Surah An-Nisa - আন নিসা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ, Audio, Arabic Ayat & English Meaning

4
An-Nisa
আন নিসা
Meaning: The Women - Released in Medina Total Ayats: 176 (494 to 669) Total Ruku: 24 - Sijda: Para: 4 - According to Najil: 92
# Ayat & Ortho Uccharon & English Meaning
1 يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُوا۟ رَبَّكُمُ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَٰحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَآءً وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ٱلَّذِى تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلْأَرْحَامَ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا ইয়াআইয়ুহান্না-ছুত্তাকূরাব্বাকুমুল্লাযীখালাকাকুম মিন নাফছিওঁ ওয়া-হিদাতিওঁ ওয়া খালাকা মিনহা-ঝাওজাহা-ওয়াবাছছা মিনহুমা-রিজা-লান কাছীরাওঁ ওয়ানিছাআওঁ ওয়াত্তাকুল্লাহাল্লাযী তাছাআলূনা বিহী ওয়াল আরহা-মা ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলাইকুম রাকীবা।
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন। O mankind! reverence your Guardian-Lord, who created you from a single person, created, of like nature, His mate, and from them twain scattered (like seeds) countless men and women;- reverence Allah, through whom ye demand your mutual (rights), and (reverence) the wombs (That bore you): for Allah ever watches over you.
2 وَءَاتُوا۟ ٱلْيَتَٰمَىٰٓ أَمْوَٰلَهُمْ وَلَا تَتَبَدَّلُوا۟ ٱلْخَبِيثَ بِٱلطَّيِّبِ وَلَا تَأْكُلُوٓا۟ أَمْوَٰلَهُمْ إِلَىٰٓ أَمْوَٰلِكُمْ إِنَّهُۥ كَانَ حُوبًا كَبِيرًا ওয়া আ-তুল ইয়াতা-মাআমওয়া-লাহুম ওয়ালা-তাতাবাদ্দালুল খাবীছা বিত্তাইয়িবি ওয়ালা-তা’কুলূআমওয়া-লাহুম ইলাআমওয়া-লিকুম ইন্নাহূকা-না হুবান কাবীরা-।
এতীমদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করো না। আর তাদের ধন-সম্পদ নিজেদের ধন-সম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করে তা গ্রাস করো না। নিশ্চয় এটা বড়ই মন্দ কাজ। To orphans restore their property (When they reach their age), nor substitute (your) worthless things for (their) good ones; and devour not their substance (by mixing it up) with your own. For this is indeed a great sin.
3 وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا۟ فِى ٱلْيَتَٰمَىٰ فَٱنكِحُوا۟ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ مَثْنَىٰ وَثُلَٰثَ وَرُبَٰعَ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا۟ فَوَٰحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُمْ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰٓ أَلَّا تَعُولُوا۟ ওয়া ইন খিফতুম আল্লা-তুকছিতূফিল ইয়াতা-মা-ফানকিহূমা-তা-বা লাকুম মিনান নিছাই মাছনা-ওয়া ছুলা-ছা ওয়া রুবা-‘আ ফাইন খিফতুম আল্লা-তা‘দিলূফাওয়াহিদাতান আও মা-মালাকাত আইমা-নুকুম যা-লিকা আদনাআল্লা-তা‘ঊলূ
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা। If ye fear that ye shall not be able to deal justly with the orphans, Marry women of your choice, Two or three or four; but if ye fear that ye shall not be able to deal justly (with them), then only one, or (a captive) that your right hands possess, that will be more suitable, to prevent you from doing injustice.
4 وَءَاتُوا۟ ٱلنِّسَآءَ صَدُقَٰتِهِنَّ نِحْلَةً فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَىْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيٓـًٔا مَّرِيٓـًٔا ওয়া আ-তুন নিছাআ সাদুকা-তিহিন্না নিহলাতান ফাইন তিবনালাকুম ‘আন শাইইম মিনহু নাফছান ফাকুলূহু হানীআম মারীআ।
আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর। And give the women (on marriage) their dower as a free gift; but if they, of their own good pleasure, remit any part of it to you, Take it and enjoy it with right good cheer.
5 وَلَا تُؤْتُوا۟ ٱلسُّفَهَآءَ أَمْوَٰلَكُمُ ٱلَّتِى جَعَلَ ٱللَّهُ لَكُمْ قِيَٰمًا وَٱرْزُقُوهُمْ فِيهَا وَٱكْسُوهُمْ وَقُولُوا۟ لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوفًا ওয়ালা তু’তুছছুফাহাআ আমওয়া-লাকুমুল্লাতী জা‘আলা ল্লা-হুলাকুমকিয়া-মাওঁ ওয়ারঝুকূহুম ফীহা-ওয়াকছূহুম ওয়াকূ লূলাহুম কাওলাম মা‘রূফা-।
আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবন-যাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিও না। বরং তা থেকে তাদেরকে খাওয়াও, পরাও এবং তাদেরকে সান্তনার বানী শোনাও। To those weak of understanding Make not over your property, which Allah hath made a means of support for you, but feed and clothe them therewith, and speak to them words of kindness and justice.
6 وَٱبْتَلُوا۟ ٱلْيَتَٰمَىٰ حَتَّىٰٓ إِذَا بَلَغُوا۟ ٱلنِّكَاحَ فَإِنْ ءَانَسْتُم مِّنْهُمْ رُشْدًا فَٱدْفَعُوٓا۟ إِلَيْهِمْ أَمْوَٰلَهُمْ وَلَا تَأْكُلُوهَآ إِسْرَافًا وَبِدَارًا أَن يَكْبَرُوا۟ وَمَن كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ وَمَن كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِٱلْمَعْرُوفِ فَإِذَا دَفَعْتُمْ إِلَيْهِمْ أَمْوَٰلَهُمْ فَأَشْهِدُوا۟ عَلَيْهِمْ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ حَسِيبًا ওয়াবতালুল ইয়াতা-মা-হাত্তা ইযা- বালাগুন নিকা-হা ফাইন আ-নাছতুম মিনহুম রুশদান ফাদফা‘ঊ ইলাইহিম আমওয়া-লাহুম ওয়ালা- তা’কুলূহা-ইছরা-ফাওঁ ওয়া বিদারান আইঁ ইয়াকবারূ ওয়ামান কা-না গানিইইয়ান ফালইয়াছতা‘ফিফ ওয়ামান কা-না ফাকীরান ফালইয়া’কুল বিলমা‘রূফি ফাইযা-দাফা‘তুম ইলাইহিম আমওয়া-লাহুম ফাআশহিদূ‘আলাইহিম ওয়া কাফা-বিল্লাহি হাছীবা-।
আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার। এতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্য আল্লাহই হিসাব নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট। Make trial of orphans until they reach the age of marriage; if then ye find sound judgment in them, release their property to them; but consume it not wastefully, nor in haste against their growing up. If the guardian is well-off, Let him claim no remuneration, but if he is poor, let him have for himself what is just and reasonable. When ye release their property to them, take witnesses in their presence: But all-sufficient is Allah in taking account.
7 لِّلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِّمَّا تَرَكَ ٱلْوَٰلِدَانِ وَٱلْأَقْرَبُونَ وَلِلنِّسَآءِ نَصِيبٌ مِّمَّا تَرَكَ ٱلْوَٰلِدَانِ وَٱلْأَقْرَبُونَ مِمَّا قَلَّ مِنْهُ أَوْ كَثُرَ نَصِيبًا مَّفْرُوضًا লিররিজা-লি নাসীবুম মিম্মা-তারাকাল ওয়া-লিদা-নি ওয়াল আকরাবূনা, ওয়া লিননিছাই নাসীবুম মিম্মা-তারাকাল ওয়া-লিদা-নি ওয়াল আকরাবূনা মিম্মা-কাল্লা মিনহু আও কাছুরা নাসীবাম মাফরুদা-।
পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষদেরও অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীদেরও অংশ আছে; অল্প হোক কিংবা বেশী। এ অংশ নির্ধারিত। From what is left by parents and those nearest related there is a share for men and a share for women, whether the property be small or large,-a determinate share.
8 وَإِذَا حَضَرَ ٱلْقِسْمَةَ أُو۟لُوا۟ ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينُ فَٱرْزُقُوهُم مِّنْهُ وَقُولُوا۟ لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوفًا ওয়া ইযা-হাদরাল কিছমাতা ঊলুল কুরবা- ওয়াল ইয়াতা-মা- ওয়াল মাছা-কীনু ফারঝুকূহুম মিনহু ওয়াকূলূহুম কাওলাম মা‘রূফা-।
সম্পতি বন্টনের সময় যখন আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও মিসকীন উপস্থিত হয়, তখন তা থেকে তাদের কিছু খাইয়ে দাও এবং তাদের সাথে কিছু সদালাপ করো। But if at the time of division other relatives, or orphans or poor, are present, feed them out of the (property), and speak to them words of kindness and justice.
9 وَلْيَخْشَ ٱلَّذِينَ لَوْ تَرَكُوا۟ مِنْ خَلْفِهِمْ ذُرِّيَّةً ضِعَٰفًا خَافُوا۟ عَلَيْهِمْ فَلْيَتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَلْيَقُولُوا۟ قَوْلًا سَدِيدًا ওয়াল ইয়াখশাল্লাযীনা লাও তারাকূমিন খালফিহিম যুররিইইয়াতান দি‘আ-ফান খা-ফূ‘আলাইহিম ফালইয়াত্তাকূল্লা-হা ওয়াল ইয়াকূলূকাওলান ছাদীদা-।
তাদের ভয় করা উচিত, যারা নিজেদের পশ্চাতে দুর্বল অক্ষম সন্তান-সন্ততি ছেড়ে গেলে তাদের জন্যে তারাও আশঙ্কা করে; সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং সংগত কথা বলে। Let those (disposing of an estate) have the same fear in their minds as they would have for their own if they had left a helpless family behind: Let them fear Allah, and speak words of appropriate (comfort).
10 إِنَّ ٱلَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَٰلَ ٱلْيَتَٰمَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِى بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا ইন্নাল্লাযীনা ইয়া’কুলূনা আমওয়া-লাল ইয়াতা-মা-জু লমান ইন্নামা-ইয়া’কুলূনা ফী বুতুনিহিম না-রাওঁ ওয়া ছাইয়াসলাওনা ছা‘ঈরা।
যারা এতীমদের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করেছে এবং সত্ত্বরই তারা অগ্নিতে প্রবেশ করবে। Those who unjustly eat up the property of orphans, eat up a Fire into their own bodies: They will soon be enduring a Blazing Fire!
11 يُوصِيكُمُ ٱللَّهُ فِىٓ أَوْلَٰدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ ٱلْأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَآءً فَوْقَ ٱثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَٰحِدَةً فَلَهَا ٱلنِّصْفُ وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَٰحِدٍ مِّنْهُمَا ٱلسُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُۥ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُۥ وَلَدٌ وَوَرِثَهُۥٓ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ ٱلثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُۥٓ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ ٱلسُّدُسُ مِنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِى بِهَآ أَوْ دَيْنٍ ءَابَآؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ لَا تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًا فَرِيضَةً مِّنَ ٱللَّهِ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا ইঊসীকুমুল্লা-হু ফী আওলাদিকুম লিযযাকারি মিছলুহাজ্জিল উনছাইয়াইনি ফাইন কুন্না নিছাআন ফাওকাছনাতাইনি ফালাহুন্না ছুলুছা-মা-তারাকা ওয়া ইন কানাত ওয়া-হিদাতান ফালাহান নিসফু ওয়ালিআবাওয়াইহি লিকুল্লি ওয়া-হিদিম মিনহুমাছ ছু দুছুমিম্মা-তারাকা ইন কা-না লাহু ওয়ালাদুন ফাইল্লাম ইয়াকুল্লাহু ওয়ালাদুওঁ ওয়া ওয়ারিছাহুআবাওয়া-হু ফালিউম্মিহিছছু লুছু ফাইন কা-না লাহুইখওয়াতুন ফালিউম্মিহিছ ছু দুছুমিম বা‘দি ওয়াসিইইয়াতিইঁ ইউসী বিহা-আও দাইনিন আ-বাউকুম ওয়া আব নাউকুম লা-তাদরূনা আইয়ুহুম আকরাবুলাকুম নাফ‘আন ফারীদতাম মিনাল্লাহি ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলীমান হাকীমা-।
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। Allah (thus) directs you as regards your Children's (Inheritance): to the male, a portion equal to that of two females: if only daughters, two or more, their share is two-thirds of the inheritance; if only one, her share is a half. For parents, a sixth share of the inheritance to each, if the deceased left children; if no children, and the parents are the (only) heirs, the mother has a third; if the deceased Left brothers (or sisters) the mother has a sixth. (The distribution in all cases ('s) after the payment of legacies and debts. Ye know not whether your parents or your children are nearest to you in benefit. These are settled portions ordained by Allah; and Allah is All-knowing, Al-wise.
12 وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَٰجُكُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٌ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ مِنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَآ أَوْ دَيْنٍ وَلَهُنَّ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّكُمْ وَلَدٌ فَإِن كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ ٱلثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُم مِّنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَآ أَوْ دَيْنٍ وَإِن كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَٰلَةً أَوِ ٱمْرَأَةٌ وَلَهُۥٓ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَٰحِدٍ مِّنْهُمَا ٱلسُّدُسُ فَإِن كَانُوٓا۟ أَكْثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمْ شُرَكَآءُ فِى ٱلثُّلُثِ مِنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَىٰ بِهَآ أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَآرٍّ وَصِيَّةً مِّنَ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ ওয়ালাকুম নিসফুমা-তারাকা আঝওয়া-জুকুম ইল্লাম ইয়াকুল্লাহুন্না ওয়ালাদুন ফাইন কা-না লাহুন্না ওয়ালাদুন ফালাকুমুর রুবু‘উ মিম্মা-তারাকনা মিম বা‘দি ওয়াসিইইয়াতিইঁ ইঊসীনা বিহাআওদাইনিওঁ ওয়ালাহুন্নার রুবু‘উ মিম্মা-তারাকতুম ইল্লাম ইয়াকুল্লাকুম ওয়ালাদুন ফাইন কা-না লাকুম ওয়ালাদুন ফালাহুন্নাছছু মুনুমিম্মা-তারাকতুম মিম বা‘দি ওয়াসিয়াতিন তূসূনা বিহাআও দাইনিওঁ ওয়া ইন কা-না রাজুলুইঁ ইঊরাছুকালা-লাতান আবিম রাআতুওঁ ওয়ালাহু আখুন আও উখতুন ফালিকুল্লি ওয়া-হিদিম মিনহুমাছ ছু দুছু ফাইন কা-নুআকছারা মিন যা-লিকা ফাহুম শুরাকাউ ফিছছু লুছিমিম বা‘দি ওয়াসিইইয়াতিই ইঊসা-বিহাআওদাইনিন গাইরা মুদাররিওঁ ওয়াসিইইয়াতাম মিনাল্লা-হি ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুন হালীম।
আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। In what your wives leave, your share is a half, if they leave no child; but if they leave a child, ye get a fourth; after payment of legacies and debts. In what ye leave, their share is a fourth, if ye leave no child; but if ye leave a child, they get an eighth; after payment of legacies and debts. If the man or woman whose inheritance is in question, has left neither ascendants nor descendants, but has left a brother or a sister, each one of the two gets a sixth; but if more than two, they share in a third; after payment of legacies and debts; so that no loss is caused (to any one). Thus is it ordained by Allah; and Allah is All-knowing, Most Forbearing.
13 تِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ يُدْخِلْهُ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا وَذَٰلِكَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ তিলকা হুদূদুল্লা-হি ওয়া মাই ইউতি‘ইল্লা-হা ওয়ারাছূলাহু ইউদখিলহু জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা- ওয়া যা-লিকাল ফাওঝুল ‘আজীম।
এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য। Those are limits set by Allah: those who obey Allah and His Messenger will be admitted to Gardens with rivers flowing beneath, to abide therein (for ever) and that will be the supreme achievement.
14 وَمَن يَعْصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُۥ يُدْخِلْهُ نَارًا خَٰلِدًا فِيهَا وَلَهُۥ عَذَابٌ مُّهِينٌ ওয়ামাইঁ ইয়া‘সিল্লা-হা ওয়ারাছূলাহু ওয়াইয়াতা‘আদ্দা হুদূদাহু ইউদখিলহু না-রান খা-লিদান ফীহা- ওয়ালাহু ‘আযা-বুম মুহীন।
যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। But those who disobey Allah and His Messenger and transgress His limits will be admitted to a Fire, to abide therein: And they shall have a humiliating punishment.
15 وَٱلَّٰتِى يَأْتِينَ ٱلْفَٰحِشَةَ مِن نِّسَآئِكُمْ فَٱسْتَشْهِدُوا۟ عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِّنكُمْ فَإِن شَهِدُوا۟ فَأَمْسِكُوهُنَّ فِى ٱلْبُيُوتِ حَتَّىٰ يَتَوَفَّىٰهُنَّ ٱلْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ ٱللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا ওয়াল্লা-তী ইয়া’তীনাল ফা-হিশাতা মিন নিছাইকুম ফাছতাশহিদূ‘আলাইহিন্না আরবা‘আতাম মিনকুম; ফাইন শাহিদূফাআমছিকূহুন্না ফিল বুয়ূতি হাত্তা-ইয়াতাওয়াফফা-হুন্নাল মাওতুআও ইয়া জ‘আলাল্লা-হু লাহুন্না ছাবীলা-।
আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন। If any of your women are guilty of lewdness, Take the evidence of four (Reliable) witnesses from amongst you against them; and if they testify, confine them to houses until death do claim them, or Allah ordain for them some (other) way.
16 وَٱلَّذَانِ يَأْتِيَٰنِهَا مِنكُمْ فَـَٔاذُوهُمَا فَإِن تَابَا وَأَصْلَحَا فَأَعْرِضُوا۟ عَنْهُمَآ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ تَوَّابًا رَّحِيمًا ওয়াল্লাযা-নি ইয়া’তিইয়া-নিহা-মিনকুম ফাআ-যূহুমা- ফাইন তা-বা-ওয়াআসলাহাফাআ‘রিদূ ‘আনহুমা- ইন্নাল্লা-হা কা-না তাওওয়া-বার রাহীমা-।
তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু। If two men among you are guilty of lewdness, punish them both. If they repent and amend, Leave them alone; for Allah is Oft-returning, Most Merciful.
17 إِنَّمَا ٱلتَّوْبَةُ عَلَى ٱللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٍ فَأُو۟لَٰٓئِكَ يَتُوبُ ٱللَّهُ عَلَيْهِمْ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا ইন্নামাত তাওবাতু‘আলাল্লা-হি লিল্লাযীনা ইয়া‘মালূনাছ ছূআ বিজাহা-লাতিন ছুম্মা ইয়াতূবূনা মিন কারীবিন ফাউলাইকা ইয়াতূবুল্লা-হু ‘আলাইহিম ওয়া কা-নাল্লা-হু ‘আলীমান হাকীমা।
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ। Allah accept the repentance of those who do evil in ignorance and repent soon afterwards; to them will Allah turn in mercy: For Allah is full of knowledge and wisdom.
18 وَلَيْسَتِ ٱلتَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ ٱلسَّيِّـَٔاتِ حَتَّىٰٓ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ ٱلْمَوْتُ قَالَ إِنِّى تُبْتُ ٱلْـَٰٔنَ وَلَا ٱلَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ أُو۟لَٰٓئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا ওয়া লাইছাতিত্তাওবাতুলিল্লাযীনা ইয়া‘মালূনাছ ছাইয়িআ-তি হাত্তাইযা-হাদারা আহাদাহুমুল মাওতুকা-লা ইন্নী তুবতুল আ-না ওয়ালা ল্লাযীনা ইয়ামূতূনা ওয়াহুম কুফফারুন উলাইকা আ‘তাদনা-লাহুম ‘আযা-বান আলীমা।
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। Of no effect is the repentance of those who continue to do evil, until death faces one of them, and he says, "Now have I repented indeed;" nor of those who die rejecting Faith: for them have We prepared a punishment most grievous.
19 يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَرِثُوا۟ ٱلنِّسَآءَ كَرْهًا وَلَا تَعْضُلُوهُنَّ لِتَذْهَبُوا۟ بِبَعْضِ مَآ ءَاتَيْتُمُوهُنَّ إِلَّآ أَن يَأْتِينَ بِفَٰحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ فَإِن كَرِهْتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰٓ أَن تَكْرَهُوا۟ شَيْـًٔا وَيَجْعَلَ ٱللَّهُ فِيهِ خَيْرًا كَثِيرًا ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-ইয়াহিল্লুলাকুম আন তারিছুন নিছাআ কারহাওঁ ওয়ালা-তা‘দুলূহুন্না লিতাযহাবূব্বিা‘দিমাআ-তাইতুমূহুন্না ইল্লাআইঁ ইয়া’তীনা বিফাহিশাতিম মুবাইয়িনাতিওঁ ওয়া‘আ-শিরূহুন্না বিলমা‘রূফি ফাইন কারিহতুমূহুন্না ফা‘আছাআন তাকরাহু শাইআওঁ ওয়াইয়াজ‘আলাল্লা-হু ফীহি খাইরান কাছীরা-।
হে ঈমাণদারগণ! বলপূর্বক নারীদেরকে উত্তরাধিকারে গ্রহন করা তোমাদের জন্যে হালাল নয় এবং তাদেরকে আটক রেখো না যাতে তোমরা তাদেরকে যা প্রদান করেছ তার কিয়দংশ নিয়ে নাও; কিন্তু তারা যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতা করে! নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন। O ye who believe! Ye are forbidden to inherit women against their will. Nor should ye treat them with harshness, that ye may Take away part of the dower ye have given them,-except where they have been guilty of open lewdness; on the contrary live with them on a footing of kindness and equity. If ye take a dislike to them it may be that ye dislike a thing, and Allah brings about through it a great deal of good.
20 وَإِنْ أَرَدتُّمُ ٱسْتِبْدَالَ زَوْجٍ مَّكَانَ زَوْجٍ وَءَاتَيْتُمْ إِحْدَىٰهُنَّ قِنطَارًا فَلَا تَأْخُذُوا۟ مِنْهُ شَيْـًٔا أَتَأْخُذُونَهُۥ بُهْتَٰنًا وَإِثْمًا مُّبِينًا ওয়া ইন আরাত্তুমুছ তিবদা-লা ঝাওজিম মাকা-না ঝাওজিওঁ ওয়া আ-তাইতুম ইহদা-হুন্না কিনতা-রান ফালা-তা’খুযূমিনহু শাইআন আতা’খুযূনাহু বুহতা-নাওঁ ওয়া ইছমাম মুবীনা।
যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং তাদের একজনকে প্রচুর ধন-সম্পদ প্রদান করে থাক, তবে তা থেকে কিছুই ফেরত গ্রহণ করো না। তোমরা কি তা অন্যায়ভাবে ও প্রকাশ্য গোনাহর মাধ্যমে গ্রহণ করবে? But if ye decide to take one wife in place of another, even if ye had given the latter a whole treasure for dower, Take not the least bit of it back: Would ye take it by slander and manifest wrong?
21 وَكَيْفَ تَأْخُذُونَهُۥ وَقَدْ أَفْضَىٰ بَعْضُكُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ وَأَخَذْنَ مِنكُم مِّيثَٰقًا غَلِيظًا ওয়া কাইফা তা’খুযূনাহূওয়া কাদ আফদা-বা‘দুকুমইলা-বা‘দিওঁ ওয়া আখাযনা মিনকুম মীছাকান গালীজা।
তোমরা কিরূপে তা গ্রহণ করতে পার, অথচ তোমাদের একজন অন্য জনের কাছে গমন এবং নারীরা তোমাদের কাছে থেকে সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে। And how could ye take it when ye have gone in unto each other, and they have Taken from you a solemn covenant?
22 وَلَا تَنكِحُوا۟ مَا نَكَحَ ءَابَآؤُكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةً وَمَقْتًا وَسَآءَ سَبِيلًا ওয়ালা-তানকিহুমা-নাকাহা আ-বাউকুম মিনান নিছাই ইল্লা-মা-কাদ সালাফা ইন্নাহু কা-না ফা-হিশাতাওঁ ওয়া মাকতাওঁ ওয়া ছাআ ছাবীলা-।
যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ। And marry not women whom your fathers married,- except what is past: It was shameful and odious,- an abominable custom indeed.
23 حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَٰتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَٰتُكُمْ وَعَمَّٰتُكُمْ وَخَٰلَٰتُكُمْ وَبَنَاتُ ٱلْأَخِ وَبَنَاتُ ٱلْأُخْتِ وَأُمَّهَٰتُكُمُ ٱلَّٰتِىٓ أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَٰتُكُم مِّنَ ٱلرَّضَٰعَةِ وَأُمَّهَٰتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَٰٓئِبُكُمُ ٱلَّٰتِى فِى حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ ٱلَّٰتِى دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا۟ دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَٰٓئِلُ أَبْنَآئِكُمُ ٱلَّذِينَ مِنْ أَصْلَٰبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا۟ بَيْنَ ٱلْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا হুররিমাত ‘আলাইকুম উম্মাহা-তুকুম ওয়া বানা-তুকুম ওয়া আখাওয়া-তুকুম ওয়া ‘আম্মা-তুকুম ওয়া খা-লা-তুকুম ওয়া বানা-তুল আখি ওয়া বানা-তুল উখতি ওয়া উম্মাহা-তুকুমুল্লাতীআরদা‘নাকুম ওয়া আখাওয়া-তুকুম মিনাররাদা-‘আতি ওয়াউম্মাহা-তুনিছাইকুম ওয়া রাবাইবুকুমুল্লা-তী ফী হুজূরিকুম মিন নিছাইকুমুল্লা-তী দাখালতুম বিহিন্না ফাইল্লাম তাকূনূদাখালতুম বিহিন্না ফালা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ওয়া হালাইলু আবনাইকুমুল্লাযীনা মিন আসলা-বিকুম ওয়া আন তাজমা‘ঊ বাইনাল উখতাইনি ইল্লামা-কাদ ছালাফা ইন্নাল্লা-হা কা-না গাফূরার রাহীমা-।
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। Prohibited to you (For marriage) are:- Your mothers, daughters, sisters; father's sisters, Mother's sisters; brother's daughters, sister's daughters; foster-mothers (Who gave you suck), foster-sisters; your wives' mothers; your step-daughters under your guardianship, born of your wives to whom ye have gone in,- no prohibition if ye have not gone in;- (Those who have been) wives of your sons proceeding from your loins; and two sisters in wedlock at one and the same time, except for what is past; for Allah is Oft-forgiving, Most Merciful;-
24 وَٱلْمُحْصَنَٰتُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُمْ كِتَٰبَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَآءَ ذَٰلِكُمْ أَن تَبْتَغُوا۟ بِأَمْوَٰلِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَٰفِحِينَ فَمَا ٱسْتَمْتَعْتُم بِهِۦ مِنْهُنَّ فَـَٔاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَٰضَيْتُم بِهِۦ مِنۢ بَعْدِ ٱلْفَرِيضَةِ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا ওয়াল মুহসানা-তুমিনান নিছাই ইল্লা-মা- মালাকাত আইমা-নুকুম কিতা-বাল্লা-হি ‘আলাইকুম ওয়া উহিল্লা লাকুম মা-ওয়ারাআ যা-লিকুম আন তাবতাগূবিআমওয়ালিকুম মুহসিনীনা গাইরা মুছা-ফিহীনা ফামাছ তামতা‘তুম বিহী মিনহুন্না ফাআ-তূহুন্না উজূরাহুন্না ফারীদাতাওঁ ওয়ালা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ফীমা-তারাদাইতুম বিহী মিম বা‘দিল ফারীদাতি ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলীমান হাকীমা-।
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। Also (prohibited are) women already married, except those whom your right hands possess: Thus hath Allah ordained (Prohibitions) against you: Except for these, all others are lawful, provided ye seek (them in marriage) with gifts from your property,- desiring chastity, not lust, seeing that ye derive benefit from them, give them their dowers (at least) as prescribed; but if, after a dower is prescribed, agree Mutually (to vary it), there is no blame on you, and Allah is All-knowing, All-wise.
25 وَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنكُمْ طَوْلًا أَن يَنكِحَ ٱلْمُحْصَنَٰتِ ٱلْمُؤْمِنَٰتِ فَمِن مَّا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُم مِّن فَتَيَٰتِكُمُ ٱلْمُؤْمِنَٰتِ وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَٰنِكُم بَعْضُكُم مِّنۢ بَعْضٍ فَٱنكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَءَاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ مُحْصَنَٰتٍ غَيْرَ مُسَٰفِحَٰتٍ وَلَا مُتَّخِذَٰتِ أَخْدَانٍ فَإِذَآ أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَٰحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى ٱلْمُحْصَنَٰتِ مِنَ ٱلْعَذَابِ ذَٰلِكَ لِمَنْ خَشِىَ ٱلْعَنَتَ مِنكُمْ وَأَن تَصْبِرُوا۟ خَيْرٌ لَّكُمْ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ওয়ামাল্লাম ইয়াছতাতি‘ই মিনকুম তাওলান আই ইয়ানকিহাল মুহসানা-তিল মু’মিনা-তি ফামিম্মা-মালকাত আইমা-নুকুম মিন ফাতাইয়া-তিকুমুল মু’মিনা-তি ওয়াল্লা-হু আ‘লামু বিঈমা-নিকুম বা‘দুকুম মিম বা‘দিন ফানকিহূহুন্না বিইযনি আহলিহিন্না ওয়া আতূ-হুন্না উজুরাহুন্না বিলমা‘রূফি মুহসানা-তিন গাইরা মুছা-ফিহা-তিওঁ ওয়ালা-মুত্তাখিযা-তি আখদা-নিন ফাইযা-উহসিন্না ফাইন আতাইনা বিফা-হিশাতিন ফা‘আলইহিন্না নিসফুমা‘আলাল মুহসানা-তি মিনাল ‘আযা-বি যা-লিকা লিমান খাশিইয়াল ‘আনাতা মিনকুম ওয়া আন তাসবিরূ খাইরুল্লাকুম ওয়াল্লা-হু গাফুরু রাহীম।
আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। If any of you have not the means wherewith to wed free believing women, they may wed believing girls from among those whom your right hands possess: And Allah hath full knowledge about your faith. Ye are one from another: Wed them with the leave of their owners, and give them their dowers, according to what is reasonable: They should be chaste, not lustful, nor taking paramours: when they are taken in wedlock, if they fall into shame, their punishment is half that for free women. This (permission) is for those among you who fear sin; but it is better for you that ye practise self-restraint. And Allah is Oft-forgiving, Most Merciful.
26 يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمْ وَيَهْدِيَكُمْ سُنَنَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ وَيَتُوبَ عَلَيْكُمْ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ ইউরীদুল্লাহু লিইউবাইয়িনালাকুম ওয়া ইয়াহদিয়াকুম ছুনানাল্লাযীনা মিন কাবলিকুম ওয়া ইয়াতূবা ‘আলাইকুম ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুন হাকীম।
আল্লাহ তোমাদের জন্যে সব কিছু পরিষ্কার বর্ণনা করে দিতে চান, তোমাদের পূর্ববর্তীদের পথ প্রদর্শন করতে চান। এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চান, আল্লাহ মহাজ্ঞানী রহস্যবিদ। Allah doth wish to make clear to you and to show you the ordinances of those before you; and (He doth wish to) turn to you (In Mercy): And Allah is All-knowing, All-wise.
27 وَٱللَّهُ يُرِيدُ أَن يَتُوبَ عَلَيْكُمْ وَيُرِيدُ ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلشَّهَوَٰتِ أَن تَمِيلُوا۟ مَيْلًا عَظِيمًا ওয়াল্লা-হু ইউরীদুআইঁ ইয়াতূবা ‘আলাইকুম ওয়া ইউরীদুল্লাযীনা ইয়াত্তাবি‘ঊনাশ শাহাওয়া-তি আন তামীলূমাইলান ‘আজীমা।
আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চান, এবং যারা কামনা-বাসনার অনুসারী, তারা চায় যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়। Allah doth wish to Turn to you, but the wish of those who follow their lusts is that ye should turn away (from Him),- far, far away.
28 يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُخَفِّفَ عَنكُمْ وَخُلِقَ ٱلْإِنسَٰنُ ضَعِيفًا ইউরীদুল্লা-হু আইঁ ইউখাফফিফা ‘আনকুম ওয়া খুলিকাল ইনছা-নুদা‘ঈফা-।
আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান। মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে। Allah doth wish to lighten your (difficulties): For man was created Weak (in flesh).
29 يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَأْكُلُوٓا۟ أَمْوَٰلَكُم بَيْنَكُم بِٱلْبَٰطِلِ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلَا تَقْتُلُوٓا۟ أَنفُسَكُمْ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا ইয়াআইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তা’কুলূ আমওয়া-লুকুম বাইনাকুম বিলবা-তিলি ইল্লাআন তাকূনা তিজা-রাতান ‘আন তারা-দিম মিনকুম ওয়ালা-তাকতুলূআনফুছাকুম ইন্নাল্লা-হা কা-না বিকুম রাহীমা।
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। O ye who believe! Eat not up your property among yourselves in vanities: But let there be amongst you Traffic and trade by mutual good-will: Nor kill (or destroy) yourselves: for verily Allah hath been to you Most Merciful!
30 وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ عُدْوَٰنًا وَظُلْمًا فَسَوْفَ نُصْلِيهِ نَارًا وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرًا ওয়া মাইঁ ইয়াফ‘আল যা-লিকা ‘উদওয়া-নাওঁ ওয়া জুলমান ফাছাওফা নুসলীহি না-রাওঁ ওয়া কা-না যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি ইয়াছীরা-।
আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন কিংবা জুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে খুব শীঘ্রই আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজসাধ্য। If any do that in rancour and injustice,- soon shall We cast them into the Fire: And easy it is for Allah.
31 إِن تَجْتَنِبُوا۟ كَبَآئِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّـَٔاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا ইন তাজতানিবূকাবাইরা মা-তুনহাওনা ‘আনহু নুকাফফির ‘আনকুমছাইয়িআ-তিকুম ওয়ানুদখিলকুম মুদখালান কারীমা-।
যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের ক্রটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করার। If ye (but) eschew the most heinous of the things which ye are forbidden to do, We shall expel out of you all the evil in you, and admit you to a gate of great honour.
32 وَلَا تَتَمَنَّوْا۟ مَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بِهِۦ بَعْضَكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ لِّلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِّمَّا ٱكْتَسَبُوا۟ وَلِلنِّسَآءِ نَصِيبٌ مِّمَّا ٱكْتَسَبْنَ وَسْـَٔلُوا۟ ٱللَّهَ مِن فَضْلِهِۦٓ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمًا ওয়ালা-তাতামান্নাওঁমা-ফাদ্দালাল্লা-হু বিহী বা‘দাকুম ‘আলা বা‘দিন লিররিজা-লি নাসীবুম মিম্মাকতাছাবূ ওয়ালিন নিছাই নাসীবুম মিম্মাক তাছাবনা ওয়াছ আলুল্লা-হা মিন ফাদলিহী ইন্নাল্লাহা কা-না বিকুল্লি শাইইন ‘আলীমা-।
আর তোমরা আকাঙ্ক্ষা করো না এমন সব বিষয়ে যাতে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের একের উপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত। And in no wise covet those things in which Allah Hath bestowed His gifts More freely on some of you than on others: To men is allotted what they earn, and to women what they earn: But ask Allah of His bounty. For Allah hath full knowledge of all things.
33 وَلِكُلٍّ جَعَلْنَا مَوَٰلِىَ مِمَّا تَرَكَ ٱلْوَٰلِدَانِ وَٱلْأَقْرَبُونَ وَٱلَّذِينَ عَقَدَتْ أَيْمَٰنُكُمْ فَـَٔاتُوهُمْ نَصِيبَهُمْ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ شَهِيدًا ওয়ালিকুল্লিন জা‘আলনা-মাওয়া-লিয়া মিম্মা-তারাকাল ওয়া-লিদা-নি ওয়াল আকরাবূনা ওয়াল্লাযীনা ‘আকাদাত আইমা-নুকুম ফাআ-তুহুম নাসীবাহুম ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলাকুল্লি শাইইন শাহীদা-।
পিতা-মাতা এবং নিকটাত্নীয়গণ যা ত্যাগ করে যান সেসবের জন্যই আমি উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে দিয়েছি। আর যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছ তাদের প্রাপ্য দিয়ে দাও। আল্লাহ তা’আলা নিঃসন্দেহে সব কিছুই প্রত্যক্ষ করেন। To (benefit) every one, We have appointed shares and heirs to property left by parents and relatives. To those, also, to whom your right hand was pledged, give their due portion. For truly Allah is witness to all things.
34 ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ وَبِمَآ أَنفَقُوا۟ مِنْ أَمْوَٰلِهِمْ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُ وَٱلَّٰتِى تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهْجُرُوهُنَّ فِى ٱلْمَضَاجِعِ وَٱضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا۟ عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا আররিজা-লুকাওওয়া-মূনা ‘আলাননিছাই, বিমা-ফাদ্দালাল্লা-হু বা‘দাহুম ‘আলাবা‘দিওঁ ওয়াবিমা-আনফাকূমিন আমওয়া-লিহিম ফাসসা-লিহা-তুকা-নিতা-তুন হাফিজা তুল লিল গাইবি বিমা-হাফিজাল্লা-হু ওয়াল্লা-তী তাখা-ফূনা নুশূঝাহুন্না ফা‘ইজূহুন্না ওয়াহজুরূহুন্না ফিল মাদা-জি‘ই ওয়াদরিবূহুন্না ফাইন আতা‘নাকুম ফালাতাবগূ‘আলাইহিন্না ছাবীলা- ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলিইইয়ান কাবীরা।
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ। Men are the protectors and maintainers of women, because Allah has given the one more (strength) than the other, and because they support them from their means. Therefore the righteous women are devoutly obedient, and guard in (the husband's) absence what Allah would have them guard. As to those women on whose part ye fear disloyalty and ill-conduct, admonish them (first), (Next), refuse to share their beds, (And last) beat them (lightly); but if they return to obedience, seek not against them Means (of annoyance): For Allah is Most High, great (above you all).
35 وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَٱبْعَثُوا۟ حَكَمًا مِّنْ أَهْلِهِۦ وَحَكَمًا مِّنْ أَهْلِهَآ إِن يُرِيدَآ إِصْلَٰحًا يُوَفِّقِ ٱللَّهُ بَيْنَهُمَآ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا ওয়া ইন খিফতুম শিকা-কা বাইনাহুমা-ফাব‘আছূহাকামাম মিন আহলিহী ওয়া হাকামাম মিন আহলিহা- ইয়ঁইউরীদা-ইসলা-হাইঁ ইউওয়াফফিকিল্লা-হু বাইনাহুম ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলীমান খাবীরা।
যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ের মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত। If ye fear a breach between them twain, appoint (two) arbiters, one from his family, and the other from hers; if they wish for peace, Allah will cause their reconciliation: For Allah hath full knowledge, and is acquainted with all things.
36 وَٱعْبُدُوا۟ ٱللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا۟ بِهِۦ شَيْـًٔا وَبِٱلْوَٰلِدَيْنِ إِحْسَٰنًا وَبِذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَٱلْجَارِ ذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْجَارِ ٱلْجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلْجَنۢبِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُمْ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا ওয়া‘বুদুল্লা-হা ওয়ালা-তুশরিকূবিহী শাইআওঁ ওয়াবিল ওয়া-লিদাইনি ইহছানাওঁ ওয়াবিযিল কুরবা-ওয়াল ইয়াতা-মা-ওয়াল মাছা-কীনি ওয়াল জা-রিযিল কুরবা-ওয়ালজা-রিল জুনুবি ওয়াসসা-হিবি বিলজামবি ওয়াবনিছ ছাবীলি ওয়ামা-মালাকাত আইমা-নুকুম ইন্নাল্লাহা-লা ইউহিব্বুমান কা-না মুখতা-লান ফাখূরা-।
আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে। Serve Allah, and join not any partners with Him; and do good- to parents, kinsfolk, orphans, those in need, neighbours who are near, neighbours who are strangers, the companion by your side, the wayfarer (ye meet), and what your right hands possess: For Allah loveth not the arrogant, the vainglorious;-
37 ٱلَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ ٱلنَّاسَ بِٱلْبُخْلِ وَيَكْتُمُونَ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا আল্লাযীনা ইয়াবখালূনা ওয়া ইয়া’মুরূনান্না-ছা বিলবুখলি ওয়া ইয়াকতুমূনা মাআ-তা-হুমুল্লাহু মিন ফাদলিহী ওয়া আ‘তাদনা-লিলকা-ফিরীনা ‘আযাবাম মুহীনা-।
যারা নিজেরাও কার্পন্য করে এবং অন্যকেও কৃপণতা শিক্ষা দেয় আর গোপন করে সে সব বিষয় যা আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দান করেছেন স্বীয় অনুগ্রহে-বস্তুতঃ তৈরী করে রেখেছি কাফেরদের জন্য অপমান জনক আযাব। (Nor) those who are niggardly or enjoin niggardliness on others, or hide the bounties which Allah hath bestowed on them; for We have prepared, for those who resist Faith, a punishment that steeps them in contempt;-
38 وَٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمْ رِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَمَن يَكُنِ ٱلشَّيْطَٰنُ لَهُۥ قَرِينًا فَسَآءَ قَرِينًا ওয়াল্লাযীনা ইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম রিআআন্না-ছি ওয়ালা ইউ’মিনূনা বিল্লা-হি ওয়ালা-বিলইয়াওমিল আ-খিরি ওয়ামাইঁ ইয়াকুনিশশাইতা-নুলাহু কারীনান ফাছাআ কারীনা-।
আর সে সমস্ত লোক যারা ব্যয় করে স্বীয় ধন-সম্পদ লোক-দেখানোর উদ্দেশে এবং যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে না, ঈমান আনে না কেয়ামত দিবসের প্রতি এবং শয়তান যার সাথী হয় সে হল নিকৃষ্টতর সাথী। Not those who spend of their substance, to be seen of men, but have no faith in Allah and the Last Day: If any take the Evil One for their intimate, what a dreadful intimate he is!
39 وَمَاذَا عَلَيْهِمْ لَوْ ءَامَنُوا۟ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَأَنفَقُوا۟ مِمَّا رَزَقَهُمُ ٱللَّهُ وَكَانَ ٱللَّهُ بِهِمْ عَلِيمًا ওয়া মা-যা-‘আললইহিম লাও আ-মানূবিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়া আনফাকূ মিম্মা-রাঝাকাহুমুল্লা-হু ওয়াকা-নাল্লা-হু বিহিম ‘আলীমা।
আর কিই বা ক্ষতি হত তাদের যদি তারা ঈমান আনত আল্লাহর উপর কেয়ামত দিবসের উপর এবং যদি ব্যয় করত আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক থেকে! অথচ আল্লাহ, তাদের ব্যাপারে যথার্থভাবেই অবগত। And what burden Were it on them if they had faith in Allah and in the Last Day, and they spent out of what Allah hath given them for sustenance? For Allah hath full knowledge of them.
40 إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ وَإِن تَكُ حَسَنَةً يُضَٰعِفْهَا وَيُؤْتِ مِن لَّدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াজলিমুমিছকা-লা যাররাতিওঁ ওয়া ইন তাকুহাছানাতাইঁ ইউদাইফহা-ওয়াইউ’তি মিল্লাদুনহু আজরান ‘আজীমা।
নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো প্রাপ্য হক বিন্দু-বিসর্গও রাখেন না; আর যদি তা সৎকর্ম হয়, তবে তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকে বিপুল সওয়াব দান করেন। Allah is never unjust in the least degree: If there is any good (done), He doubleth it, and giveth from His own presence a great reward.
41 فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِن كُلِّ أُمَّةٍۭ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِ شَهِيدًا ফাকাইফা ইযা-জি’না-মিন কুল্লি উম্মাতিম বিশাহীদিওঁ ওয়াজি’না-বিকা ‘আলা-হাউল্লাই শাহীদা।
আর তখন কি অবস্থা দাঁড়াবে, যখন আমি ডেকে আনব প্রতিটি উম্মতের মধ্য থেকে অবস্থা বর্ণনাকারী এবং আপনাকে ডাকব তাদের উপর অবস্থা বর্ণনাকারীরূপে। How then if We brought from each people a witness, and We brought thee as a witness against these people!
42 يَوْمَئِذٍ يَوَدُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَعَصَوُا۟ ٱلرَّسُولَ لَوْ تُسَوَّىٰ بِهِمُ ٱلْأَرْضُ وَلَا يَكْتُمُونَ ٱللَّهَ حَدِيثًا ইয়াওমায়িযিইঁ ইয়াওয়াদ্দুল্লাযীনা কাফারূ ওয়া ‘আসাউররাছূলা লাও তুছাওওয়া-বিহিমুল আরদু ওয়ালা-ইয়াকতুমূনাল্লা-হা হাদীছা।
সেদিন কামনা করবে সে সমস্ত লোক, যারা কাফের হয়েছিল এবং রসূলের নাফরমানী করেছিল, যেন যমীনের সাথে মিশে যায়। কিন্তু গোপন করতে পারবে না আল্লাহর নিকট কোন বিষয়। On that day those who reject Faith and disobey the messenger will wish that the earth Were made one with them: But never will they hide a single fact from Allah!
43 يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَقْرَبُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنتُمْ سُكَٰرَىٰ حَتَّىٰ تَعْلَمُوا۟ مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِى سَبِيلٍ حَتَّىٰ تَغْتَسِلُوا۟ وَإِن كُنتُم مَّرْضَىٰٓ أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوْ جَآءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ ٱلْغَآئِطِ أَوْ لَٰمَسْتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوا۟ مَآءً فَتَيَمَّمُوا۟ صَعِيدًا طَيِّبًا فَٱمْسَحُوا۟ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাকরাবুস সালা-তা ওয়া আনতুম ছুকা-রা-হাত্তাতা‘লামূমা-তাকূলূনা ওয়ালা-জুনুবান ইল্লা-‘আ-বিরী ছাবীলিন হাত্তা-তাগতাছিলূ ওয়া ইন কুনতুম মারদা-আও ‘আলা-ছাফারিন আও জাআ আহাদুম মিনকুম মিনাল গাইতি আও লা-মাছতুমুন নিছাআ ফালাম তাজিদূমাআন ফাতাইয়াম্মামূসা‘ঈদান তাইয়িবান ফামছাহূবিউজূহিকুম ওয়া আইদীকুম ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আফুওওয়ান গাফূরা।
হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল। O ye who believe! Approach not prayers with a mind befogged, until ye can understand all that ye say,- nor in a state of ceremonial impurity (Except when travelling on the road), until after washing your whole body. If ye are ill, or on a journey, or one of you cometh from offices of nature, or ye have been in contact with women, and ye find no water, then take for yourselves clean sand or earth, and rub therewith your faces and hands. For Allah doth blot out sins and forgive again and again.
44 أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ نَصِيبًا مِّنَ ٱلْكِتَٰبِ يَشْتَرُونَ ٱلضَّلَٰلَةَ وَيُرِيدُونَ أَن تَضِلُّوا۟ ٱلسَّبِيلَ আলাম তারা ইলাল্লাযীনা ঊতূুনাসীবাম মিনাল কিতা-বি ইয়াশতারূনাদ্দালা-লাতা ওয়া ইউরীদূনা আন তাদিল্লুছ ছাবীল।
তুমি কি ওদের দেখনি, যারা কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে, (অথচ) তারা পথভ্রষ্টতা খরিদ করে এবং কামনা করে, যাতে তোমরাও আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত হয়ে যাও। Hast thou not turned Thy vision to those who were given a portion of the Book? they traffic in error, and wish that ye should lose the right path.
45 وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِأَعْدَآئِكُمْ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَلِيًّا وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ نَصِيرًا ওয়াল্লা-হু আ‘লামুবিআ‘দাইকুম ওয়া কাফা-বিল্লা-হি ওয়ালিইয়াওঁ ওয়া কাফাবিল্লা-হি নাসীরা।
অথচ আল্লাহ তোমাদের শত্রুদেরকে যথার্থই জানেন। আর অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী হিসাবেও আল্লাহই যথেষ্ট। But Allah hath full knowledge of your enemies: Allah is enough for a protector, and Allah is enough for a Helper.
46 مِّنَ ٱلَّذِينَ هَادُوا۟ يُحَرِّفُونَ ٱلْكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦ وَيَقُولُونَ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَٱسْمَعْ غَيْرَ مُسْمَعٍ وَرَٰعِنَا لَيًّۢا بِأَلْسِنَتِهِمْ وَطَعْنًا فِى ٱلدِّينِ وَلَوْ أَنَّهُمْ قَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَٱسْمَعْ وَٱنظُرْنَا لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ وَأَقْوَمَ وَلَٰكِن لَّعَنَهُمُ ٱللَّهُ بِكُفْرِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُونَ إِلَّا قَلِيلًا মিনাল্লাযীনা হা-দূইউহাররিফূনাল কালিমা ‘আম্মাওয়া-দি‘ইহী ওয়া ইয়াকূলূনা ছামি‘নাওয়া আসাইনা-ওয়াছমা‘ গাইরা মুছমা‘ইওঁ ওয়ারা‘ইনা-লাইইয়াম বিআলছিনাতিহিম ওয়া তা‘নান ফিদ্দীনি ওয়া লাও আন্নাহুম কা-লূছামি‘না ওয়া আতা‘না-ওয়াছমা‘ ওয়ানজু রনালাকা-না খাইরাল্লাহুম ওয়া আকওয়ামা ওয়ালা-কিল লা‘আনাহুমুল্লা-হু বিকুফরিহিম ফালা- ইউ’মিনূনা ইল্লা-কালীলা।
কোন কোন ইহুদী তার লক্ষ্য থেকে কথার মোড় ঘুড়িয়ে নেয় এবং বলে, আমরা শুনেছি কিন্তু অমান্য করছি। তারা আরো বলে, শোন, না শোনার মত। মুখ বাঁকিয়ে দ্বীনের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শনের উদ্দেশে বলে, রায়েনা’ (আমাদের রাখাল)। অথচ যদি তারা বলত যে, আমরা শুনেছি ও মান্য করেছি এবং (যদি বলত, ) শোন এবং আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখ, তবে তাই ছিল তাদের জন্য উত্তম আর সেটাই ছিল যথার্থ ও সঠিক। কিন্তু আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন তাদের কুফরীর দরুন। অতএব, তারা ঈমান আনছে না, কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক। Of the Jews there are those who displace words from their (right) places, and say: "We hear and we disobey"; and "Hear what is not Heard"; and "Ra'ina"; with a twist of their tongues and a slander to Faith. If only they had said: "What hear and we obey"; and "Do hear"; and "Do look at us"; it would have been better for them, and more proper; but Allah hath cursed them for their Unbelief; and but few of them will believe.
47 يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ ءَامِنُوا۟ بِمَا نَزَّلْنَا مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُم مِّن قَبْلِ أَن نَّطْمِسَ وُجُوهًا فَنَرُدَّهَا عَلَىٰٓ أَدْبَارِهَآ أَوْ نَلْعَنَهُمْ كَمَا لَعَنَّآ أَصْحَٰبَ ٱلسَّبْتِ وَكَانَ أَمْرُ ٱللَّهِ مَفْعُولًا ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা আ-মিনূবিমা-নাঝঝালনা-মুসাদ্দিকাল লিমামা‘আকুম মিন কাবলি আন নাতমিছা উজূহান ফানারুদ্দাহা-‘আলাআদবা-রিহা-আও নাল‘আনাহুম কামা-লা‘আন্নাআসহা-বাছছাবতি ওয়া কা-না আমরুল্লা-হি মাফ‘ঊলা।
হে আসমানী গ্রন্থের অধিকারীবৃন্দ! যা কিছু আমি অবতীর্ণ করেছি তার উপর বিশ্বাস স্থাপন কর, যা সে গ্রন্থের সত্যায়ন করে এবং যা তোমাদের নিকট রয়েছে পূর্ব থেকে। (বিশ্বাস স্থাপন কর) এমন হওয়ার আগেই যে, আমি মুছে দেব অনেক চেহারাকে এবং অতঃপর সেগুলোকে ঘুরিয়ে দেব পশ্চাৎ দিকে কিংবা অভিসম্পাত করব তাদের প্রতি যেমন করে অভিসম্পাত করেছি আছহাবে-সাবতের উপর। আর আল্লাহর নির্দেশ অবশ্যই কার্যকর হবে। O ye People of the Book! believe in what We have (now) revealed, confirming what was (already) with you, before We change the face and fame of some (of you) beyond all recognition, and turn them hindwards, or curse them as We cursed the Sabbath-breakers, for the decision of Allah Must be carried out.
48 إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِۦ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُ وَمَن يُشْرِكْ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱفْتَرَىٰٓ إِثْمًا عَظِيمًا ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াগফিরু আইঁ ইউশরাকা বিহী ওয়া ইয়াগফিরু মা-দূ না যা-লিকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাই ইউশরিক বিল্লা-হি ফাকাদিফ তারা-ইছমান ‘আজীমা।
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। Allah forgiveth not that partners should be set up with Him; but He forgiveth anything else, to whom He pleaseth; to set up partners with Allah is to devise a sin Most heinous indeed.
49 أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنفُسَهُم بَلِ ٱللَّهُ يُزَكِّى مَن يَشَآءُ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلًا আলাম তারা ইলাল্লাযীনা ইউঝাক্কূনা আনফুছাহুম বালিল্লা-হু ইউঝাক্কী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়ালা-ইউজলামূনা ফাতীলা।
তুমি কি তাদেকে দেখনি, যারা নিজেদেরকে পূত-পবিত্র বলে থাকে অথচ পবিত্র করেন আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকেই? বস্তুতঃ তাদের উপর সুতা পরিমাণ অন্যায়ও হবে না। Hast thou not turned Thy vision to those who claim sanctity for themselves? Nay-but Allah Doth sanctify whom He pleaseth. But never will they fail to receive justice in the least little thing.
50 ٱنظُرْ كَيْفَ يَفْتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ وَكَفَىٰ بِهِۦٓ إِثْمًا مُّبِينًا উনজু র কাইফা ইয়াফতারূনা ‘আলাল্লা-হিল কাযিবা ওয়া কাফা-বিহী ইছমাম মুবীনা।
লক্ষ্য কর, কেমন করে তারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, অথচ এই প্রকাশ্য পাপই যথেষ্ট। Behold! how they invent a lie against Allah! but that by itself is a manifest sin!

1 2 3 4