Surah Ar-Rum - আর-রূম বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ, Audio, Arabic Ayat & English Meaning

30
Ar-Rum
আর-রূম
Meaning: Rome - Released in Mecca Total Ayats: 60 (3410 to 3469) Total Ruku: 6 - Sijda: Para: 21 - According to Najil: 84
# Ayat & Ortho Uccharon & English Meaning
31 مُنِيبِينَ إِلَيْهِ وَٱتَّقُوهُ وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَلَا تَكُونُوا۟ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ মুনীবীনা ইলাইহি ওয়াত্তাকূহু ওয়াআকীমুসসালা-তা ওয়ালা-তাকূনূমিনাল মুশরিকীন।
সবাই তাঁর অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। Turn ye back in repentance to Him, and fear Him: establish regular prayers, and be not ye among those who join gods with Allah,-
32 مِنَ ٱلَّذِينَ فَرَّقُوا۟ دِينَهُمْ وَكَانُوا۟ شِيَعًا كُلُّ حِزْبٍۭ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ মিনাল্লাযীনা ফাররাকূদীনাহুম ওয়া কা-নূশিয়া‘আন কুল্লুহিঝবিম বিমা-লাদাইহিম ফারিহুন।
যারা তাদের ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত। Those who split up their Religion, and become (mere) Sects,- each party rejoicing in that which is with itself!
33 وَإِذَا مَسَّ ٱلنَّاسَ ضُرٌّ دَعَوْا۟ رَبَّهُم مُّنِيبِينَ إِلَيْهِ ثُمَّ إِذَآ أَذَاقَهُم مِّنْهُ رَحْمَةً إِذَا فَرِيقٌ مِّنْهُم بِرَبِّهِمْ يُشْرِكُونَ ওয়া ইযা-মাছছান্না-ছা দু ররুন দা‘আও রাব্বাহুম মুনীবীনা ইলাইহি ছু ম্মা ইযাআযা-কাহুম মিনহু রাহামাতান ইযা-ফারীকুম মিনহুম বিরাব্বিহিম ইউশরিকূন।
মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন তারা তাদের পালনকর্তাকে আহবান করে তাঁরই অভিমুখী হয়ে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে রহমতের স্বাদ আস্বাদন করান, তখন তাদের একদল তাদের পালনকর্তার সাথে শিরক করতে থাকে, When trouble touches men, they cry to their Lord, turning back to Him in repentance: but when He gives them a taste of Mercy as from Himself, behold, some of them pay part-worship to other god's besides their Lord,-
34 لِيَكْفُرُوا۟ بِمَآ ءَاتَيْنَٰهُمْ فَتَمَتَّعُوا۟ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ লিয়াকফুরূ বিমাআ-তাইনা-হুম ফাতামাত্তা‘ঊ ফাছাওফা তা‘লামূন।
যাতে তারা অস্বীকার করে যা আমি তাদেরকে দিয়েছি। অতএব, মজা লুটে নাও, সত্বরই জানতে পারবে। (As if) to show their ingratitude for the (favours) We have bestowed on them! Then enjoy (your brief day); but soon will ye know (your folly).
35 أَمْ أَنزَلْنَا عَلَيْهِمْ سُلْطَٰنًا فَهُوَ يَتَكَلَّمُ بِمَا كَانُوا۟ بِهِۦ يُشْرِكُونَ আম আনঝালনা-‘আলাইহিম ছুলতা-নান ফাহুওয়া ইয়াতাকাল্লামুবিমা-কা-নূবিহী ইউশরিকূন।
আমি কি তাদের কাছে এমন কোন দলীল নাযিল করেছি, যে তাদেরকে আমার শরীক করতে বলে? Or have We sent down authority to them, which points out to them the things to which they pay part-worship?
36 وَإِذَآ أَذَقْنَا ٱلنَّاسَ رَحْمَةً فَرِحُوا۟ بِهَا وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌۢ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ إِذَا هُمْ يَقْنَطُونَ ওয়া ইযা-আযাকনান্না-ছা রাহমাতান ফারিহূবিহা- ওয়া ইন তুসিবহুম ছাইয়িআতুম বিমা-কাদ্দামাত আইদীহিম ইযা-হুম ইয়াকনাতূন।
আর যখন আমি মানুষকে রহমতের স্বাদ আস্বাদন করাই, তারা তাতে আনন্দিত হয় এবং তাদের কৃতকর্মের ফলে যদি তাদেরকে কোন দুদর্শা পায়, তবে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। When We give men a taste of Mercy, they exult thereat: and when some evil afflicts them because of what their (own) hands have sent forth, behold, they are in despair!
37 أَوَلَمْ يَرَوْا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقْدِرُ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ আওয়া লাম ইয়ারাও আন্নাল্লা-হা ইয়াবছুতুর রিঝকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াকদিরু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বর্ধিত করেন এবং হ্রাস করেন। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। See they not that Allah enlarges the provision and restricts it, to whomsoever He pleases? Verily in that are Signs for those who believe.
38 فَـَٔاتِ ذَا ٱلْقُرْبَىٰ حَقَّهُۥ وَٱلْمِسْكِينَ وَٱبْنَ ٱلسَّبِيلِ ذَٰلِكَ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ يُرِيدُونَ وَجْهَ ٱللَّهِ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ ফাআ-তি যাল কুরবা-হাক্কাহূওয়াল মিছকীনা ওয়াবনাছছাবীল যা-লিকা খাইরুল লিল্লাযীনা ইউরীদূ না ওয়াজহাল্লা-হি ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।
আত্নীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য দিন এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরও। এটা তাদের জন্যে উত্তম, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে। তারাই সফলকাম। So give what is due to kindred, the needy, and the wayfarer. That is best for those who seek the Countenance, of Allah, and it is they who will prosper.
39 وَمَآ ءَاتَيْتُم مِّن رِّبًا لِّيَرْبُوَا۟ فِىٓ أَمْوَٰلِ ٱلنَّاسِ فَلَا يَرْبُوا۟ عِندَ ٱللَّهِ وَمَآ ءَاتَيْتُم مِّن زَكَوٰةٍ تُرِيدُونَ وَجْهَ ٱللَّهِ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُضْعِفُونَ ওয়ামাআ-তাইতুম মির রিবাল লিয়ারবুওয়া ফীআমওয়া-লিন্না-ছি ফালা-ইয়ারবূ‘ইনদাল্লা-হি ওয়ামাআ-তাইতুম মিন ঝাকা-তিন তুরীদূ না ওয়াজহাল্লা-হি ফাউলাইকা হুমুল মু দ‘ইফূন।
মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায় তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে। That which ye lay out for increase through the property of (other) people, will have no increase with Allah: but that which ye lay out for charity, seeking the Countenance of Allah, (will increase): it is these who will get a recompense multiplied.
40 ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَكُمْ ثُمَّ رَزَقَكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ هَلْ مِن شُرَكَآئِكُم مَّن يَفْعَلُ مِن ذَٰلِكُم مِّن شَىْءٍ سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ আল্লা-হুল্লাযী খালাকাকুম ছুম্মা রাঝাকাকুম ছুম্মা ইউমীতুকুম ছুম্মা ইউহঈকুম হাল মিন শুরাকাইকুম মাইঁ ইয়াফ‘আলুমিন যা-লিকুম মিন শাইয়িন ছুবহা-নাহূওয়া তা‘আলা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।
আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর রিযিক দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেন, এরপর তোমাদের জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে এসব কাজের মধ্যে কোন একটিও করতে পারবে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান। It is Allah Who has created you: further, He has provided for your sustenance; then He will cause you to die; and again He will give you life. Are there any of your (false) "Partners" who can do any single one of these things? Glory to Him! and high is He above the partners they attribute (to him)!
41 ظَهَرَ ٱلْفَسَادُ فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِى ٱلنَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ ٱلَّذِى عَمِلُوا۟ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ জাহারাল ফাছা-দুফিল বাররি ওয়ালবাহরি বিমা-কাছাবাত আইদিন্না-ছি লিইউযীকাহুম বা‘দাল্লাযী ‘আমিলূলা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে। Mischief has appeared on land and sea because of (the meed) that the hands of men have earned, that (Allah) may give them a taste of some of their deeds: in order that they may turn back (from Evil).
42 قُلْ سِيرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ فَٱنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلُ كَانَ أَكْثَرُهُم مُّشْرِكِينَ কুল ছীরূফিল আরদিফানজুরূ কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা মিন কাবলু কানা আকছারুহুম মুশরিকীন।
বলুন, তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখ তোমাদের পুর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছে। তাদের অধিকাংশই ছিল মুশরিক। Say: "Travel through the earth and see what was the end of those before (you): Most of them worshipped others besides Allah."
43 فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ ٱلْقَيِّمِ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِىَ يَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهُۥ مِنَ ٱللَّهِ يَوْمَئِذٍ يَصَّدَّعُونَ ফাআকিম ওয়াজহাকা লিদ্দীনিল কাইয়িমি মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়া ইয়াওমুল লা-মারাদ্দা লাহূমিনাল্লা-হি ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াসসাদ্দা‘ঊন।
যে দিবস আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাহূত হবার নয়, সেই দিবসের পূর্বে আপনি সরল ধর্মে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন। সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়বে। But set thou thy face to the right Religion before there come from Allah the Day which there is no chance of averting: on that Day shall men be divided (in two).
44 مَن كَفَرَ فَعَلَيْهِ كُفْرُهُۥ وَمَنْ عَمِلَ صَٰلِحًا فَلِأَنفُسِهِمْ يَمْهَدُونَ মান কাফারা ফা‘আলাইহি কুফরুহু ওয়া মান ‘আমিলা সা-লিহান ফালিআনফুছিহিম ইয়ামহাদূ ন।
যে কুফরী করে, তার কফুরের জন্যে সে-ই দায়ী এবং যে সৎকর্ম করে, তারা নিজেদের পথই শুধরে নিচ্ছে। Those who reject Faith will suffer from that rejection: and those who work righteousness will spread their couch (of repose) for themselves (in heaven):
45 لِيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِن فَضْلِهِۦٓ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلْكَٰفِرِينَ লিয়াজঝিইয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি মিন ফাদলিহী ইন্নাহূলাইউহিব্বুল কা-ফিরীন।
যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকর্ম করেছে যাতে, আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে প্রতিদান দেন। নিশ্চয় তিনি কাফেরদের ভালবাসেন না। That He may reward those who believe and work righteous deeds, out of his Bounty. For He loves not those who reject Faith.
46 وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦٓ أَن يُرْسِلَ ٱلرِّيَاحَ مُبَشِّرَٰتٍ وَلِيُذِيقَكُم مِّن رَّحْمَتِهِۦ وَلِتَجْرِىَ ٱلْفُلْكُ بِأَمْرِهِۦ وَلِتَبْتَغُوا۟ مِن فَضْلِهِۦ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ওয়া মিন আ-য়া-তিহীআইঁ ইউরছিলার রিয়া-হামুবাশশিরা-তিওঁ ওয়া লিইউযীকাকুম মিররাহমাতিহী ওয়া লিতাজরিয়াল ফুলকুবিআমরিহী ওয়া লিতাবতাগূমিন ফাদলিহী ওয়া লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি এই যে, তিনি সুসংবাদবাহী বায়ু প্রেরণ করেন, যাতে তিনি তাঁর অনুগ্রহ তোমাদের আস্বাদন করান এবং যাতে তাঁর নির্দেশে জাহাজসমূহ বিচরণ করে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ কর এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। Among His Signs is this, that He sends the Winds, as heralds of Glad Tidings, giving you a taste of His (Grace and) Mercy,- that the ships may sail (majestically) by His Command and that ye may seek of His Bounty: in order that ye may be grateful.
47 وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ رُسُلًا إِلَىٰ قَوْمِهِمْ فَجَآءُوهُم بِٱلْبَيِّنَٰتِ فَٱنتَقَمْنَا مِنَ ٱلَّذِينَ أَجْرَمُوا۟ وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ ٱلْمُؤْمِنِينَ ওয়া লাকাদ আরছালনা-মিন কাবলিকা রুছুলান ইলা-কাওমিহিম ফাজাঊহুম বিল বাইয়িনাতি ফানতাকামনা-মিনাল্লাযীনা আজরামূ ওয়া কা-না হাক্কান ‘আলাইনা-নাসরুল মু’মিনীন।
আপনার পূর্বে আমি রসূলগণকে তাঁদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি। তাঁরা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করেন। অতঃপর যারা পাপী ছিল, তাদের আমি শাস্তি দিয়েছি। মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। We did indeed send, before thee, messengers to their (respective) peoples, and they came to them with Clear Signs: then, to those who transgressed, We meted out Retribution: and it was due from Us to aid those who believed.
48 ٱللَّهُ ٱلَّذِى يُرْسِلُ ٱلرِّيَٰحَ فَتُثِيرُ سَحَابًا فَيَبْسُطُهُۥ فِى ٱلسَّمَآءِ كَيْفَ يَشَآءُ وَيَجْعَلُهُۥ كِسَفًا فَتَرَى ٱلْوَدْقَ يَخْرُجُ مِنْ خِلَٰلِهِۦ فَإِذَآ أَصَابَ بِهِۦ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦٓ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ আল্লা-হুল্লাযী ইউরছিলুর রিয়া-হা ফাতুছীরু ছাহা-বান ফাইয়াবছুতু হূফিছ ছামাই কাইফা ইয়াশা-উ ওয়া ইয়াজ‘আলুহূকিছাফান ফাতারাল ওয়াদকা ইয়াখরুজুমিন খিলা-লিহী ফাইযা আসা-বা বিহী মাইঁ ইয়াশা-উ মিন ‘ইবা-দিহী ইযা-হুম ইয়াছতাবশিরূন।
তিনি আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালাকে সঞ্চারিত করে। অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বৃষ্টিধারা। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়। It is Allah Who sends the Winds, and they raise the Clouds: then does He spread them in the sky as He wills, and break them into fragments, until thou seest rain-drops issue from the midst thereof: then when He has made them reach such of his servants as He wills behold, they do rejoice!-
49 وَإِن كَانُوا۟ مِن قَبْلِ أَن يُنَزَّلَ عَلَيْهِم مِّن قَبْلِهِۦ لَمُبْلِسِينَ ওয়া ইন কা-নূমিন কাবলি আইঁ ইউনাঝঝালা ‘আলাইহিম মিন কাবলিহী লামুবলিছীন।
তারা প্রথম থেকেই তাদের প্রতি এই বৃষ্টি বর্ষিত হওয়ার পূর্বে নিরাশ ছিল। Even though, before they received (the rain) - just before this - they were dumb with despair!
50 فَٱنظُرْ إِلَىٰٓ ءَاثَٰرِ رَحْمَتِ ٱللَّهِ كَيْفَ يُحْىِ ٱلْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَآ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ফানজু র ইলা আ-ছা-রি রাহমাতিল্লা-হি কাইফা ইউহয়িল আরদা বা‘দা মাওতিহা- ইন্না যা-লিকা লামুহয়িল মাওতা- ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
অতএব, আল্লাহর রহমতের ফল দেখে নাও, কিভাবে তিনি মৃত্তিকার মৃত্যুর পর তাকে জীবিত করেন। নিশ্চয় তিনি মৃতদেরকে জীবিত করবেন এবং তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। Then contemplate (O man!) the memorials of Allah's Mercy!- how He gives life to the earth after its death: verily the same will give life to the men who are dead: for He has power over all things.
51 وَلَئِنْ أَرْسَلْنَا رِيحًا فَرَأَوْهُ مُصْفَرًّا لَّظَلُّوا۟ مِنۢ بَعْدِهِۦ يَكْفُرُونَ ওয়া লাইন আরছালনা-রীহান ফারাআওহু মুসফাররাল লাজাললূমিম বা‘দিহী ইয়াকফুরূন।
আমি যদি এমন বায়ু প্রেরণ করি যার ফলে তারা শস্যকে হলদে হয়ে যেতে দেখে, তখন তো তারা অবশ্যই অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়। And if We (but) send a Wind from which they see (their tilth) turn yellow,- behold, they become, thereafter, Ungrateful (Unbelievers)!
52 فَإِنَّكَ لَا تُسْمِعُ ٱلْمَوْتَىٰ وَلَا تُسْمِعُ ٱلصُّمَّ ٱلدُّعَآءَ إِذَا وَلَّوْا۟ مُدْبِرِينَ ফাইন্নাকা লা-তুছমি‘উল মাওতা-ওয়ালা-তুছমি‘উস সুম্মাদ দু‘আআ ইযা-ওয়াল্লাও মুদবিরীন।
অতএব, আপনি মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে। So verily thou canst not make the dead to hear, nor canst thou make the deaf to hear the call, when they show their backs and turn away.
53 وَمَآ أَنتَ بِهَٰدِ ٱلْعُمْىِ عَن ضَلَٰلَتِهِمْ إِن تُسْمِعُ إِلَّا مَن يُؤْمِنُ بِـَٔايَٰتِنَا فَهُم مُّسْلِمُونَ ওয়া মাআনতা বিহা-দিল ‘উময়ি ‘আন দালা-লাতিহিম ইন তুছমি‘উ ইল্লা-মাইঁ ইউ’মিনু বিআ-য়া-তিনা-ফাহুম মুছলিমূন।
আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান। Nor canst thou lead back the blind from their straying: only those wilt thou make to hear, who believe in Our signs and submit (their wills in Islam).
54 ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنۢ بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِنۢ بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفًا وَشَيْبَةً يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ وَهُوَ ٱلْعَلِيمُ ٱلْقَدِيرُ আল্লা-হুল্লাযী খালাকাকুম মিন দু‘ফিন ছু ম্মা জা‘আলা মিম বা‘দি দু‘ফিন কু ওওয়াতান ছু ম্মা জা‘আলা মিম বা‘দি কুওওয়াতিন দু‘ফাওঁ ওয়া শাইবাতাইঁ ইয়াখলুকুমা-ইয়াশাউ ওয়া হুওয়াল ‘আলীমুল কাদীর।
আল্লাহ তিনি দূর্বল অবস্থায় তোমাদের সৃষ্টি করেন অতঃপর দূর্বলতার পর শক্তিদান করেন, অতঃপর শক্তির পর দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান। It is Allah Who created you in a state of (helpless) weakness, then gave (you) strength after weakness, then, after strength, gave (you weakness and a hoary head: He creates as He wills, and it is He Who has all knowledge and power.
55 وَيَوْمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ يُقْسِمُ ٱلْمُجْرِمُونَ مَا لَبِثُوا۟ غَيْرَ سَاعَةٍ كَذَٰلِكَ كَانُوا۟ يُؤْفَكُونَ ওয়া ইয়াওমা তাকূমুছ ছা-‘আতুইউকছিমুল মুজরিমূনা মা-লাবিছূগাইরা ছা‘আতিন কাযা-লিকা কা-নূইউ’ফাকূন
যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা কসম খেয়ে বলবে যে, এক মুহুর্তেরও বেশী অবস্থান করিনি। এমনিভাবে তারা সত্যবিমুখ হত। On the Day that the Hour (of Reckoning) will be established, the transgressors will swear that they tarried not but an hour: thus were they used to being deluded!
56 وَقَالَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْعِلْمَ وَٱلْإِيمَٰنَ لَقَدْ لَبِثْتُمْ فِى كِتَٰبِ ٱللَّهِ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْبَعْثِ فَهَٰذَا يَوْمُ ٱلْبَعْثِ وَلَٰكِنَّكُمْ كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ওয়া কা-লাল্লাযীনা ঊতুল ‘ইলমা ওয়াল ঈমা-না লাকাদ লাবিছতুম ফী কিতা-বিল্লা-হি ইলা-ইয়াওমিল বা‘ছি ফাহা-যা-ইয়াওমুল বা‘ছিওয়ালা-কিন্নাকুম কনতুম লা-তা‘লামূন।
যাদের জ্ঞান ও ঈমান দেয়া হয়েছে, তারা বলবে আমরা আল্লাহর কিতাব মতে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবস্থান করেছি। এটাই পুনরুত্থান দিবস, কিন্তু তোমরা তা জানতে না। But those endued with knowledge and faith will say: "Indeed ye did tarry, within Allah's Decree, to the Day of Resurrection, and this is the Day of Resurrection: but ye - ye were not aware!"
57 فَيَوْمَئِذٍ لَّا يَنفَعُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مَعْذِرَتُهُمْ وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُونَ ফাইয়াওমাইযিল লা-ইয়ানফা‘উল্লাযীনা জালামূমা‘যিরাতুহুম ওয়ালা-হুম ইউছতা‘তাবূন।
সেদিন জালেমদের ওযর-আপত্তি তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তওবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগও তাদের দেয়া হবে না। So on that Day no excuse of theirs will avail the transgressors, nor will they be invited (then) to seek grace (by repentance).
58 وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِى هَٰذَا ٱلْقُرْءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَلَئِن جِئْتَهُم بِـَٔايَةٍ لَّيَقُولَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا مُبْطِلُونَ ওয়া লাকাদ দারাবনা-লিন্না-ছি ফী হা-যাল কুরআ-নি মিন কুল্লি মাছালিওঁ ওয়া লাইন জি’তাহুম বিআ-ইয়াতিল লাইয়াকূলান্নাল্লাযীনা কাফারূইন আনতুম ইল্লা-মুবতিলূন।
আমি এই কোরআনে মানুষের জন্য সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি। আপনি যদি তাদের কাছে কোন নিদর্শন উপস্থিত করেন, তবে কাফেররা অবশ্যই বলবে, তোমরা সবাই মিথ্যাপন্থী। verily We have propounded for men, in this Qur'an every kind of Parable: But if thou bring to them any Sign, the Unbelievers are sure to say, "Ye do nothing but talk vanities."
59 كَذَٰلِكَ يَطْبَعُ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِ ٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ কাযা-লিকা ইয়াতবা‘উল্লা-হু ‘আলা-কুলূবিল্লাযীনা লা-ইয়া‘লামূন।
এমনিভাবে আল্লাহ জ্ঞানহীনদের হৃদয় মোহরাঙ্কিত করে দেন। Thus does Allah seal up the hearts of those who understand not.
60 فَٱصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ ٱللَّهِ حَقٌّ وَلَا يَسْتَخِفَّنَّكَ ٱلَّذِينَ لَا يُوقِنُونَ ফাসবির ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়ালা-ইয়াছতাখিফফান্নাকাল্লাযীনা লা-ইঊকিনূন।
অতএব, আপনি সবর করুন। আল্লাহর ওয়াদা সত্য। যারা বিশ্বাসী নয়, তারা যেন আপনাকে বিচলিত করতে না পারে। So patiently persevere: for verily the promise of Allah is true: nor let those shake thy firmness, who have (themselves) no certainty of faith.

1 2