Surah Ash-Shuraa - আশ-শুরা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ, Audio, Arabic Ayat & English Meaning

42
Ash-Shuraa
আশ-শুরা
Meaning: The Consultation - Released in Mecca Total Ayats: 53 (4272 to 4325) Total Ruku: 5 - Sijda: Para: 25 - According to Najil: 62
# Ayat & Ortho Uccharon & English Meaning
41 وَلَمَنِ ٱنتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِۦ فَأُو۟لَٰٓئِكَ مَا عَلَيْهِم مِّن سَبِيلٍ ওয়া লামানিন তাসারা বা‘দা জুলমিহী ফাউলাইকা মা-‘আলাইহিম মিন ছাবীল।
নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই। But indeed if any do help and defend themselves after a wrong (done) to them, against such there is no cause of blame.
42 إِنَّمَا ٱلسَّبِيلُ عَلَى ٱلَّذِينَ يَظْلِمُونَ ٱلنَّاسَ وَيَبْغُونَ فِى ٱلْأَرْضِ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ইন্নামাছ ছাবীলু‘আলাল্লাযীনা ইয়াজলিমূনান্না-ছা ওয়া ইয়াবগূনা ফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কি উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। The blame is only against those who oppress men and wrong-doing and insolently transgress beyond bounds through the land, defying right and justice: for such there will be a penalty grievous.
43 وَلَمَن صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمِنْ عَزْمِ ٱلْأُمُورِ ওয়ালামান সাবারা ওয়া গাফারা ইন্না যা-লিকা লামিন ‘আঝমিল উমূর।
অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। But indeed if any show patience and forgive, that would truly be an exercise of courageous will and resolution in the conduct of affairs.
44 وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن وَلِىٍّ مِّنۢ بَعْدِهِۦ وَتَرَى ٱلظَّٰلِمِينَ لَمَّا رَأَوُا۟ ٱلْعَذَابَ يَقُولُونَ هَلْ إِلَىٰ مَرَدٍّ مِّن سَبِيلٍ ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিওঁ ওয়ালিইয়িম মিম বা‘দিহী ওয়াতারাজ্জালিমীনা লাম্মা-রায়াউল ‘আযা-বা ইয়াকূলূনা হাল ইলা-মারাদ্দিম মিন ছাবীল।
আল্লাহ যাকে পথ ভ্রষ্ট করেন, তার জন্যে তিনি ব্যতীত কোন কার্যনির্বাহী নেই। পাপাচারীরা যখন আযাব প্রত্যক্ষ করবে, তখন আপনি তাদেরকে দেখবেন যে, তারা বলছে আমাদের ফিরে যাওয়ার কোন উপায় আছে কি? For any whom Allah leaves astray, there is no protector thereafter. And thou wilt see the Wrong-doers, when in sight of the Penalty, Say: "Is there any way (to effect) a return?"
45 وَتَرَىٰهُمْ يُعْرَضُونَ عَلَيْهَا خَٰشِعِينَ مِنَ ٱلذُّلِّ يَنظُرُونَ مِن طَرْفٍ خَفِىٍّ وَقَالَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِنَّ ٱلْخَٰسِرِينَ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ وَأَهْلِيهِمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ أَلَآ إِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ فِى عَذَابٍ مُّقِيمٍ ওয়া তারা-হুম ইউ‘রাদূনা ‘আলাইহা-খা-শি‘ঈনা মিনাযযুলিল ইয়ানজু রূনা মিন তারফিন খাফীইয়িওঁ ওয়াকা-লাল্লাযীনা আমানূইন্নাল খা-ছিরীনাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি আলাইন্নাজ্জা-লিমীনা ফী ‘আযা-বিম মুকীম।
জাহান্নামের সামনে উপস্থিত করার সময় আপনি তাদেরকে দেখবেন, অপমানে অবনত এবং অর্ধ নিমীলিত দৃষ্টিতে তাকায়। মুমিনরা বলবে, কেয়ামতের দিন ক্ষতিগ্রস্ত তারাই, যারা নিজেদের ও তাদের পরিবার-পরিজনের ক্ষতি সাধন করেছে। শুনে রাখ, পাপাচারীরা স্থায়ী আযাবে থাকবে। And thou wilt see them brought forward to the (Penalty), in a humble frame of mind because of (their) disgrace, (and) looking with a stealthy glance. And the Believers will say: "Those are indeed in loss, who have given to perdition their own selves and those belonging to them on the Day of Judgment. Behold! Truly the Wrong-doers are in a lasting Penalty!"
46 وَمَا كَانَ لَهُم مِّنْ أَوْلِيَآءَ يَنصُرُونَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن سَبِيلٍ ওয়ামা-কা-না লাহুম মিন আওলিয়াআ ইয়ানসুরূনাহুম মিন দূ নিল্লা-হি ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু; ফামা-লাহূমিন ছাবীল।
আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না, যে তাদেরকে সাহায্য করবে। আল্লাহ তা’আলা যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন গতি নেই। And no protectors have they to help them, other than Allah. And for any whom Allah leaves to stray, there is no way (to the Goal).
47 ٱسْتَجِيبُوا۟ لِرَبِّكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِىَ يَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهُۥ مِنَ ٱللَّهِ مَا لَكُم مِّن مَّلْجَإٍ يَوْمَئِذٍ وَمَا لَكُم مِّن نَّكِيرٍ ইছতাজীবূলিরাব্বিকুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়া ইয়াওমুল্লা-মারাদ্দা লাহূমিনাল্লা-হি মালাকুম মিম মালজায়িইঁ ইয়াওমায়িযিওঁ ওয়ামা-লাকুম মিন নাকীর।h
আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে অবশ্যম্ভাবী দিবস আসার পূর্বে তোমরা তোমাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য কর। সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তা নিরোধকারী কেউ থাকবে না। Hearken ye to your Lord, before there come a Day which there will be no putting back, because of (the Ordainment of) Allah! that Day there will be for you no place of refuge nor will there be for you any room for denial (of your sins)!
48 فَإِنْ أَعْرَضُوا۟ فَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا إِنْ عَلَيْكَ إِلَّا ٱلْبَلَٰغُ وَإِنَّآ إِذَآ أَذَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ مِنَّا رَحْمَةً فَرِحَ بِهَا وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌۢ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ فَإِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ كَفُورٌ ফাইন আ‘রাদূফামাআরছালনা-কা ‘আলাইহিম হাফীজান ইন ‘আলাইকা ইল্লাল বালা-গু ওয়া ইন্নাইযাআযাকনাল ইনছা-না মিন্না-রাহমাতান ফারিহা বিহা- ওয়া ইন তুসিবহুম ছাইয়িআতুম বিমা-কাদ্দামাত আইদীহিম ফাইন্নাল ইনছা-না কাফূর।
যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আপনাকে আমি তাদের রক্ষক করে পাঠাইনি। আপনার কর্তব্য কেবল প্রচার করা। আমি তাদের রক্ষক করে পাঠাইনি। আপনার কর্তব্য কেবল প্রচার করা। আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই, তখন সে উল্লসিত, আর যখন তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের কোন অনিষ্ট ঘটে, তখন মানুষ খুব অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়। If then they run away, We have not sent thee as a guard over them. Thy duty is but to convey (the Message). And truly, when We give man a taste of a Mercy from Ourselves, he doth exult thereat, but when some ill happens to him, on account of the deeds which his hands have sent forth, truly then is man ungrateful!
49 لِّلَّهِ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ يَهَبُ لِمَن يَشَآءُ إِنَٰثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَآءُ ٱلذُّكُورَ লিল্লা-হি মুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়াখলুকুমা-ইয়াশাউ ইয়াহাবু লিমাইঁ ইয়াশাউ ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াহাবুলিমাইঁ ইয়াশাউযযুকূর।
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। To Allah belongs the dominion of the heavens and the earth. He creates what He wills (and plans). He bestows (children) male or female according to His Will (and Plan),
50 أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَٰثًا وَيَجْعَلُ مَن يَشَآءُ عَقِيمًا إِنَّهُۥ عَلِيمٌ قَدِيرٌ আও ইউঝাওবিজুহুম যুকরা-নাওঁ ওয়া ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াজ‘আলুমাইঁ ইয়াশাউ ‘আকীমান ইন্নাহূ‘আলীমুন কাদীর।
অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল। Or He bestows both males and females, and He leaves barren whom He will: for He is full of Knowledge and Power.
51 وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ ٱللَّهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِن وَرَآئِ حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولًا فَيُوحِىَ بِإِذْنِهِۦ مَا يَشَآءُ إِنَّهُۥ عَلِىٌّ حَكِيمٌ ওয়ামা-কা-না লিবাশারিন আইঁ ইউকালিলমাহুল্লা-হু ইল্লা-ওয়াহইয়ান আও মিওঁ ওয়ারাই হিজা-বিন আও ইউরছিলা রাছূলান ফাইঊহিয়া বিইযনিহী মা ইয়াশাউ ইন্নাহূ ‘আলিইয়ুন হাকীম।
কোন মানুষের জন্য এমন হওয়ার নয় যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন। কিন্তু ওহীর মাধ্যমে অথবা পর্দার অন্তরাল থেকে অথবা তিনি কোন দূত প্রেরণ করবেন, অতঃপর আল্লাহ যা চান, সে তা তাঁর অনুমতিক্রমে পৌঁছে দেবে। নিশ্চয় তিনি সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়। It is not fitting for a man that Allah should speak to him except by inspiration, or from behind a veil, or by the sending of a messenger to reveal, with Allah's permission, what Allah wills: for He is Most High, Most Wise.
52 وَكَذَٰلِكَ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ رُوحًا مِّنْ أَمْرِنَا مَا كُنتَ تَدْرِى مَا ٱلْكِتَٰبُ وَلَا ٱلْإِيمَٰنُ وَلَٰكِن جَعَلْنَٰهُ نُورًا نَّهْدِى بِهِۦ مَن نَّشَآءُ مِنْ عِبَادِنَا وَإِنَّكَ لَتَهْدِىٓ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ ওয়া কাযা-লিকা আওহাইনাইলাইকা রূহাম মিন আমরিনা- মা-কুনতা তাদরী মাল কিতা-বুওয়ালাল ঈমা-নুওয়ালা-কিন জা‘আলনা-হু নূরান নাহদী বিহী মান নাশাউ মিন ‘ইবা-দিনা- ওয়া ইন্নাকা লা তাহদীইলা সিরা-তিম মুছতাকীম।
এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন- And thus have We, by Our Command, sent inspiration to thee: thou knewest not (before) what was Revelation, and what was Faith; but We have made the (Qur'an) a Light, wherewith We guide such of Our servants as We will; and verily thou dost guide (men) to the Straight Way,-
53 صِرَٰطِ ٱللَّهِ ٱلَّذِى لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ أَلَآ إِلَى ٱللَّهِ تَصِيرُ ٱلْأُمُورُ সিরাতিল্লা-হিল্লাযী লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি আলাইলাল্লা-হি তাসীরুল উমূর।
আল্লাহর পথ। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল যা কিছু আছে, সব তাঁরই। শুনে রাখ, আল্লাহ তা’আলার কাছেই সব বিষয়ে পৌঁছে। The Way of Allah, to Whom belongs whatever is in the heavens and whatever is on earth. Behold (how) all affairs tend towards Allah!

1 2 3