ ওয়া নাজ‘আলাহুমুল ওয়া-রিছীন। |
দেশে যাদেরকে দূর্বল করা হয়েছিল, আমার ইচ্ছা হল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করার, তাদেরকে নেতা করার এবং তাদেরকে দেশের উত্তরাধিকারী করার। | And We wished to be Gracious to those who were being depressed in the land, to make them leaders (in Faith) and make them heirs, | |
6 | وَنُمَكِّنَ لَهُمْ فِى ٱلْأَرْضِ وَنُرِىَ فِرْعَوْنَ وَهَٰمَٰنَ وَجُنُودَهُمَا مِنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَحْذَرُونَ | ওয়া নুমাক্কিনা লাহুম ফিল আরদি ওয়া নুরিয়া ফির‘আওনা ওয়া হা-মা-না ওয়া জুনূদাহুমামিনহুম মা-কা-নূইয়াহযারূন। |
এবং তাদেরকে দেশের ক্ষমতায় আসীন করার এবং ফেরাউন, হামান ও তাদের সৈন্য-বাহিনীকে তা দেখিয়ে দেয়ার, যা তারা সেই দূর্বল দলের তরফ থেকে আশংকা করত। | To establish a firm place for them in the land, and to show Pharaoh, Haman, and their hosts, at their hands, the very things against which they were taking precautions. | |
7 | وَأَوْحَيْنَآ إِلَىٰٓ أُمِّ مُوسَىٰٓ أَنْ أَرْضِعِيهِ فَإِذَا خِفْتِ عَلَيْهِ فَأَلْقِيهِ فِى ٱلْيَمِّ وَلَا تَخَافِى وَلَا تَحْزَنِىٓ إِنَّا رَآدُّوهُ إِلَيْكِ وَجَاعِلُوهُ مِنَ ٱلْمُرْسَلِينَ | ওয়া আওহাইনাইলাউম্মিা মূছাআন আরদি‘ঈহি ফাইযা-খিফতি ‘আলাইহি ফাআলকীহি ফিল ইয়াম্মি ওয়ালা-তাখা-ফী ওয়ালা-তাহঝানী ইন্না-রাদ্দূহু ইলাইকি ওয়া জা-‘ইলূহু মিনাল মুরছালীন। |
আমি মূসা-জননীকে আদেশ পাঠালাম যে, তাকে স্তন্য দান করতে থাক। অতঃপর যখন তুমি তার সম্পর্কে বিপদের আশংকা কর, তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ কর এবং ভয় করো না, দুঃখও করো না। আমি অবশ্যই তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেব এবং তাকে পয়গম্বরগণের একজন করব। | So We sent this inspiration to the mother of Moses: "Suckle (thy child), but when thou hast fears about him, cast him into the river, but fear not nor grieve: for We shall restore him to thee, and We shall make him one of Our messengers." | |
8 | فَٱلْتَقَطَهُۥٓ ءَالُ فِرْعَوْنَ لِيَكُونَ لَهُمْ عَدُوًّا وَحَزَنًا إِنَّ فِرْعَوْنَ وَهَٰمَٰنَ وَجُنُودَهُمَا كَانُوا۟ خَٰطِـِٔينَ | ফালতাকাতাহূ আ-লুফির‘আওনা লিয়াকূনা লাহুম ‘আদুওওয়াওঁ ওয়া হাঝানান ইন্না ফির‘আওনা ওয়া হা-মা-না ওয়া জুনূদাহুমা-কা-নূখা-তিঈন। |
অতঃপর ফেরাউন পরিবার মূসাকে কুড়িয়ে নিল, যাতে তিনি তাদের শত্রু ও দুঃখের কারণ হয়ে যান। নিশ্চয় ফেরাউন, হামান, ও তাদের সৈন্যবাহিনী অপরাধী ছিল। | Then the people of Pharaoh picked him up (from the river): (It was intended) that (Moses) should be to them an adversary and a cause of sorrow: for Pharaoh and Haman and (all) their hosts were men of sin. | |
9 | وَقَالَتِ ٱمْرَأَتُ فِرْعَوْنَ قُرَّتُ عَيْنٍ لِّى وَلَكَ لَا تَقْتُلُوهُ عَسَىٰٓ أَن يَنفَعَنَآ أَوْ نَتَّخِذَهُۥ وَلَدًا وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ | ওয়া কা-লাতিমরাআতুফির‘আওনা কুররাতু‘আইনিললী ওয়ালাকা লা-তাকতুলূহু ‘আছা আইঁ ইয়ানফা‘আনাআও নাত্তাখিযাহূওয়ালাদাওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াশ‘উরূন। |
ফেরাউনের স্ত্রী বলল, এ শিশু আমার ও তোমার নয়নমণি, তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে পুত্র করে নিতে পারি। প্রকৃতপক্ষে পরিণাম সম্পর্কে তাদের কোন খবর ছিল না। | The wife of Pharaoh said: "(Here is) joy of the eye, for me and for thee: slay him not. It may be that he will be use to us, or we may adopt him as a son." And they perceived not (what they were doing)! | |
10 | وَأَصْبَحَ فُؤَادُ أُمِّ مُوسَىٰ فَٰرِغًا إِن كَادَتْ لَتُبْدِى بِهِۦ لَوْلَآ أَن رَّبَطْنَا عَلَىٰ قَلْبِهَا لِتَكُونَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ | ওয়াআসবাহা ফুআ-দুউম্মি মূছা-ফা-রিগান ইন কা-দাত লাতুবদী বিহী লাওলাআর রাবাতনা-‘আলা-কালবিহা-লিতাকূনা মিনাল মু’মিনীন |
সকালে মূসা জননীর অন্তর অস্থির হয়ে পড়ল। যদি আমি তাঁর হৃদয়কে দৃঢ় করে না দিতাম, তবে তিনি মূসাজনিত অস্থিরতা প্রকাশ করেই দিতেন। দৃঢ় করলাম, যাতে তিনি থাকেন বিশ্ববাসীগণের মধ্যে। | But there came to be a void in the heart of the mother of Moses: She was going almost to disclose his (case), had We not strengthened her heart (with faith), so that she might remain a (firm) believer. | |
11 | وَقَالَتْ لِأُخْتِهِۦ قُصِّيهِ فَبَصُرَتْ بِهِۦ عَن جُنُبٍ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ | ওয়া কা-লাত লিউখতিহী কুসসীহি ফাবাসুরাত বিহী ‘আন জুনুবিওঁ ওয়াহুম লাইয়াশ‘উরূন। |
তিনি মূসার ভগিণীকে বললেন, তার পেছন পেছন যাও। সে তাদের অজ্ঞাতসারে অপরিচিতা হয়ে তাকে দেখে যেতে লাগল। | And she said to the sister of (Moses), "Follow him" so she (the sister) watched him in the character of a stranger. And they knew not. | |
12 | وَحَرَّمْنَا عَلَيْهِ ٱلْمَرَاضِعَ مِن قَبْلُ فَقَالَتْ هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَىٰٓ أَهْلِ بَيْتٍ يَكْفُلُونَهُۥ لَكُمْ وَهُمْ لَهُۥ نَٰصِحُونَ | ওয়া হাররামনা- ‘আলাইহিল মারা-দি‘আ মিন কাবলুফাকা-লাত হাল আদুললকুম ‘আলাআহলি বাইতিইঁ ইয়াকফুলূনাহূলাকুম ওয়াহুম লাহূনা-সিহূন। |
পূর্ব থেকেই আমি ধাত্রীদেরকে মূসা থেকে বিরত রেখেছিলাম। মূসার ভগিনী বলল, আমি তোমাদেরকে এমন এক পরিবারের কথা বলব কি, যারা তোমাদের জন্যে একে লালন-পালন করবে এবং তারা হবে তার হিতাকাঙ্ক্ষী? | And we ordained that he refused suck at first, until (His sister came up and) said: "Shall I point out to you the people of a house that will nourish and bring him up for you and be sincerely attached to him?"... | |
13 | فَرَدَدْنَٰهُ إِلَىٰٓ أُمِّهِۦ كَىْ تَقَرَّ عَيْنُهَا وَلَا تَحْزَنَ وَلِتَعْلَمَ أَنَّ وَعْدَ ٱللَّهِ حَقٌّ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ | ফারাদাদনা-হুইলাউম্মিহী কাই তাকাররা ‘আইনুহা- ওয়ালা-তাহঝানা, ওয়ালিতা‘লামা আন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন। |
অতঃপর আমি তাকে জননীর কাছে ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চক্ষু জুড়ায় এবং তিনি দুঃখ না করেন এবং যাতে তিনি জানেন যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য, কিন্তু অনেক মানুষ তা জানে না। | Thus did We restore him to his mother, that her eye might be comforted, that she might not grieve, and that she might know that the promise of Allah is true: but most of them do not understand. | |
14 | وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُۥ وَٱسْتَوَىٰٓ ءَاتَيْنَٰهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَكَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ | ওয়ালাম্মা-বালাগা আশুদ্দাহূওয়াছতাওয়াআ-তাইনা-হু হুকমাওঁ ওয়া ‘ইলমাওঁ ওয়া কাযা-লিকা নাজঝিল মুহছিনীন। |
যখন মূসা যৌবনে পদার্পন করলেন এবং পরিণত বয়স্ক হয়ে গেলেন, তখন আমি তাঁকে প্রজ্ঞা ও জ্ঞানদান করলাম। এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। | When he reached full age, and was firmly established (in life), We bestowed on him wisdom and knowledge: for thus do We reward those who do good. | |
15 | وَدَخَلَ ٱلْمَدِينَةَ عَلَىٰ حِينِ غَفْلَةٍ مِّنْ أَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ هَٰذَا مِن شِيعَتِهِۦ وَهَٰذَا مِنْ عَدُوِّهِۦ فَٱسْتَغَٰثَهُ ٱلَّذِى مِن شِيعَتِهِۦ عَلَى ٱلَّذِى مِنْ عَدُوِّهِۦ فَوَكَزَهُۥ مُوسَىٰ فَقَضَىٰ عَلَيْهِ قَالَ هَٰذَا مِنْ عَمَلِ ٱلشَّيْطَٰنِ إِنَّهُۥ عَدُوٌّ مُّضِلٌّ مُّبِينٌ | ওয়া দাখালাল মাদীনাতা ‘আলা-হীনি গাফলাতিম মিন আহলিহা-ফাওয়াজাদাফীহারাজুলাইনি ইয়াকতাতিলা-নি হা-যা-মিন শী‘আতিহী ওয়া হা-যা-মিন আদুওবিহী ফাছতাগা-ছাহুল্লাযী মিন শী‘আতিহী ‘আলাল্লাযী মিন ‘আদুওবিহী ফাওয়াকাঝাহূ মূছা-ফাকাদা-‘আলাইহি কা-লা হা-যা-মিন ‘আমালিশশাইতা-নি ইন্নাহূ ‘আদুওউম মুদিল্লুম মুবীন। |
তিনি শহরে প্রবেশ করলেন, যখন তার অধিবাসীরা ছিল বেখবর। তথায় তিনি দুই ব্যক্তিকে লড়াইরত দেখলেন। এদের একজন ছিল তাঁর নিজ দলের এবং অন্য জন তাঁর শত্রু দলের। অতঃপর যে তাঁর নিজ দলের সে তাঁর শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন মূসা তাকে ঘুষি মারলেন এবং এতেই তার মৃত্যু হয়ে গেল। মূসা বললেন, এটা শয়তানের কাজ। নিশ্চয় সে প্রকাশ্য শত্রু, বিভ্রান্তকারী। | And he entered the city at a time when its people were not watching: and he found there two men fighting,- one of his own religion, and the other, of his foes. Now the man of his own religion appealed to him against his foe, and Moses struck him with his fist and made an end of him. He said: "This is a work of Evil (Satan): for he is an enemy that manifestly misleads!" | |
16 | قَالَ رَبِّ إِنِّى ظَلَمْتُ نَفْسِى فَٱغْفِرْ لِى فَغَفَرَ لَهُۥٓ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ | কা-লা রাব্বি ইন্নী জালামতুনাফছী ফাগফিরলী ফাগাফারা লাহূ ইন্নাহূহুওয়াল গাফূরুর রাহীম। |
তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। | He prayed: "O my Lord! I have indeed wronged my soul! Do Thou then forgive me!" So (Allah) forgave him: for He is the Oft-Forgiving, Most Merciful. | |
17 | قَالَ رَبِّ بِمَآ أَنْعَمْتَ عَلَىَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِّلْمُجْرِمِينَ | কা-লা রাব্বি বিমাআন‘আমতা আলাইইয়া ফালান আকূনা জাহীরাল লিলমুজরিমীন। |
তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, এরপর আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না। | He said: "O my Lord! For that Thou hast bestowed Thy Grace on me, never shall I be a help to those who sin!" | |
18 | فَأَصْبَحَ فِى ٱلْمَدِينَةِ خَآئِفًا يَتَرَقَّبُ فَإِذَا ٱلَّذِى ٱسْتَنصَرَهُۥ بِٱلْأَمْسِ يَسْتَصْرِخُهُۥ قَالَ لَهُۥ مُوسَىٰٓ إِنَّكَ لَغَوِىٌّ مُّبِينٌ | ফাআসবাহা ফিল মাদীনাতি খাইফাইঁ ইয়াতারাক্কাবুফাইযাল্লাযিছ তানসারাহূবিলআমছি ইয়াছতাসরিখুহু কা-লা লাহূমূছাইন্নাকা লাগাবিইউম মুবীন। |
অতঃপর তিনি প্রভাতে উঠলেন সে শহরে ভীত-শংকিত অবস্থায়। হঠাৎ তিনি দেখলেন, গতকল্য যে ব্যক্তি তাঁর সাহায্য চেয়েছিল, সে চিৎকার করে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করছে। মূসা তাকে বললেন, তুমি তো একজন প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট ব্যক্তি। | So he saw the morning in the city, looking about, in a state of fear, when behold, the man who had, the day before, sought his help called aloud for his help (again). Moses said to him: "Thou art truly, it is clear, a quarrelsome fellow!" | |
19 | فَلَمَّآ أَنْ أَرَادَ أَن يَبْطِشَ بِٱلَّذِى هُوَ عَدُوٌّ لَّهُمَا قَالَ يَٰمُوسَىٰٓ أَتُرِيدُ أَن تَقْتُلَنِى كَمَا قَتَلْتَ نَفْسًۢا بِٱلْأَمْسِ إِن تُرِيدُ إِلَّآ أَن تَكُونَ جَبَّارًا فِى ٱلْأَرْضِ وَمَا تُرِيدُ أَن تَكُونَ مِنَ ٱلْمُصْلِحِينَ | ফালাম্মাআন আরা-দা আইঁ ইয়াবতিশা বিল্লাযী হুওয়া ‘আদুওউল্লাহুমা- কা-লা ইয়া-মূছাআতুরীদুআন তাকতুলানী কামা-কাতালতা নাফছাম বিলআমছি ইন তুরীদু ইল্লাআন তাকূনা জাব্বা-রান ফিল আরদিওয়ামা-তুরীদুআন তাকূনা মিনাল মুসলিহীন। |
অতঃপর মূসা যখন উভয়ের শত্রুকে শায়েস্তা করতে চাইলেন, তখন সে বলল, গতকল্য তুমি যেমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে, সে রকম আমাকেও কি হত্যা করতে চাও? তুমি তো পৃথিবীতে স্বৈরাচারী হতে চাচ্ছ এবং সন্ধি স্থাপনকারী হতে চাও না। | Then, when he decided to lay hold of the man who was an enemy to both of them, that man said: "O Moses! Is it thy intention to slay me as thou slewest a man yesterday? Thy intention is none other than to become a powerful violent man in the land, and not to be one who sets things right!" | |
20 | وَجَآءَ رَجُلٌ مِّنْ أَقْصَا ٱلْمَدِينَةِ يَسْعَىٰ قَالَ يَٰمُوسَىٰٓ إِنَّ ٱلْمَلَأَ يَأْتَمِرُونَ بِكَ لِيَقْتُلُوكَ فَٱخْرُجْ إِنِّى لَكَ مِنَ ٱلنَّٰصِحِينَ | ওয়া জাআ রাজুলুম মিন আকসাল মাদীনাতি ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়া-মূছাইন্নাল মালায়া ইয়া’তামিরূনা বিকা লিইয়াকতুলূকা ফাখরুজ ইন্নী লাকা মিনান না-সিহীন। |
এসময় শহরের প্রান্ত থেকে একব্যক্তি ছুটে আসল এবং বলল, হে মূসা, রাজ্যের পরিষদবর্গ তোমাকে হত্যা করার পরমর্শ করছে। অতএব, তুমি বের হয়ে যাও। আমি তোমার হিতাকাঙ্ক্ষী। | And there came a man, running, from the furthest end of the City. He said: "O Moses! the Chiefs are taking counsel together about thee, to slay thee: so get thee away, for I do give thee sincere advice." | |
21 | فَخَرَجَ مِنْهَا خَآئِفًا يَتَرَقَّبُ قَالَ رَبِّ نَجِّنِى مِنَ ٱلْقَوْمِ ٱلظَّٰلِمِينَ | ফাখারাজা মিনহা-খা-ইফাইঁ ইয়াতারাক্কাবু কা-লা রাব্বি নাজ্জিনী মিনাল কাওমিজ্জা-লিমীন। |
অতঃপর তিনি সেখান থেকে ভীত অবস্থায় বের হয়ে পড়লেন পথ দেখতে দেখতে। তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে রক্ষা কর। | He therefore got away therefrom, looking about, in a state of fear. He prayed "O my Lord! save me from people given to wrong-doing." | |
22 | وَلَمَّا تَوَجَّهَ تِلْقَآءَ مَدْيَنَ قَالَ عَسَىٰ رَبِّىٓ أَن يَهْدِيَنِى سَوَآءَ ٱلسَّبِيلِ | ওয়া লাম্মা-তাওয়াজ্জাহা তিলকাআ মাদইয়ানা কা-লা ‘আছা-রাববীআই ইয়াহদিয়ানী ছাওয়াআছছাবীল। |
যখন তিনি মাদইয়ান অভিমুখে রওয়ানা হলেন তখন বললেন, আশা করা যায় আমার পালনকর্তা আমাকে সরল পথ দেখাবেন। | Then, when he turned his face towards (the land of) Madyan, he said: "I do hope that my Lord will show me the smooth and straight Path." | |
23 | وَلَمَّا وَرَدَ مَآءَ مَدْيَنَ وَجَدَ عَلَيْهِ أُمَّةً مِّنَ ٱلنَّاسِ يَسْقُونَ وَوَجَدَ مِن دُونِهِمُ ٱمْرَأَتَيْنِ تَذُودَانِ قَالَ مَا خَطْبُكُمَا قَالَتَا لَا نَسْقِى حَتَّىٰ يُصْدِرَ ٱلرِّعَآءُ وَأَبُونَا شَيْخٌ كَبِيرٌ | ওয়া লাম্মা-ওয়ারাদা মাআ মাদইয়ানা ওয়াজাদা ‘আলাইহি উম্মাতাম মিনান্না-ছি ইয়াছকূনা ওয়া ওয়াজাদা মিন দূনিহিমুমরাআতাইনি তাযূদা-নি কা-লা মা-খাতবুকুমা- কা-লাতা-লা-নাছকী হাত্তা-ইউসদিরার রি‘আউ ওয়া আবূনা-শাইখুন কাবীর। |
যখন তিনি মাদইয়ানের কূপের ধারে পৌছলেন, তখন কূপের কাছে একদল লোককে পেলেন তারা জন্তুদেরকে পানি পান করানোর কাজে রত। এবং তাদের পশ্চাতে দূ’জন স্ত্রীলোককে দেখলেন তারা তাদের জন্তুদেরকে আগলিয়ে রাখছে। তিনি বললেন, তোমাদের কি ব্যাপার? তারা বলল, আমরা আমাদের জন্তুদেরকে পানি পান করাতে পারি না, যে পর্যন্ত রাখালরা তাদের জন্তুদেরকে নিয়ে সরে না যায়। আমাদের পিতা খুবই বৃদ্ধ। | And when he arrived at the watering (place) in Madyan, he found there a group of men watering (their flocks), and besides them he found two women who were keeping back (their flocks). He said: "What is the matter with you?" They said: "We cannot water (our flocks) until the shepherds take back (their flocks): And our father is a very old man." | |
24 | فَسَقَىٰ لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّىٰٓ إِلَى ٱلظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّى لِمَآ أَنزَلْتَ إِلَىَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ | ফাছাকা-লাহুমা-ছু ম্মা তাওয়াল্লাইলাজজিলিল ফাকা-লা রাব্বি ইন্নী লিমাআনঝালতা ইলাইইয়া মিন খাইরিন ফাকীর। |
অতঃপর মূসা তাদের জন্তুদেরকে পানি পান করালেন। অতঃপর তিনি ছায়ার দিকে সরে গেলেন এবং বললেন, হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাযিল করবে, আমি তার মুখাপেক্ষী। | So he watered (their flocks) for them; then he turned back to the shade, and said:"O my Lord! truly am I in (desperate) need of any good that Thou dost send me!" | |
25 | فَجَآءَتْهُ إِحْدَىٰهُمَا تَمْشِى عَلَى ٱسْتِحْيَآءٍ قَالَتْ إِنَّ أَبِى يَدْعُوكَ لِيَجْزِيَكَ أَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَا فَلَمَّا جَآءَهُۥ وَقَصَّ عَلَيْهِ ٱلْقَصَصَ قَالَ لَا تَخَفْ نَجَوْتَ مِنَ ٱلْقَوْمِ ٱلظَّٰلِمِينَ | ফাজাআতহু ইহদা-হুমা-তামশী ‘আলাছ তিহইয়া-ইন, কা-লাত ইন্না আবী ইয়াদ‘ঊকা লিইয়াজঝিয়াকা আজরামা-ছাকাইতা লানা- ফালাম্মা-জাআহূওয়া কাসসা ‘আলাইহিল কাসাসা কা-লা লা-তাখাফ নাজাওতা মিনাল কাওমিজ্জালিমীন। |
অতঃপর বালিকাদ্বয়ের একজন লজ্জাজড়িত পদক্ষেপে তাঁর কাছে আগমন করল। বলল, আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন, যাতে আপনি যে আমাদেরকে পানি পান করিয়েছেন, তার বিনিময়ে পুরস্কার প্রদান করেন। অতঃপর মূসা যখন তাঁর কাছে গেলেন এবং সমস্ত বৃত্তান্ত বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বললেন, ভয় করো না, তুমি জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছ। | Afterwards one of the (damsels) came (back) to him, walking bashfully. She said: "My father invites thee that he may reward thee for having watered (our flocks) for us." So when he came to him and narrated the story, he said: "Fear thou not: (well) hast thou escaped from unjust people." | |
26 | قَالَتْ إِحْدَىٰهُمَا يَٰٓأَبَتِ ٱسْتَـْٔجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ ٱسْتَـْٔجَرْتَ ٱلْقَوِىُّ ٱلْأَمِينُ | কা-লাত ইহদা-হুমা-ইয়াআবাতিছ তা’জিরহু ইন্না খাইরা মানিছতা’জারতাল কাবিইয়ুউল আমীন। |
বালিকাদ্বয়ের একজন বলল পিতাঃ তাকে চাকর নিযুক্ত করুন। কেননা, আপনার চাকর হিসেবে সে-ই উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত। | Said one of the (damsels): "O my (dear) father! engage him on wages: truly the best of men for thee to employ is the (man) who is strong and trusty".... | |
27 | قَالَ إِنِّىٓ أُرِيدُ أَنْ أُنكِحَكَ إِحْدَى ٱبْنَتَىَّ هَٰتَيْنِ عَلَىٰٓ أَن تَأْجُرَنِى ثَمَٰنِىَ حِجَجٍ فَإِنْ أَتْمَمْتَ عَشْرًا فَمِنْ عِندِكَ وَمَآ أُرِيدُ أَنْ أَشُقَّ عَلَيْكَ سَتَجِدُنِىٓ إِن شَآءَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ | কা-লা ইন্নীউরীদুআন উনকিহাকা ইহদাব নাতাইইয়া হা-তাইনি ‘আলাআন তা’জুরানী ছামা-নিয়া হিজাজিন ফাইন আতমামতা ‘আশরান ফামিন ‘ইনদিকা ওয়ামাউরীদু আন আশুক্কা ‘আলাইকা ছাতাজিদুনীইন শাআল্লা-হু মিনাসসা-লিহীন। |
পিতা মূসাকে বললেন, আমি আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সাথে বিবাহে দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার চাকুরী করবে, যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর, তা তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। আল্লাহ চাহেন তো তুমি আমাকে সৎকর্মপরায়ণ পাবে। | He said: "I intend to wed one of these my daughters to thee, on condition that thou serve me for eight years; but if thou complete ten years, it will be (grace) from thee. But I intend not to place thee under a difficulty: thou wilt find me, indeed, if Allah wills, one of the righteous." | |
28 | قَالَ ذَٰلِكَ بَيْنِى وَبَيْنَكَ أَيَّمَا ٱلْأَجَلَيْنِ قَضَيْتُ فَلَا عُدْوَٰنَ عَلَىَّ وَٱللَّهُ عَلَىٰ مَا نَقُولُ وَكِيلٌ | কা-লা যা-লিকা বাইনি ওয়া বাইনাকা আইইয়ামাল আজালাইনি কাদাইতুফালা‘উদওয়া-না ‘আলাইইয়া ওয়াল্লা-হু ‘আলা-মা-নাকূলুওয়াকীল। |
মূসা বললেন, আমার ও আপনার মধ্যে এই চুক্তি স্থির হল। দু’টি মেয়াদের মধ্য থেকে যে কোন একটি পূর্ণ করলে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকবে না। আমরা যা বলছি, তাতে আল্লাহর উপর ভরসা। | He said: "Be that (the agreement) between me and thee: whichever of the two terms I fulfil, let there be no ill-will to me. Be Allah a witness to what we say." | |
29 | فَلَمَّا قَضَىٰ مُوسَى ٱلْأَجَلَ وَسَارَ بِأَهْلِهِۦٓ ءَانَسَ مِن جَانِبِ ٱلطُّورِ نَارًا قَالَ لِأَهْلِهِ ٱمْكُثُوٓا۟ إِنِّىٓ ءَانَسْتُ نَارًا لَّعَلِّىٓ ءَاتِيكُم مِّنْهَا بِخَبَرٍ أَوْ جَذْوَةٍ مِّنَ ٱلنَّارِ لَعَلَّكُمْ تَصْطَلُونَ | ফালাম্মা-কাদা-মূছাল আজালা ওয়াছা-রা বিআহলিহীআ-নাছা মিন জা-নিবিততুরি নারান কা-লা লিআহলিহিমকুছূদ্ম ইন্নীআ-নাছতুনা-রাল্লা‘আললীআ-তীকুম মিন হাবিখাবারিন আও জাযওয়াতিম মিনান্না-রি লা‘আল্লাকুম তাসতালূন। |
অতঃপর মূসা (আঃ) যখন সেই মেয়াদ পূর্ণ করল এবং সপরিবারে যাত্রা করল, তখন সে তুর পর্বতের দিক থেকে আগুন দেখতে পেল। সে তার পরিবারবর্গকে বলল, তোমরা অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখেছি। সম্ভবতঃ আমি সেখান থেকে তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসতে পারি অথবা কোন জ্বলন্ত কাষ্ঠখন্ড আনতে পারি, যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার। | Now when Moses had fulfilled the term, and was travelling with his family, he perceived a fire in the direction of Mount Tur. He said to his family: "Tarry ye; I perceive a fire; I hope to bring you from there some information, or a burning firebrand, that ye may warm yourselves." | |
30 | فَلَمَّآ أَتَىٰهَا نُودِىَ مِن شَٰطِئِ ٱلْوَادِ ٱلْأَيْمَنِ فِى ٱلْبُقْعَةِ ٱلْمُبَٰرَكَةِ مِنَ ٱلشَّجَرَةِ أَن يَٰمُوسَىٰٓ إِنِّىٓ أَنَا ٱللَّهُ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ | ফালাম্মাআতা-হা-নূদিয়া মিন শা-তিইল ওয়া-দিল আইমানি ফিল বুক‘আতিল মুবা-রাকাতি মিনাশশাজারাতি আইঁ ইয়া-মূছাইন্নীআনাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন। |
যখন সে তার কাছে পৌছল, তখন পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত উপত্যকার ডান প্রান্তের বৃক্ষ থেকে তাকে আওয়াজ দেয়া হল, হে মূসা! আমি আল্লাহ, বিশ্ব পালনকর্তা। | But when he came to the (fire), a voice was heard from the right bank of the valley, from a tree in hallowed ground: "O Moses! Verily I am Allah, the Lord of the Worlds.... |