Surah At-Tawbah - আত তাওবাহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ, Audio, Arabic Ayat & English Meaning

9
At-Tawbah
আত তাওবাহ
Meaning: Repentance - Released in Medina Total Ayats: 129 (1236 to 1364) Total Ruku: 16 - Sijda: Para: 10 - According to Najil: 113
# Ayat & Ortho Uccharon & English Meaning
1 بَرَآءَةٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ বারাআতুম মিনাল্লা-হি ওয়া রাছূলিহীইলাল্লাযীনা ‘আ-হাত্তুম মিনাল মুশরিকীন।
ম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে। A (declaration) of immunity from Allah and His Messenger, to those of the Pagans with whom ye have contracted mutual alliances:-
2 فَسِيحُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِى ٱللَّهِ وَأَنَّ ٱللَّهَ مُخْزِى ٱلْكَٰفِرِينَ ফাছীহূফিল আরদিআরবা‘আতা আশহুরিওঁ ওয়া‘লামূআন্নাকুম গাইরু মু‘জিঝিল্লা-হি ওয়া আন্নাল্লা-হা মুখঝিল কা-ফিরীন।
অতঃপর তোমরা পরিভ্রমণ কর এ দেশে চার মাসকাল। আর জেনে রেখো, তোমরা আল্লাহকে পরাভূত করতে পারবে না, আর নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদিগকে লাঞ্ছিত করে থাকেন। Go ye, then, for four months, backwards and forwards, (as ye will), throughout the land, but know ye that ye cannot frustrate Allah (by your falsehood) but that Allah will cover with shame those who reject Him.
3 وَأَذَٰنٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلنَّاسِ يَوْمَ ٱلْحَجِّ ٱلْأَكْبَرِ أَنَّ ٱللَّهَ بَرِىٓءٌ مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُۥ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِى ٱللَّهِ وَبَشِّرِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ওয়া আযা-নুম মিনাল্লা-হি ওয়া রাছূলিহীইলান্না-ছি ইয়াওমাল হাজ্জিল আকবারি আন্নাল্লাহা বারী-উম মিনাল মুশরিকীনা ওয়া রাছূলুহূ ফাইন তুবতুম ফাহুওয়া খাইরুল্লাকুম ওয়া ইন তাওয়াল্লাইতুম ফা‘লামূআন্নাকুম গাইরু মু‘জিঝিল্লা-হি ওয়া বাশশিরিল্লাযীনা কাফারূবি‘আযা-বিন আলীম।
আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর, আর যদি মুখ ফেরাও, তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও। And an announcement from Allah and His Messenger, to the people (assembled) on the day of the Great Pilgrimage,- that Allah and His Messenger dissolve (treaty) obligations with the Pagans. If then, ye repent, it were best for you; but if ye turn away, know ye that ye cannot frustrate Allah. And proclaim a grievous penalty to those who reject Faith.
4 إِلَّا ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ ثُمَّ لَمْ يَنقُصُوكُمْ شَيْـًٔا وَلَمْ يُظَٰهِرُوا۟ عَلَيْكُمْ أَحَدًا فَأَتِمُّوٓا۟ إِلَيْهِمْ عَهْدَهُمْ إِلَىٰ مُدَّتِهِمْ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ ইল্লাযীনা ‘আ-হাত্তুম মিনাল মুশরিকীনা ছুম্মা লাম ইয়ানকুসূকুম শাইআওঁ ওয়া লাম ইউজাহিরূ‘আলাইকুম আহাদান ফাআতিম্মূ ইলাইহিম ‘আহদাহুম ইলা-মুদ্দাতিহিম ইন্নাল্লা-হা ইউহিব্বুল মুত্তাকীন।
তবে যে মুশরিকদের সাথে তোমরা চুক্তি বদ্ধ, অতপরঃ যারা তোমাদের ব্যাপারে কোন ত্রুটি করেনি এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সাথে কৃত চুক্তিকে তাদের দেয়া মেয়াদ পর্যন্ত পূরণ কর। অবশ্যই আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। (But the treaties are) not dissolved with those Pagans with whom ye have entered into alliance and who have not subsequently failed you in aught, nor aided any one against you. So fulfil your engagements with them to the end of their term: for Allah loveth the righteous.
5 فَإِذَا ٱنسَلَخَ ٱلْأَشْهُرُ ٱلْحُرُمُ فَٱقْتُلُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَٱحْصُرُوهُمْ وَٱقْعُدُوا۟ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِن تَابُوا۟ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّوا۟ سَبِيلَهُمْ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ফাইযানছালাখাল আশহুরুল হুরুমুফাকতুলুল মুশরিকীনা হাইছুওয়াজাত্তুমূহুম ওয়া খুযূহুম ওয়াহসুরূহুম ওয়াক‘উদূলাহুম কুল্লা মারসাদিন ফাইন তা-বূওয়া আকা-মুসসলা-তা ওয়া আ-তাউঝঝাকাতা ফাখাললূছাবীলাহুম ইন্নাল্লা-হা গাফুরুর রাহীম।
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। But when the forbidden months are past, then fight and slay the Pagans wherever ye find them, an seize them, beleaguer them, and lie in wait for them in every stratagem (of war); but if they repent, and establish regular prayers and practise regular charity, then open the way for them: for Allah is Oft-forgiving, Most Merciful.
6 وَإِنْ أَحَدٌ مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ ٱسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّىٰ يَسْمَعَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ أَبْلِغْهُ مَأْمَنَهُۥ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْلَمُونَ ওয়া ইন আহাদুম মিনাল মুশরিকীনাছ তাজা-রাকা ফাআজিরহু হাত্তা-ইয়াছমা‘আ কালামাল্লা-হি ছুম্মা আবলিগহু মা’মানাহূ যা-লিকা বিআন্নাহুম কাওমুল লা-ইয়া‘লামূন।
আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে এরা জ্ঞান রাখে না। If one amongst the Pagans ask thee for asylum, grant it to him, so that he may hear the word of Allah; and then escort him to where he can be secure. That is because they are men without knowledge.
7 كَيْفَ يَكُونُ لِلْمُشْرِكِينَ عَهْدٌ عِندَ ٱللَّهِ وَعِندَ رَسُولِهِۦٓ إِلَّا ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّمْ عِندَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ فَمَا ٱسْتَقَٰمُوا۟ لَكُمْ فَٱسْتَقِيمُوا۟ لَهُمْ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ কাইফা ইয়াকূনুলিলমুশরিকীনা ‘আহদুন ‘ইনদাল্লা-হি ওয়া ‘ইনদা রাছূলিহীইল্লাল্লাযীনা ‘আহাত্তুম ‘ইনদাল মাছজিদিল হারা-মি ফামাছতাকা-মূলাকুম ফাছতাকীমূলাহুম ইন্নাল্লা-হা ইউহিব্বুল মুত্তাকীন।
মুশরিকদের চুক্তি আল্লাহর নিকট ও তাঁর রসূলের নিকট কিরূপে বলবৎ থাকবে। তবে যাদের সাথে তোমরা চুক্তি সম্পাদন করেছ মসজিদুল-হারামের নিকট। অতএব, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের জন্যে সরল থাকে, তোমরাও তাদের জন্য সরল থাক। নিঃসন্দেহের আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। How can there be a league, before Allah and His Messenger, with the Pagans, except those with whom ye made a treaty near the sacred Mosque? As long as these stand true to you, stand ye true to them: for Allah doth love the righteous.
8 كَيْفَ وَإِن يَظْهَرُوا۟ عَلَيْكُمْ لَا يَرْقُبُوا۟ فِيكُمْ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً يُرْضُونَكُم بِأَفْوَٰهِهِمْ وَتَأْبَىٰ قُلُوبُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ فَٰسِقُونَ কাইফা ওয়া ইয়ঁইয়াজহারূ‘আলাইকুম লা-ইয়ারকুবূফীকুম ইল্লাওঁ ওয়ালা-যিম্মাতাইঁ ইউরদূ নাকুম বিআফওয়া-হিহিম ওয়া তা’বা-কুলূবুহুম ওয়া আকছারুহুম ফা-ছিকূন।
কিরূপে? তারা তোমাদের উপর জয়ী হলে তোমাদের আত্নীয়তার ও অঙ্গীকারের কোন মর্যাদা দেবে না। তারা মুখে তোমাদের সন্তুষ্ট করে, কিন্তু তাদের অন্তরসমূহ তা অস্বীকার করে, আর তাদের অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী। How (can there be such a league), seeing that if they get an advantage over you, they respect not in you the ties either of kinship or of covenant? With (fair words from) their mouths they entice you, but their hearts are averse from you; and most of them are rebellious and wicked.
9 ٱشْتَرَوْا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا فَصَدُّوا۟ عَن سَبِيلِهِۦٓ إِنَّهُمْ سَآءَ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ইশতারাও বিআ-য়া-তিল্লা-হি ছামানান কালীলান ফাসাদ্দূ‘আন ছাবীলিহী ইন্নাহুম ছাআ মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
তারা আল্লাহর আয়াত সমূহ নগন্য মুল্যে বিক্রয় করে, অতঃপর লোকদের নিবৃত রাখে তাঁর পথ থেকে, তারা যা করে চলছে, তা অতি নিকৃষ্ট। The Signs of Allah have they sold for a miserable price, and (many) have they hindered from His way: evil indeed are the deeds they have done.
10 لَا يَرْقُبُونَ فِى مُؤْمِنٍ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُعْتَدُونَ লা-ইয়ারকুবূনা ফী মু’মিনিন ইল্লাওঁ ওয়ালা-যিম্মাতাওঁ ওয়া উলাইকা হুমুল মু‘তাদুন।
তারা মর্যাদা দেয় না কোন মুসলমানের ক্ষেত্রে আত্নীয়তার, আর না অঙ্গীকারের। আর তারাই সীমালংঘনকারী। In a Believer they respect not the ties either of kinship or of covenant! It is they who have transgressed all bounds.
11 فَإِن تَابُوا۟ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَإِخْوَٰنُكُمْ فِى ٱلدِّينِ وَنُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ ফাইন তা-বূওয়া আকা-মুস সালা-তা ওয়া আ-তাউঝঝাকা-তা ফাইখওয়া-নুকুম ফিদদীনি ওয়ানুফাসসিলুল আ-য়া-তি লিকাওমিইঁ ইয়া‘লামূন।
অবশ্য তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে আর যাকাত আদায় করে, তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। আর আমি বিধানসমূহে জ্ঞানী লোকদের জন্যে সর্বস্তরে র্বণনা করে থাকি। But (even so), if they repent, establish regular prayers, and practise regular charity,- they are your brethren in Faith: (thus) do We explain the Signs in detail, for those who understand.
12 وَإِن نَّكَثُوٓا۟ أَيْمَٰنَهُم مِّنۢ بَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوا۟ فِى دِينِكُمْ فَقَٰتِلُوٓا۟ أَئِمَّةَ ٱلْكُفْرِ إِنَّهُمْ لَآ أَيْمَٰنَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنتَهُونَ ওয়া ইন নাকাছূদ্মআইমা-নাহুম মিম বা‘দি ‘আহদিহিম ওয়া তা‘আনূফী দীনিকুম ফাকাতিলূআইম্মাতাল কুফরি ইন্নাহুম লা-আইমা-না লাহুম লা‘আল্লাহুম ইয়ানতাহূন।
আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর। কারণ, এদের কেন শপথ নেই যাতে তারা ফিরে আসে। But if they violate their oaths after their covenant, and taunt you for your Faith,- fight ye the chiefs of Unfaith: for their oaths are nothing to them: that thus they may be restrained.
13 أَلَا تُقَٰتِلُونَ قَوْمًا نَّكَثُوٓا۟ أَيْمَٰنَهُمْ وَهَمُّوا۟ بِإِخْرَاجِ ٱلرَّسُولِ وَهُم بَدَءُوكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ أَتَخْشَوْنَهُمْ فَٱللَّهُ أَحَقُّ أَن تَخْشَوْهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ আলা-তুকা-তিলূনা কাওমান্নাকাছুদ্মআইমা-নাহুম ওয়া হাম্মূবিইখরা-জির রাছূলি ওয়া হুম বাদাউকুম আওওয়ালা মাররাতিন আতাখশাওনাহুম ফাল্লা-হু আহাক্কুআনতাখশাওহু ইন কুনতুম মু’মিনীন।
তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সঙ্কল্প নিয়েছে রসূলকে বহিস্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে। তোমরা কি তাদের ভয় কর? অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও। Will ye not fight people who violated their oaths, plotted to expel the Messenger, and took the aggressive by being the first (to assault) you? Do ye fear them? Nay, it is Allah Whom ye should more justly fear, if ye believe!
14 قَٰتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ ٱللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ কা-তিলূহুম ইউ‘আযযিবহুমুল্লা-হু বিআইদীকুম ওয়া ইউখঝিহিম ওয়াইয়ানসুরকুম‘আলাইহিম ওয়া ইয়াশফি সুদূরা কাওমিম মু’মিনীন।
যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। Fight them, and Allah will punish them by your hands, cover them with shame, help you (to victory) over them, heal the breasts of Believers,
15 وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْ وَيَتُوبُ ٱللَّهُ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ ওয়া ইউযহিব গাইজা কুলূবিহিম ওয়া ইয়াতূবুল্লা-হু ‘আলা-মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুন হাকীম।
এবং তাদের মনের ক্ষোভ দূর করবেন। আর আল্লাহ যার প্রতি ইচ্ছা ক্ষমাশীল হবে, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। And still the indignation of their hearts. For Allah will turn (in mercy) to whom He will; and Allah is All-Knowing, All-Wise.
16 أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تُتْرَكُوا۟ وَلَمَّا يَعْلَمِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ جَٰهَدُوا۟ مِنكُمْ وَلَمْ يَتَّخِذُوا۟ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَا رَسُولِهِۦ وَلَا ٱلْمُؤْمِنِينَ وَلِيجَةً وَٱللَّهُ خَبِيرٌۢ بِمَا تَعْمَلُونَ আম হাছিবতুম আন তুতরাকূওয়া লাম্মা-ইয়া‘লামিল্লা-হুল্লাযীনা জা-হাদূমিনকুম ওয়া লাম ইয়াত্তাখিযূমিন দূ নিল্লা-হি ওয়ালা-রাছূলিহী ওয়ালাল মু’মিনীনা ওয়ালীজাতাওঁ ওয়াল্লা-হু খাবীরুম বিমা-তা‘মালূন।
তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদের ছেড়ে দেয়া হবে এমনি, যতক্ষণ না আল্লাহ জেনে নেবেন তোমাদের কে যুদ্ধ করেছে এবং কে আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মুসলমানদের ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছে। আর তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত। Or think ye that ye shall be abandoned, as though Allah did not know those among you who strive with might and main, and take none for friends and protectors except Allah, His Messenger, and the (community of) Believers? But Allah is well-acquainted with (all) that ye do.
17 مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِينَ أَن يَعْمُرُوا۟ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ شَٰهِدِينَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِم بِٱلْكُفْرِ أُو۟لَٰٓئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَٰلُهُمْ وَفِى ٱلنَّارِ هُمْ خَٰلِدُونَ মা-কা-না লিলমুশরিকীনা আইঁ ইয়া‘মুরূমাছা-জিদাল্লা-হি শা-হিদীনা ‘আলাআনফুছিহিম বিলকুফরি উলাইকা হাবিতাত আ‘মা-লুহুম ওয়াফিন্না-রি হুম খা-লিদূ ন।
মুশরিকরা যোগ্যতা রাখে না আল্লাহর মসজিদ আবাদ করার, যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরীর স্বীকৃতি দিচ্ছে। এদের আমল বরবাদ হবে এবং এরা আগুনে স্থায়ীভাবে বসবাস করবে। It is not for such as join gods with Allah, to visit or maintain the mosques of Allah while they witness against their own souls to infidelity. The works of such bear no fruit: In Fire shall they dwell.
18 إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَأَقَامَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَى ٱلزَّكَوٰةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا ٱللَّهَ فَعَسَىٰٓ أُو۟لَٰٓئِكَ أَن يَكُونُوا۟ مِنَ ٱلْمُهْتَدِينَ ইন্নামা-ইয়া‘মুরু মাছা-জিদাল্লা-হি মান আ-মানা বিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়া আকা-মাসসালা-তা ওয়া আ-তাঝঝাকা-তা ওয়ালাম ইয়াখশা ইল্লাল্লা-হা ফা‘আছাউলাইকা আইঁ ইয়াকূনূমিনাল মুহতাদীন।
নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। The mosques of Allah shall be visited and maintained by such as believe in Allah and the Last Day, establish regular prayers, and practise regular charity, and fear none (at all) except Allah. It is they who are expected to be on true guidance.
19 أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ ٱلْحَآجِّ وَعِمَارَةَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ كَمَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَجَٰهَدَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ لَا يَسْتَوُۥنَ عِندَ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِينَ আজা‘আলতুম ছিকা-ইয়াতাল হাজজি ওয়া ‘ইমা-রাতাল মাছজিদিল হারা-মি কামান আমানা বিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়া জা-হাদা ফী ছাবীলিল্লা-হি লা-ইয়াছতাঊনা ‘ইনদাল্লা-হি ওয়াল্লা-হু লা-ইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।
তোমরা কি হাজীদের পানি সরবরাহ ও মসজিদুল-হারাম আবাদকরণকে সেই লোকের সমান মনে কর, যে ঈমান রাখে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি এবং যুদ্ধ করেছে আল্লাহর রাহে, এরা আল্লাহর দৃষ্টিতে সমান নয়, আর আল্লাহ জালেম লোকদের হেদায়েত করেন না। Do ye make the giving of drink to pilgrims, or the maintenance of the Sacred Mosque, equal to (the pious service of) those who believe in Allah and the Last Day, and strive with might and main in the cause of Allah? They are not comparable in the sight of Allah: and Allah guides not those who do wrong.
20 ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ ٱللَّهِ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَآئِزُونَ আল্লাযীনা আ-মানূওয়া হা-জারূওয়া জা-হাদূফী ছাবীলিল্লা-হি বিআমওয়া-লিহিম ওয়া আনফুছিহিম আ‘জামুদারাজাতান ‘ইনদাল্লা-হি ওয়া উলাইকা হুমুল ফাইঝূন।
যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহর কাছে আর তারাই সফলকাম। Those who believe, and suffer exile and strive with might and main, in Allah's cause, with their goods and their persons, have the highest rank in the sight of Allah: they are the people who will achieve (salvation).
21 يُبَشِّرُهُمْ رَبُّهُم بِرَحْمَةٍ مِّنْهُ وَرِضْوَٰنٍ وَجَنَّٰتٍ لَّهُمْ فِيهَا نَعِيمٌ مُّقِيمٌ ইউবাশশিরুহুম রাব্বুহুম বিরাহমাতিম মিনহু ওয়া রিদওয়া-নিওঁ ওয়া জান্না-তিল লাহুম ফীহানা‘ঈমুম মুকীম।
তাদের সুসংবাদ দিচ্ছেন তাদের পরওয়ারদেগার স্বীয় দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের, সেখানে আছে তাদের জন্য স্থায়ী শান্তি। Their Lord doth give them glad tidings of a Mercy from Himself, of His good pleasure, and of gardens for them, wherein are delights that endure:
22 خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا إِنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥٓ أَجْرٌ عَظِيمٌ খা-লিদীনা ফীহা-আবাদান ইন্নাল্লা-হা ‘ইনদাহূআজরুন ‘আজীম।
তথায় তারা থাকবে চিরদিন। নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। They will dwell therein for ever. Verily in Allah's presence is a reward, the greatest (of all).
23 يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوٓا۟ ءَابَآءَكُمْ وَإِخْوَٰنَكُمْ أَوْلِيَآءَ إِنِ ٱسْتَحَبُّوا۟ ٱلْكُفْرَ عَلَى ٱلْإِيمَٰنِ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাত্তাখিযূআ-বাআকুম ওয়া ইখওয়া-নাকুম আওলিয়াআ ইনিছতাহাব্বুল কুফরা ‘আলাল ঈমা-নি ওয়া মাই ইয়াতাওয়াল্লাহুম মিনকুম ফাউলাইকা হুমুজ্জা-লিমূন।
হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী। O ye who believe! take not for protectors your fathers and your brothers if they love infidelity above Faith: if any of you do so, they do wrong.
24 قُلْ إِن كَانَ ءَابَآؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَٰنُكُمْ وَأَزْوَٰجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَٰلٌ ٱقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَٰرَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَٰكِنُ تَرْضَوْنَهَآ أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَجِهَادٍ فِى سَبِيلِهِۦ فَتَرَبَّصُوا۟ حَتَّىٰ يَأْتِىَ ٱللَّهُ بِأَمْرِهِۦ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْفَٰسِقِينَ কুলইন কা-না আ-বাউকুম ওয়া আবনাউকুম ওয়া ইখওয়া-নুকুম ওয়া আঝওয়া-জুকুম ওয়া ‘আশীরাতুকুম ওয়া আমওয়া-লুনিকতারাফতুমূহা-ওয়া তিজা-রাতুন তাখশাওনা কাছা-দাহা-ওয়া মাছা-কিনুতারদাওনাহা-আহাব্বা ইলাইকুম মিনাল্লা-হি ওয়া রাছূলিহী ওয়া জিহাদিন ফী ছাবীলিহী ফাতারাব্বাসূহাত্তা-ইয়া’তিয়াল্লা-হু বিআমরিহী ওয়াল্লা-হু লা-ইয়াহদিল কাওমাল ফা-ছিকীন।
বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। Say: If it be that your fathers, your sons, your brothers, your mates, or your kindred; the wealth that ye have gained; the commerce in which ye fear a decline: or the dwellings in which ye delight - are dearer to you than Allah, or His Messenger, or the striving in His cause;- then wait until Allah brings about His decision: and Allah guides not the rebellious.
25 لَقَدْ نَصَرَكُمُ ٱللَّهُ فِى مَوَاطِنَ كَثِيرَةٍ وَيَوْمَ حُنَيْنٍ إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنكُمْ شَيْـًٔا وَضَاقَتْ عَلَيْكُمُ ٱلْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُم مُّدْبِرِينَ লাকাদ নাসারাকুমুল্লা-হু ফী মাওয়া-তিনা কাছীরতিওঁ ওয়া ইয়াওমা হুনাইনিন ইযআ‘জাবাতকুম কাছরাতুকুম ফালাম তুগনি ‘আনকুম শাইআওঁ ওয়া দা-কাত ‘আলাইকুমুল আরদুবিমা-রাহুবাত ছুম্মা ওয়াল্লাইতুম মুদবিরীন।
আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন অনেক ক্ষেত্রে এবং হোনাইনের দিনে, যখন তোমাদের সংখ্যধিক্য তোমাদের প্রফুল্ল করেছিল, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং পৃথিবী প্রশস্ত হওয়া সত্তেও তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়েছিল। অতঃপর পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে। Assuredly Allah did help you in many battle-fields and on the day of Hunain: Behold! your great numbers elated you, but they availed you naught: the land, for all that it is wide, did constrain you, and ye turned back in retreat.
26 ثُمَّ أَنزَلَ ٱللَّهُ سَكِينَتَهُۥ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ وَعَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ وَأَنزَلَ جُنُودًا لَّمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَذَٰلِكَ جَزَآءُ ٱلْكَٰفِرِينَ ছু ম্মা আনঝালাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলা-রাছূলিহী ওয়া ‘আলাল মু’মিনীনা ওয়া আনঝালা জুনূদাল লাম তারাওহা- ওয়া ‘আযযাবাল্লাযীনা কাফারূ ওয়া যা-লিকা জাঝাউল কা-ফিরীন।
তারপর আল্লাহ নাযিল করেন নিজের পক্ষ থেকে সান্ত্বনা, তাঁর রসূল ও মুমিনদের প্রতি এবং অবতীর্ণ করেন এমন সেনাবাহিনী যাদের তোমরা দেখতে পাওনি। আর শাস্তি প্রদান করেন কাফেরদের এবং এটি হল কাফেরদের কর্মফল। But Allah did pour His calm on the Messenger and on the Believers, and sent down forces which ye saw not: He punished the Unbelievers; thus doth He reward those without Faith.
27 ثُمَّ يَتُوبُ ٱللَّهُ مِنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ছু ম্মা ইয়াতূবুল্লা-হু মিম বা‘দি যা-লিকা ‘আলা-মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু গাফূরুর রাহীম।
এরপর আল্লাহ যাদের প্রতি ইচ্ছা তওবার তওফীক দেবেন, আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। Again will Allah, after this, turn (in mercy) to whom He will: for Allah is Oft-forgiving, Most Merciful.
28 يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِنَّمَا ٱلْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا۟ ٱلْمَسْجِدَ ٱلْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَٰذَا وَإِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيكُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦٓ إِن شَآءَ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ حَكِيمٌ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইন্নামাল মুশরিকূনা নাজাছুন ফালা-ইয়াকরাবুল মাছজিদাল হারা-মা বা‘দা ‘আ-মিহিম হা-যা- ওয়া ইন খিফতুম ‘আইলাতান ফাছাওফা ইউগনীকুমুল্লা-হু মিন ফাদলিহী ইন শাআ ইন্নাল্লা-হা ‘আলীমুন হাকীম।
হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্রে?480; আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। O ye who believe! Truly the Pagans are unclean; so let them not, after this year of theirs, approach the Sacred Mosque. And if ye fear poverty, soon will Allah enrich you, if He wills, out of His bounty, for Allah is All-knowing, All-wise.
29 قَٰتِلُوا۟ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلْحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعْطُوا۟ ٱلْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَٰغِرُونَ কা-তিলুল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিল্লা-হি ওয়ালা-বিল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়ালাইউহাররিমূনা মা-হাররামাল্লা-হুওয়ারাছূলুহূওয়ালা-ইয়াদীনূনা দীনাল হাক্কিমিনাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা হাত্তা-ইউ‘তুল জিঝইয়াতা ‘আইঁ ইয়াদিওঁ ওয়া হুম সা-গিরূন।
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। Fight those who believe not in Allah nor the Last Day, nor hold that forbidden which hath been forbidden by Allah and His Messenger, nor acknowledge the religion of Truth, (even if they are) of the People of the Book, until they pay the Jizya with willing submission, and feel themselves subdued.
30 وَقَالَتِ ٱلْيَهُودُ عُزَيْرٌ ٱبْنُ ٱللَّهِ وَقَالَتِ ٱلنَّصَٰرَى ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ ٱللَّهِ ذَٰلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَٰهِهِمْ يُضَٰهِـُٔونَ قَوْلَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِن قَبْلُ قَٰتَلَهُمُ ٱللَّهُ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ ওয়া কা-লাতিল ইয়াহূদু‘ঊঝাইরুনিবনুল্লা-হি ওয়াকা-লাতিন নাসা-রাল মাছীহুবনুল্লা-হি যা-লিকা কাওলুহুম বিআফওয়া-হিহিম ইউদা-হিঊনা কাওলাল্লাযীনা কাফারূ মিন কাবলু কা-তালাহুমুল্লা-হু; আন্না-ইউ’ফাকূন।
ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে। The Jews call 'Uzair a son of Allah, and the Christians call Christ the son of Allah. That is a saying from their mouth; (in this) they but imitate what the unbelievers of old used to say. Allah's curse be on them: how they are deluded away from the Truth!
31 ٱتَّخَذُوٓا۟ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَٰنَهُمْ أَرْبَابًا مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَٱلْمَسِيحَ ٱبْنَ مَرْيَمَ وَمَآ أُمِرُوٓا۟ إِلَّا لِيَعْبُدُوٓا۟ إِلَٰهًا وَٰحِدًا لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ سُبْحَٰنَهُۥ عَمَّا يُشْرِكُونَ ইত্তাখাযূআহবা-রাহুম ও রুহবা-নাহুম আরবা-বাম মিন দূ নিল্লা-হি ওয়াল মাছীহাবনা মারইয়ামা ওয়ামা উমিরূ ইল্লা-লিয়া‘বুদূ ইলা-হাওঁ ওয়াহিদাল লাইলা-হা ইল্লাহুওয়া; ছুবহা-নাহূ‘আম্মা-ইউশরিকূন।
তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে আল্লাহ ব্যতীত এবং মরিয়মের পুত্রকেও। অথচ তারা আদিষ্ট ছিল একমাত্র মাবুদের এবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তারা তাঁর শরীক সাব্যস্ত করে, তার থেকে তিনি পবিত্র। They take their priests and their anchorites to be their lords in derogation of Allah, and (they take as their Lord) Christ the son of Mary; yet they were commanded to worship but One Allah: there is no god but He. Praise and glory to Him: (Far is He) from having the partners they associate (with Him).
32 يُرِيدُونَ أَن يُطْفِـُٔوا۟ نُورَ ٱللَّهِ بِأَفْوَٰهِهِمْ وَيَأْبَى ٱللَّهُ إِلَّآ أَن يُتِمَّ نُورَهُۥ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْكَٰفِرُونَ ইউরীদূনা আইঁ ইউতফিঊ নূরাল্লা-হি বিআফওয়া-হিহিম ওয়া ইয়া’বাল্লা-হুইল্লাআইঁ ইউতিম্মা নূরাহূওয়া লাও কারিহাল কা-ফিরূন।
তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে। Fain would they extinguish Allah's light with their mouths, but Allah will not allow but that His light should be perfected, even though the Unbelievers may detest (it).
33 هُوَ ٱلَّذِىٓ أَرْسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلْهُدَىٰ وَدِينِ ٱلْحَقِّ لِيُظْهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُشْرِكُونَ হুওয়াল্লাযীআরছালা রাছূলাহূবিল হুদা-ওয়া দীনিল হাক্কিলিইউজহিরাহূ‘আলাদদীনি কুল্লিহী ওয়া লাও কারিহাল মুশরিকূন।
তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে। It is He Who hath sent His Messenger with guidance and the Religion of Truth, to proclaim it over all religion, even though the Pagans may detest (it).
34 يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِنَّ كَثِيرًا مِّنَ ٱلْأَحْبَارِ وَٱلرُّهْبَانِ لَيَأْكُلُونَ أَمْوَٰلَ ٱلنَّاسِ بِٱلْبَٰطِلِ وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ يَكْنِزُونَ ٱلذَّهَبَ وَٱلْفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইন্না কাছীরাম মিনাল আহবা-রি ওয়াররুহবা-নি লাইয়া’কুলূনা আমওয়া-লান্না-ছি বিল বা-তিলি ওয়া ইয়াসুদ্দূনা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লাযীনা ইয়াকনিঝূনাযযাহাবা ওয়াল ফিদ্দাতা ওয়ালা-ইউনফিকূনাহা-ফী ছাবীলিল্লাহি ফাবাশশিরহুম বি‘আযা-বিন আলীম।
হে ঈমানদারগণ! পন্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। O ye who believe! there are indeed many among the priests and anchorites, who in Falsehood devour the substance of men and hinder (them) from the way of Allah. And there are those who bury gold and silver and spend it not in the way of Allah: announce unto them a most grievous penalty-
35 يَوْمَ يُحْمَىٰ عَلَيْهَا فِى نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَىٰ بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ هَٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنفُسِكُمْ فَذُوقُوا۟ مَا كُنتُمْ تَكْنِزُونَ ইয়াওমা ইউহমা-‘আলাইহা-ফী না-রি জাহান্নামা ফাতুকওয়া-বিহা-জিবা-হুহুম ওয়া জুনূবুহুম ওয়া জুহূরুহুম হা-যা-মা-কানাঝতুম লিআনফুছিকুম ফাযূকূমা-কুনতুম তাকনিঝূন।
সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার। On the Day when heat will be produced out of that (wealth) in the fire of Hell, and with it will be branded their foreheads, their flanks, and their backs, their flanks, and their backs.- "This is the (treasure) which ye buried for yourselves: taste ye, then, the (treasures) ye buried!"

1 2 3 4